রাজশাহী বুধবার, ৮ই মে ২০২৪, ২৬শে বৈশাখ ১৪৩১

দুর্গাপুরে ৪৭৯ মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিন পেল প্রধানমন্ত্রীর অনুদান


প্রকাশিত:
২৩ মে ২০২০ ০২:০৬

আপডেট:
৮ মে ২০২৪ ২০:০৫

দুর্গাপুরে মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিনদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর অনুদানের চেক তুলে দেন সাংসদ প্রফেসর ডা. মনসুর রহমান

করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের (ইফা) আওতাধীন রাজশাহীর দুর্গাপুরে উপজেলাতেও ৪৭৯ টি মসজিদকে ২৩ লাখ ৯৫ হাজার টাকা অনুদান দিয়েছে সরকার। বুধবার (২২মে) শুক্রবার সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কার্যালয়ে মসজিদ কর্তৃপক্ষের কাছে অনুদানের চেক হস্তান্তর করা হয়। 

চেক হস্তান্তর করে দুর্গাপুরে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন- রাজশাহী-৫ আসনের সংসদ সদস্য ও সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য প্রফেসর ডাঃ মনসুর রহমান।

এসময়ে উপস্থিত ছিলেন, দুর্গাপুর পৌরসভার মেয়র তোফাজ্জল হোসেন, উপজেলা পরিষদের নারী নারী ভাইস চেয়ারম্যান বানেছা বেগম, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের (ইফা) দুর্গাপুর উপজেলার ফিল্ড সুপারভাইজার মোস্তাক আহমেদ, কেয়ারটেকার রবিউল ইসলাম, মডেলকেয়ারটেকার আলমগীর হোসেন, উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ নূরুল ইসলামসহ স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

দেশের সব মসজিদে ৫ হাজার করে টাকা অনুদান দিয়েছে সরকার। দেশের দুই লাখ ৪৪ হাজার ৪৩টি মসজিদকে এ অনুদান দেয়া হচ্ছে। এ জন্য ১২২ কোটি ২ লাখ ১৫ হাজার টাকার আর্থিক অনুদানের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। বুধবার ইসলামিক ফাউন্ডেশনের (ইফা) মহাপরিচালক আনিস মাহমুদ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাপী বিরাজমান করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব অনুসরণসহ নানা কারণে দেশের মসজিদগুলোতে মুসল্লিরা স্বাভাবিকভাবে দান করতে পারছেন না। এতে দানসহ অন্যান্য সাহায্য কমে যাওয়ায় মসজিদের আয় কমে গেছে। ফলে মসজিদের দৈনন্দিন ব্যয়নির্বাহ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। বর্তমান বিদ্যমান পরিস্থিতিতে মসজিদের আর্থিক অসচ্ছলতা দূর করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিটি মসজিদের অনুকূলে পাঁচ হাজার টাকা হারে অনুদান প্রদানে অনুমোদন করেছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিটি মসজিদের অনুকূলে এ অনুদান ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফারের মাধ্যমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সংশ্লিষ্ট বিভাগ, জেলা কার্যালয়ের পরিচালক/উপ-পরিচালকের ব্যাংক হিসাবে প্রেরণ করা হল।

সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক/উপ-পরিচালকের সমন্বয়ে অনুদানের চেক বিতরণ করতে হবে। তালিকাভুক্ত মসজিদের অনুকূলে যথাযথ প্রাপ্তি স্বীকার গ্রহণপূর্বক অনুদানের অর্থ/চেক বিতরণ নিশ্চিত করতে হবে এবং প্রাপ্তি স্বীকার পত্রসহ অন্যান্য কাগজপত্র নিরীক্ষার জন্য যথাযথভাবে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বিভাগ/জেলা কার্যালয়ে সংরক্ষণ করতে হবে।

অনুমোদিত তালিকায় কোনো প্রকৃত মসজিদের তথ্য বাদ পড়ে থাকলে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসার কর্তৃক প্রত্যয়নসহ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে প্রয়োজনীয় অতিরিক্ত বরাদ্দের জন্য মহাপরিচালক ইসলামিক ফাউন্ডেশন বরাবর আবেদন করতে হবে। জরুরি ভিত্তিতে অনুদানের অর্থ বিতরণ করে ১৫ জুনের মধ্যে বাস্তবায়ন প্রতিবেদন প্রেরণ করতে বলা হয়েছে চিঠিতে।

 

আরপি/ এএন



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top