রাসিক নির্বাচন
অনলাইন প্রচারণায়ও এগিয়ে নৌকার প্রার্থী লিটন
![ফাইল ছবি](https://rajshahipost.com/uploads/shares/12211212123123-2023-06-11-23-53-06.jpg)
দিন দশেক পরেই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচন। ইতোমধ্যে জমে উঠেছে নির্বাচনের মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা। প্রচারণা ও গণসংযোগে যেন দম নেওয়ার সুযোগ মিলছে না মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা। একজন অপর জনের চেয়ে এগিয়ে থাকার জন্য অবলম্বন করছেন নানা পদ্ধতি। এরই অংশ হিসেবে প্রচার-প্রচারণায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে অনলাইন মাধ্যম।
ফেসবুক, ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো হয়েছে নির্বাচনী প্রচারণার নতুন প্লাটফর্ম। ভোটারদের নিজেদের পক্ষে টানতে বিভিন্ন ইতিবাচক দিক তুলে ধরে প্রচারণা চালাচ্ছেন প্রার্থীরা। এমনকি কোন এলাকায় কখন গণসংযোগ করছেন সেটাও প্রার্থী ও সমর্থকরা পোস্ট দিচ্ছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। সেইসঙ্গে আঞ্চলিক ভাষায় তৈরি করা বিভিন্ন গান দিয়েও চলছে প্রচারণা। গানকে প্রাধান্য দিয়ে প্রার্থীদের বিভিন্ন ইতিবাচক দিক তুলে ধরে ভোটারদের আকর্ষণের চেষ্টা চলছে জোরেসোরেই।
রাসিক নির্বাচনে মূল ভোটারের সঙ্গে এবার যুক্ত হয়েছেন ৩০ হাজার তরুণ ভোটার। তরুণদের নিজেদের পক্ষে টানতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে বেছে নেওয়া হয়েছে বলে জানান প্রার্থীরা। অনলাইন প্রচারণায় সবচেয়ে এগিয়ে আছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও সাবেক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। বিভিন্ন ফেসবুক আইডি ও পেজ থেকে বিগত সময়ের উন্নয়নের চিত্র ও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হচ্ছে তার পক্ষ থেকে।
এছাড়াও ইউটিউবে গান দিয়ে তৈরি উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরেও প্রচার করছেন কর্মী-সমর্থকরা। বিগত সময়ের উন্নয়ন, আগামীতে নির্বাচিত হলে কী কী করবেন, সেগুলো নিয়ে ফটোকার্ড, ডিজিটাল পোস্টার, ভিডিওচিত্র ও গানের মাধ্যমে অনলাইনে তুলে ধরা হচ্ছে ভোটারদের সামনে।
এ বিষয়ে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের নিবার্চনী প্রচার কমিটির আহবায়ক ও নগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহসানুল হক বলেন, দেশ এখন ডিজিটাল হয়েছে। আমরা স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। গণসংযোগ, পোস্টার-ফেস্টুর যেমন প্রচারণার একটি পার্ট, ঠিক তেমনই সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারণাও আরেকটি পার্ট। বিভিন্ন পেজ ও আইডি থেকে প্রচারণা অংশ নেয়া হচ্ছে। শিক্ষিত মানুষ ও তরুণদের আকৃষ্ট করতেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার চালানো হচ্ছে।
তবে রাসিক নির্বাচনের অন্য তিন মেয়র প্রার্থীর তেমন কোনো অনলাইন প্রচারণা চোখে পড়ে নি। আর কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে অনলাইন প্রচারণায় জোরেসোরে দেখা গেছে অনেককেই। পিছিয়ে নেই মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থীরাও।
এ বিষয়ে কাউন্সিলর প্রার্থী সরিফুল ইসলাম বাবু বলেন, গণসংযোগের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ভবিষ্যতের নির্বাচনগুলো হয়তো আর সেভাবে কেউ গণসংযোগ করবে না বলে আমার ধারণা। দেশও এগিয়ে যাচ্ছে আমরাও এগিয়ে যাচ্ছি। অনলাইনেও প্রচার-প্রচারণা বেশ জমে উঠেছে।
জানতে চাইলে নতুন ভোটার সানজিদা হক বলেন, মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থী ও সমর্থকদের ফেসবুক ও ইউটিউবে প্রচারণা চালাচ্ছেন। গানে গানে প্রচারণা সহ প্রার্থীদের এমন প্রচারণা দেখতে বেশ ভালোই লাগছে। অনলাইনে সবচেয়ে বেশি প্রচারণা চোখে পড়ছে নৌকার মেয়র প্রার্থীর। তিনি বিগত সময়ের যেসব উন্নয়ন কাজ করেছেন, সেগুলো সহ তাঁর মানবিক বিভিন্ন কাজের চিত্র তুলে ধরা হচ্ছে। এতে করে তাঁর পক্ষে জনমত তৈরি হবে।
আরেক নতুন ভোটার সাইফুল ইসলাম বলেন, বর্তমান যুগ ডিজিটাল যুগ। ঘরে বসেই প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা চোখে পড়ছে। ফেসবুক সহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রবেশ করলেই প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা চোখে পড়ছে। মাঠের মতো অনলাইনেও সবচেয়ে বেশি প্রচার চোখে পড়ছে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী খায়রুজ্জামান লিটনের।
আগামী ২১ জুন ইভিএম পদ্ধতিতে রাসিক নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে। নগরীর মোট ১৫২টি ভোটকেন্দ্রের এক হাজার ১৭৩টি কক্ষে একযোগে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এবারের নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা তিন লাখ ৫২ হাজার ১৫৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ৭১ হাজার ১৮৫ জন। আর নারী ভোটার এক লাখ ৮০ হাজার ৯৭২ জন। এবার নতুন ভোটার রয়েছেন ৩০ হাজার ১৫৭ জন।
আরপি/এসআর
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: