রাজশাহী শনিবার, ২০শে এপ্রিল ২০২৪, ৮ই বৈশাখ ১৪৩১


ববি বেগমের সংসারে নেশার আগুন!


প্রকাশিত:
১৭ জুলাই ২০২০ ২১:২৫

আপডেট:
১৭ জুলাই ২০২০ ২১:৩৯

এই ঝুপড়ি ঘরে সন্তান নিয়ে বাস করছেন ববি বেগম

ঠিকঠাক চলছিল সোহাগ হোসেন ও তার স্ত্রী ববি বেগমের সংসার। সোহাগ বাস চালকের হেলপারের কাজ করছিল; আর ববি ছিলেন গৃহিনী। কিন্তু তাদের সুখ স্থায়ী হলো না। সোহাগের ইয়াবা ও হেরোইনের মতো মরণ নেশার আসক্তির কারণে চলে গেলো হেলপারের কাজ। নেশার টাকা জোগাড় করতে গিয়ে শুরু করেন নেশা দ্রব্য বিক্রি। কেবল তাই নয়, স্ত্রীকেও যুক্ত করেন ভিক্ষা বৃত্তিতে।

নেশা দ্রব্য বিক্রি করে যা টাকা পেতেন সেটা দিয়ে সোহাগ নেশা করতেন। দৈনিক দুই বেলা ইয়াবা অথবা হেরোইন লাগে সোহাগের। ভাত না খেলেও চলে, কিন্তু হেরোইন অথবা ইয়াবা ছাড়া চলে না।

সোহাগ-ববি ৩ বছর আগে দাম্পত্য জীবন শুরু করলেও বর্তমানে নেশার আগুনে পুড়ে ছারখার তাদের সংসার। সোহাগের নিজস্ব বাড়ি ছিল বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহারের রথবাড়ীতে। সব বিক্রি করে নেশা করে সর্বস্বান্ত হয়েছেন।  

শুক্রবার দুপুরে ববি বেগমের সাথে কথা হলে তিনি জানান তার দু:খের কথা। বর্তমানে ববি বেগম সান্তাহার পৌর শহরের হবির মোড়ের অনিকা ফিলিং ষ্টেশনের পার্শ্বে একটি ঝুপড়ি ঘরে থাকেন। 

রোদ-বৃষ্টি-ঝড়ে চরম অনিশ্চয়তা ও দুর্ভোগের মধ্যে বাস করেন ববি। ছোট এক সন্তানকে নিয়ে অতিগরম ও বৃষ্টি সহ্য করে পড়ে থাকেন ঝুপড়িতে। 

ববি বেগম আরোও জানান, সারা দিন ভিক্ষা করে যা পান সেটা দিয়েই ডাল-ভাত খেয়ে কোনরকম চলছে তার জীবন। তবে রাতে বৃষ্টি হলে অনেক কষ্ট করে থাকতে হয় সেখানে, কারন ঐ ঘরে তো আর বৃষ্টির পানি আটকে থাকে না।

ববি বেগম বলেন, সমাজে অনেক সার্মথ্যবান মানুষ আছেন। যদি কেউ আমাকে একটি ঘর তৈরী করে দিতেন; তাহলে ছোট বাচ্চা নিয়ে রাতে শান্তিতে ঘুমাতে পারতাম। সমাজের সার্মথ্যবান মানুষের কাছে আকুল আবেদন, তারা যেন আমাকে একটি ঘর তৈরী করে দেন।

আরপি/এএন-২



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top