নাটোর-৪ আসনে উপনির্বাচন: স্মার্ট সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে নৌকা চান আব্দুল কাদের
নাটোর-৪ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নপত্র কিনেছেন আব্দুল কাদের। স্মার্ট সমাজ ব্যবস্থা চালু করতেই তিনি এমপি প্রার্থী হয়েছেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতির সঙ্গেও সম্পৃক্ত ছিলেন। কর্মজীবনে তিনি ঢাকায় থাকলেও এলাকায় তার বেশ গুরুত্ব রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, আব্দুল কাদের বিভিন্ন সময় গুরুদাসপুর-বড়াইগ্রামের মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র, আর্থিক অনুদানসহ নানা ধরণের সহায়তা করেন। প্রার্থী মনোনয়ন কেনায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন এলাকার নানা শ্রেণি পেশার মানুষ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আব্দুল কাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে স্বাধীনতা আন্দেলনের সূতিকাগার ফজলুল হলের ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যুক্ত হন। ১৯৮৮ সালে ডাকসু নির্বাচনে সংগ্রাম পরিষদের সুলতান মানসুর ও মোস্তাকের কাজ করেন। তিনি গুরুদাসপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য হিসেবে প্রায় ৩০ বছর যাবত দায়িত্ব পালন করছেন।
আরও পড়ুন: আজ সারাদেশেই ঝড়বৃষ্টির আভাস
আব্দুল কাদের গুরুদাসপুরের চলনালী গ্রামের সম্ব্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার মি. এম এ বারী এম.এ বিএড এবং মাতা মোছা: রমেছা খাতুন। তার পিতা এম .এ বারী ব্রিটিশ ভারতে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধীনে সর্বশেষ ম্যাট্রিকুলেশন (১৯৪৭ সালে) পরীক্ষায় কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ন হোন।
তিনি সেই ১৯৪৭ সাল থেকেই চাঁচকৈড় নাজিমউদ্দিন হাই ইংলিশ স্কুলের ইংলিশ শিক্ষক হিসাবে নিজেকে নিবেদন করেন। তিনি বড়াইগ্রামের আপামোর জনসাধরণের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় ১৯৮৫ সালে প্রথম উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হোন। তিনি ২০টির উপরে স্কুল ও কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছেন।
আব্দুল কাদের বলেন, তাদের রাজনৈতিক পরিবার। মূলত স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য স্মার্ট সমাজ ব্যবস্থা নিশ্চিতের জন্যই তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী। তিনি বলেন, তাকে দলীয় প্রতীক নৌকা দেওয়া হলে নিরঙ্কুশভাবে আওয়ামী লীগ নাটোর-৪ আসনে বিজয় আনবে।
তিনি বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও নিজ পিতার রাজনৈতিক আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি ছাত্র জীবনেই ছাত্রলীগের সক্রিয় সদস্য হিসেবে রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৯৭৯ সালে গুরুদাসপুর পাইলট উচ্চবিদ্যালয় থেকে কৃতিত্বের সাথে প্রথম বিভাগে মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ন হোন। এর মাঝে ছিল ৩০ মে ১৯৭৭ সালে কুখ্যাত জিয়াউর রহমানের হ্যাঁ না ভোটের বিপরীতে অংশগ্রহন করেন ও না কে জয়যুক্ত করেন। তারজন্য সামাজিক ও পারিবারিক ভাবে এই পরিবারকে জটিলতায় পড়তে হয়।
আরও পড়ুন: পেঁয়াজ-আলু-ডিমের দাম শক্তভাবে মনিটরিং করা হচ্ছে: বাণিজ্যমন্ত্রী
এই নেতা ১৯৮২-৮৩ সাল পর্যন্ত বিটিভির জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান "যদি কিছু মনে না করেন" অনুষ্ঠানে অংশ করে নাটোরকে বিপুল ভাবে পরিচিতি দান করেন! এরপর ১৯৮৮ সনে তিনি ম.হামিদ প্রযোজিত ও পরিচালিত উন্মেষ বিটিভির ক্যাম্পাস ভিত্তিক অনুষ্ঠানে শিক্ষা অঙ্গনের রিসার্চ (গবেষনার নির্যাস তুলে ধরতেন)। আব্দুল রাজনৈতিক কারণে মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, ভারত বর্ষ, চীন, ইউরোপের অনেক দেশ পরিভ্রমণ করে বিস্তার অভিজ্ঞা অর্জন করেছেন।
স্থানীয়দের দাবি, আব্দুল কাদেরকে নাটোর-৪ আসনের মনোনয়ন দিয়ে আওয়ামী লীগের পক্ষে নির্বাচনের সুযোগ দেওয়ার জন্য তারা প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
আরপি/এসআর-১৭
বিষয়: নাটোর-৪ আওয়ামী লীগ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: