সান্তাহার ইউপি নির্বাচনে নৌকার মাঝি হতে চান চম্পা
আগামী ডিসেম্বর মধ্যে দেশের সকল ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের তফসিল ঘোষনা করে ভোট শেষ করার ঘোষনা দিয়েছে বর্তমান সরকার। সেই মোতাবেক বগুড়ার সান্তাহার ইউনিয়নসহ দেশের বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে। এমন সংবাদ দেশের বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায়, টেলিভিশনের সংবাদ প্রচারিত হলে সান্তাহার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন চান আদমদীঘি উপজেলা আওয়ামীলীগরে ১নং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সাবেক আদমদীঘি থানা ছাত্রলীগের সভাপতি ও ১৯৯০ সালে সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের সভাপতি সাজেদুল ইসলাম চম্পা।
তিনি নির্বাচনে প্রার্থী হতে নানা ভাবে কেন্দ্রের মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা করছেন। এলাকার মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়িয়ে দিয়েছেন। করোনাকালে সাধারণ মানুষের পাশে থেকে নানা মানবিক উদ্যোগ নিয়েছেন। আগাম গনসংযোগ ও প্রচার-প্রচারনা শুরু করেছেন। ইতিমধ্যে তিনি ইউনিয়নবাসীর দোয়া কামনা করেছেন এবং ১৫ আগষ্টে জাতীয় শোক দিবসের নিজের ছবি সম্বলিত পোষ্টার লাগিয়ে গোটা ইউনিয়নে ছাপিয়ে ফেলেছেন। ভোটারদের সমর্থন নিতে তিনি নিচ্ছেন দোয়া।
তার রাজনৈতিক জীবন ১৯৮২ সালে কলশা আহসান উল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের কমিটিতে সাধারণ সম্পাদকের মাধ্যমে তার রাজনৈতিক যাত্রা শুরু করেন। দুঃসময়ে সকল উল্লেখ্য যোগ্য আন্দোলন সংগ্রামে সামনে থেকে নেতৃত্বে দিয়েছে। ১৯৯০ সালে সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের এরশাদ সরকার বিরোধী আন্দোলনে তার ভুমিকা ছিল উল্লেখযোগ্য। এছাড়া ২০০১ সালের বিএনপি, জামায়াত জোট সরকার পতন আন্দোলন তার নেতৃত্বে হয়েছিল। ২০০৪ ইং সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেডে হামলার প্রতিবাদে রাজপথ ও রেলপথ অবরোধ র্কমসুচির সময় তার নেতৃত্বে সান্তাহার রেলওয়ে স্টেশনে সকল আন্তঃনগর ট্রেন বন্ধ করে রেল লাইনের উপর হাজার হাজার লোক নামিয়ে সমাবেশ করে রেল পথ অবরোধ করছিলেন। ১/১১ এর সময় সকল আন্দোলন সংগ্রামে সামনে থেকে নেতৃত্বে দিয়ে বিএনপি, জামায়াত ও প্রশাসন দ্বারা নির্যাতিত হয়েছেন।
এছাড়াও এখন র্পযন্ত সকল প্রকার দলীয় কর্মসুচি, সামাজিক ও বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে সামনে থেকে নেতৃত্বে দিয়ে চলছেন। বর্তমান তিনি আদমদীঘি উপজেলা আওয়ামীলীগরে ১নং যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক। তিনি দীর্ঘদিন থেকে যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক পদে সফল ভাবে দায়িত্ব পালন করে আসছে। তাছাড়া তিনি দমদমা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সভাপতি ছিলেন, সান্তাহার রেলগেটে স্বাধীনতা মঞ্চের নকসা ও তার উদ্যোগে নির্মান করা হয়েছে। বর্তমান তিনি দমদমা ঈদগাহ কমিটির সাধারন সম্পাদের দায়িত্ব পালন করছেন।
দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে সাজেদুল ইসলাম চম্পা বলেন, স্থানীয় ভাবে দলীয় ফোরামে আমার প্রার্থীতার বিষয়টি উত্থাপন করেছি। নেতৃবৃন্দের মতামতের ভিত্তিতেই দলের কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে তা উপস্থাপন করা হবে। আমি আশাবাদী যে, নেতা-কর্মীরা সম্মিলিত ভাবেই আমাকে সমর্থন জানাবে। কারণ মূল দলসহ সব সহযোগী ও অঙ্গসংগঠন সমূহের সকল নেতা-কর্মীর সাথেই আমার হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক। যা অনেকের তুলনায় অনেকাংশে বেশিই বলে আমার বিশ্বাস। তাই মনে করি একই ভাবে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার কারিগর, বঙ্গবন্ধু কন্যা ও প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে মনোনয়ন দিবেন নৌকার মাঝি হিসেবে। কারণ তিনি দল ও দেশের সকল ক্ষেত্রে যোগ্য কর্মীকে প্রাধান্য দিয়ে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর উপযুক্ত করে গড়ে তোলায় উদ্যোগ নিয়েছেন। পরম করুণাময় আল্লাহ তায়ালা যতদিন আমাকে জীবিত রাখবেন, ততদিন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আর্দশ ও জননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদশে ভিশন ২০৪১ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাব।
আরপি/এসআর-০৭
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: