রাজশাহী বৃহঃস্পতিবার, ৯ই মে ২০২৪, ২৭শে বৈশাখ ১৪৩১


‘ক্ষমতায় গেলে ৬ কোটি লোককে মাসে এক হাজার করে টাকা দেব


প্রকাশিত:
৩ নভেম্বর ২০২২ ০৩:৫৬

আপডেট:
৯ মে ২০২৪ ২১:০৮

‘আমি যদি ক্ষমতায় যাই তাহলে গরিব মানুষের চিকিৎসা আমি বিনা পয়সায় করে দেব। ৬ কোটি মানুষকে মাসে এক হাজার করে টাকা দেব। আমার ৭ লাখ কোটি টাকার যদি বাজেট হয়, তাহলে ৬ কোটি মানুষকে বছরে ৭২ হাজার কোটি টাকা দিতে হবে, পারব না কেন?’

বুধবার (২ নভেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সভায় এমন কথা বলেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না।

রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের ৫০ বছর উপলক্ষে ওই সভার আয়োজন করে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি)।

সভায় বক্তব্যকালে মান্না বলেন, গরিব লোককে টাকা দিলে তারা তা দিয়ে জুয়া খেলবে না। বিদেশে পাচার করবে না। তারা তা আরও বাড়ানোর চেষ্টা করবে। এটা দারিদ্র দূর করার একটা বড় পথ।

নাগরিক ঐক্যের শীর্ষ এই নেতা বলেন, ৮ কোটি লোক দরিদ্র, ৪ কোটি লোক বেকার। এদের জন্য কি করবেন? এখন একটা মধ্যবিত্ত পরিবারের লোক যদি হাসপাতালে ভর্তি হয়, বের হওয়ার সময় তাকে নিম্নবিত্ত হয়ে বের হতে হয়। দরিদ্র হয়ে যায়। আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এতই খারাপ।

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, মানুষ দেখতে দেখতে ক্ষেপে গেছে। কবি নজরুলের ভাষায়- দেখিয়া শুনিয়া ক্ষেপিয়া গিয়াছি। মানুষ এমন ক্ষেপা ক্ষেপেছে যে কোনো ধরনের বিলিন সে মানে না, গাড়ি নেই মানে না, ট্রেন চলে না মানে না। মানুষ মাইলের পর মাইল হেঁটে হেঁটে একটা রাজনৈতিক দলের সভায় যায়।

সরকার পতনের আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি জানি না ১০ তারিখ কি হবে। যাদের নেতৃত্বে এসব অভ্যুত্থান হচ্ছে, ১০ তারিখ পর্যন্ত তা ধারণ করে সামনে এগিয়ে যেতে পারবে কি-না। নেতৃত্বের সেই যোগ্যতা আছে কি-না। আমরা কিছুই বলিনি এখনো। আমি বলছি- সরকার পরিবর্তনের লড়াই আমাদের এক নম্বর স্লোগান। তার সঙ্গে সমাজ পরিবর্তন মানে আপনাকে অনেক কথা বলতে হবে।

নাগরিক ঐক্যের এই সভাপতি বলেন, আমাদের প্রাসঙ্গিক ইতিহাস জানতে হবে। যা আপনাকে সত্যের পক্ষে দাঁড়াবার শক্তি দেবে। সত্যকে চিনবেন এবং সেই সত্য নিয়ে লড়াই করবার মতো মানসিক শক্তি অর্জন করতে পারবেন। এটা ঠিক যে- এরকম একটা স্বৈরাচারী শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করে আবার একটা স্বৈরাচার আসবে সে জন্য লড়াই তো আমরা করি না। সেই লড়াই কি মিশরের জনগণ করে? আলজেরিয়ার জনগণ করে?

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, প্রত্যেকটা জায়গায় কত বড় তেহরির স্কয়ারের মতো এত বড় বিপ্লব বাংলাদেশে তো হয়নি। তারপরেও কি সেখানে (মিশর-আলজেরিয়া) গণতন্ত্রের জয় হয়েছে, স্বৈরাচার পরাজিত হয়েছে- এটা কি আমরা বলতে পারি? ব্যাপারটা এত সোজা নয় যে, আমরা একটা-দুইটা রেজুলেশন নিলাম আর তার ভিত্তিতে জনগণকে বললাম আর সঙ্গে সঙ্গে সবকিছু পরিবর্তন হলো। আমাদের সংগ্রাম করতে হবে।

সভায় অন্যদের মধ্যে জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব, গণঅধিকার পরিষদের সদস্যসচিব নুরুল হক নুর, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আরপি/ এসএইচ ০৭

 


বিষয়: সভা


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top