রসিক নির্বাচনে র্যাব-পুলিশের সাথে থাকবে বিজিবিও
রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে পুলিশ, আনসার ও ভিডিপির পাশাপাশি মাঠে থাকবে ১১ প্লাটুন বিজিবি। এর মধ্যে প্রতি সংরক্ষিত ১টি ওয়ার্ডে ১ প্লাটুন করে বিজিবি মোতায়েন থাকবে। একই সঙ্গে প্রতি ২টি সাধারণ ওয়ার্ডে একটি করে র্যাবের টিম থাকবে বলেও জানা গেছে।
রোববার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
ইসি সূত্র থেকে জানা যায়, মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটেলিয়ন আনসার সমন্বয়ে প্রতিটি সাধারণ ওয়ার্ডে একটি মোবাইল ফোর্স থাকবে। এছাড়া প্রতি ৩টি সাধারণ ওয়ার্ডে একটি স্ট্রাইকিং ফোর্স এবং প্রতি থানায় একটি করে রিজার্ভ স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকবে। আর প্রতি ২টি সাধারণ ওয়ার্ডে ১টি করে র্যাবের টিম থাকবে। স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে ভোটকেন্দ্রের বাইরে র্যাব/পুলিশের টিম সংশ্লিষ্ট ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করবে।
এদিকে গুরুত্বপূর্ণ বা ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে ৪ জন অস্ত্রসহ পুলিশ (একজন এসআই/এএসআই ও ৩ জন কনস্টেবল), ২ জন অস্ত্রসহ অঙ্গীভূত আনসার ও ১০ জন লাঠিসহ অঙ্গীভূত আনসার/ভিডিপি সদস্য (৪ জন মহিলা ও ৬ জন পুরুষ) মোতায়েন থাকবে। এছাড়াও ৩৩টি সাধারণ ওয়ার্ডে ৩৩ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১৬ জন দায়িত্ব পালন করবেন।
জানা গেছে, ৩৩টি ওয়ার্ডের ২২৯ কেন্দ্রে মোট ভোট কক্ষের সংখ্যা ১ হাজার ৩৪৯টি। ভোটার ৪ লাখ ২৬ হাজার ৪৭০ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ২ লাখ ১৪ হাজার ১৬৬ জন, পুরুষ ২ লাখ ১২ হাজার ৩০৩ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছে ১ জন। নির্বাচনে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ২২৯ জন এবং সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা থাকবেন ১ হাজার ৩৪৯ জন। মোট পোলিং অফিসার থাকবেন ২ হাজার ৬৯৮ জন।
এবারে রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে সকাল থেকে সাড়ে ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ হবে। ভোটকেন্দ্রগুলো সিসিটিভির আওতায় থাকবে।
আরপি/এসআর-০৫
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: