রাজশাহী শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪, ১৬ই চৈত্র ১৪৩০


ভ্যাপসা গরমে হাত পাখা বিক্রির হিড়িক


প্রকাশিত:
১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৫:০১

আপডেট:
১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৬:৩১

ছবি: হাত পাখা বিক্রি

বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলায় প্রচন্ড হারে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে উপজেলাবাসী। প্রচন্ড গরমে বিদ্যুতের লোডশেডিং হওয়ায় মানুষের জীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে। প্রচন্ড গরমের হাত থেকে বাঁচতে তাই মানুষ এখন তাল পাতার পাখা কিনতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।

উপজেলার বিভিন্ন বাজার গুলিতে গিয়ে দেখা যায়, হাত পাখা বিক্রির হিড়িক পড়েছে। শুধু উপজেলা সদরেই নয়, বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে ঘুরে তালা পাখার বিক্রি করছে। চাহিদা বাড়ায় পাখার দামও বেড়েছে। বছরের এই সময়টিতে পাখার চাহিদা থাকে। চৈত্র খেকে শুরু করে জ্যৈষ্ঠ মাস পর্যন্ত বিক্রির মৌসুম হলেও চৈত্র ও বৈশাখ মাসই পাখা বিক্রির উপযুক্ত সময়। কিন্তু এবার ভাদ্র মাসে অতিরিক্ত ভ্যাপসা গরম হাওয়ায় চাহিদা বাড়ছে তাল পাখার।

সান্তাহার সোনার বাংলা বিপনী বিতানের পাইকারি পাখা বিক্রেতা ময়েন উদ্দীন খান জানান, হাত পাখা বেশি বিক্রি হলেও লাভ হচ্ছে কম। পাখা তৈরি করতে রং, সুতা, বাঁশ,কঞ্চি প্রয়োজন হয়। এসবের দাম বাড়ায় হাত পাখা তৈরিতে লাভ কম হচ্ছে। তাল পাখা কাপড়ের তৈরি পাখা ও সুতার তৈরি পাখাও পাওয়া যায়।

পাখা কিনতে আসা স্কুল শিক্ষিকা রোকসানা বেগম জানান, মাঝে মাঝে বিদ্যুতের সমস্যা হচ্ছে। তাই ৪ টি তালপাখা কিনলাম বাসার জন্য। গরম বেশি হলে বাসার সবাই তাল পাখা খোঁজে। সান্তাহার জংসন ষ্টেশন সড়কে ভ্র্যাম্যমান তাল পাখা বিক্রেতা আবুল হোসেন জানান, এ বছর করোনা ভাইরাসের কারনে সব ট্রেন বন্ধ ছিল, পাখা বিক্রি করতে পারি নি তেমন। ওই সময়ে প্রচুর পাখা বিক্রি হয়। এখন ট্রেনগুলি আবার চালু হওয়ায় পাখা বিক্রি বেড়েছে। আমার কাছে ২০ টাকা থেকে শুরু করে ১০০ টাকার তাল পাতার পাখা আছে। বিভিন্ন মানের ও বিভিন্ন দামের পাখাই আমি বিক্রি করি। প্রতিদিন বিভিন্ন ট্রেনে উঠে হাত পাখা বিক্রি করি আর অবসর সময়ে সান্তাহার ষ্টেশনে বসে হাত পাখা বিক্রি করি।

 

 

 

আরপি/এসআর-০৬



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top