রাজশাহী শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল ২০২৪, ১৪ই বৈশাখ ১৪৩১


সিআইডিতে হস্তান্তরের দাবী

জেল খানায় থেকেও পিতা হত্যার আসামী ছেলে!


প্রকাশিত:
১১ মে ২০২২ ২১:৫২

আপডেট:
২৬ এপ্রিল ২০২৪ ০৭:১৫

ফাইল ছবি

একটি মারপিট মামলায় জেলখানায় বন্দি থাকাকালীন পিতাকে মারপিটে করে হত্যা করা হয়েছে মর্মে আসামী হয়েছেন ছেলে আলাউদ্দীন খাঁ। ঘটনাটি ঘটেছে বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার কুন্দগ্রাম ইউনিয়নের বশিকোড়া গ্রামে। এদিকে জেলখানায় বন্দি থাকা অবস্থায় হত্যা মামলার আসামী কি করে হয় তা নিয়ে এলাকায় চলছে নানা গুঞ্জন। 

নিহত আজিম উদ্দীনের পরিবার সুত্রে জানা যায়, আদমদীঘি উপজেলার কুন্দগ্রাম ইউনিয়নের বশিকোড়া গ্রামের আজিম উদ্দীন দীর্ঘদিন প্যারালাইসিস রোগে ভুগছিলেন এবং তার ছোট স্ত্রী আমেনা বেগম, ছেলে আলম খাঁ ও আলাউদ্দীন খাঁ সহ পরিবার লোকজন একই বাড়ীতে বসবাস করে আসছিল।

গত ২০২১ সালের অক্টোবর মাসের ১৮ তারিখে একটি মারপিট মামলায় পুলিশ আলাউদ্দীনকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরন করেন। আলাউদ্দীন জেলখানায় থাকা অবস্থায় একই সালে ১৬ নভেম্বর সকাল ১০ ঘটিকার সময় মাথা ঘুড়ে ঘরের ভিতরে পড়ে গুরুত্বর আহত হয়ে আলাউদ্দীনের পিতা বৃদ্ধ আজিম উদ্দীন।

পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে আদমদীঘি উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করায়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ১৮ নভেম্বর নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করায়। এরপর গত ২০ নভেম্বর বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় বৃদ্ধ আজিম উদ্দীনকে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২ ডিসেম্বর সকালে সে মারা যায়।

এ ঘটনায় বৃদ্ধ আজিম উদ্দীনের বড় স্ত্রীর ছেলে দেলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে আদমদীঘি থানায় তার সৎ ভাই এর শ্বাশুড়ী তারা বিবি (৪৮), সৎ ভাই আলম খাঁ এর স্ত্রী মুনিরা বিবি (৩১) সৎ ভাই কালাম খাঁ এর স্ত্রী শাহনারা বিবি (৪২) ও জেলখানায় বন্দি আসামী আরেক সৎ ভাই আলাউদ্দীন খাঁ এর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

মামলায় সূত্রে জানা গেছে, বাদী দেলোয়ার খাঁ এর সাথে তার সৎ ভাইদের বসতবাড়ীর জায়গা জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে গত ২০২১ সালের ১৬ নভেম্বর আলম খাঁ ও আলাউদ্দীন খা এর বসতবাড়ীতে পিতা আজিম উদ্দীনকে হত্যার উদ্যেশে মারপিটে গুরুত্বর জখম করে। আহত আজিম উদ্দীনকে উদ্ধার করে প্রথমে আদমদীঘি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এরপর তাকে নওগাঁ সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে ২০ নভেম্বর উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২ ডিসেম্বর সকালে সে মারা যায়।

গত মঙ্গলবার বিকেলে এই মামলার প্রধান আসামী তারা বিবি সাংবাদিকদের বলেন, আমার মেয়ের শ্বশুড় আজিম উদ্দীনের অসুস্থতার খবর পেয়ে ঘটনার দিন দেখতে এসে হত্যা মামলার আসামী হই। মামলাটি সিআইডি পুলিশ দ্বারা সঠিক ভাবে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করতে উদ্ধর্তৃন কর্তৃপক্ষের কাছে জোড় দাবী জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে আদমদীঘি থানার ওসি জালাল উদ্দীনের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, ময়নাতদন্ত রিপোর্টে হত্যা করা হয়েছে মর্মে উল্লেখ আছে এবং এই মামলায় আলাউদ্দীনকে মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়ে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। মামলাটি এখন আদালতের বিচারাধীন।

 

 

আরপি/এসআর-০৬



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top