রাজশাহী বৃহঃস্পতিবার, ২৮শে মার্চ ২০২৪, ১৫ই চৈত্র ১৪৩০


আদমদীঘিতে সজনে ডাটার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা


প্রকাশিত:
১ মার্চ ২০২১ ২২:৩২

আপডেট:
২৮ মার্চ ২০২৪ ১৭:৪১

ছবি: সজনে গাছের ডালে ডালে ব্যাপক ফুল ফুটেছে

বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা সদর ও সান্তাহারে সজনে গাছের ডালে ডালে ব্যাপক ফুল ফুটেছে। গাছে গাছে ব্যাপক ফুল দেখে এবার সজনে ডাটার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। বাম্পার ফলনের আশায় বাড়ী বাড়ী ও বাগানে বাগানে গিয়ে আগাম গাছের সজনে কিনছেন মৌসুমি সজনে ব্যাবসায়ীরা।

আবহাওয়া এবং প্রাকৃতিক কোন দুর্যোগ না হলে এবার গত কয়েক বছরের চেয়ে সজনে বেশী উৎপাদন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এতে ব্যাবসায়ীরা লাভবান হওয়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন আগাম গাছ কেনা মৌসুমি ব্যাবসায়ীরা। এবার উপজেলা সদর ও সান্তাহার পৌর শহর এবং এর আশপাশ গ্রামে-গ্রামে সবখানে গাছে গাছে প্রচুর পরিমানে সজনে ডাটার ফুল ফুটেছে।

স্থানীয় ও দেশের বিভিন্ন হাট বাজারে সজনে ডাটার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। মুখোরচক ও পুষ্টিগুনে ভরপুর সজনে ডাটা স্থানীয়ভাবে বিক্রির পাশাপাশি রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় রপ্তানী করা হয়ে থাকে। বাজারে অন্যান্য সবজির চেয়ে সজনের দাম বেশি। তবে এবার গাছে গাছে যেভাবে ফুল ফটেছে তাতে গতবারের চেয়ে এবার দাম একটু কমতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অন্যান্য সবজির চেয়ে সজনে ডাটা পুষ্টিগুণ ও স্বাদে বেশী হওয়ায় যে কোন বয়সের মানুষ সজনে খেতে ভালবাসেন।

চিকিৎসকদের মতে সজনে সবজিতে ক্যালসিয়াম, খনিজ লবণ আয়রণসহ প্রটিন ও শর্করা জাতীয় খাদ্য রয়েছে। এ ছাড়া ভিটামিন এ, বি, সি সমৃদ্ধ সজনে ডাটা মানব দেহের জন্য অত্যন্ত উপকারী। শরীরের পুষ্টির জন্য গর্ভবতী ও প্রসুতি মায়েদের ও বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করে বলে সজনে ডাটা ঔষধী সবজি হিসাবেও ব্যাপক সমৃদ্ধ। এছাড়া গাছের ছাল এবং পাতা রক্তামাশায় পেটের পিরা ও উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধে কার্যকর ভুমিকা রাখে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।

সজনে ডাটা প্রধানত দুই প্রজাতির। এর মধ্যে এক প্রজাতির সজনে বছরে তিন থেকে চার বার পাওয়া যায়। স্থানীয়ভাবে এর নাম রাইখজ্ঞন। সজনে গাছ যে কোন পতিত জমি,পুকুর পাড়, রাস্তার বা বাধের ধারে আঙ্গিনা এমনকি শহর বন্দরের যে কোন ফাঁকা জায়গায় লাগানো যায়। এর কোন বীজ বা চারার প্রয়োজন হয় না। গাছের ডাল কেটে মাটিতে পুতে রাখলেই সজনে গাছ জম্মায়। সজনে গাছের কোন পরিচর্যার প্রয়োজন হয় না। অযন্তে অবহেলায় প্রকৃতিকভাবে বেড়ে উঠে গাছ। বড় ও মাঝারি ধরনের একটি গাছে ছয় থেকে আট মণ পর্যন্ত সজনে পাওয়া য়ায়। বিনা খরছে অধিক আয় হওয়ায় অনেকেই ব্যানিজ্যিকভাবে সজনে চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছে।

বিশেষ করে আদমদীঘি উপজেলার মাটি, পানি ও আবহাওয়া সজনে চাষের জন্য উপযোগী হওয়ায় এই উপজেলা সদর ও সান্তাহার পৌর শহর ও এর আশে পাশের সর্বত্রই প্রচুর পরিমানে সজনে গাছ আছে। এই সব গাছ থেকে প্রতি বছর হাজার হাজার টন সজনে উৎপাদন হয়।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মিঠু চন্দ্র অধিকারী, বলেন, এই উপজেলার মাটি ও আবহাওয়া সজনে চাষে উপযোগী। এখানে ব্যানিজ্যিক ভাবে সজনে চাষ করে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। ফলে অনেকে আম, জাম,কাঠাল, লিচু বাগানের মত এখন সজনে গাছের বাগান করতে শুরু করেছে অনেকে।

আরপি/ এসআই-৩

           



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top