রাজশাহী সোমবার, ২৯শে এপ্রিল ২০২৪, ১৭ই বৈশাখ ১৪৩১


তালেবানদের দ্রুত সমর্থন করা প্রয়োজন: জাফরুল্লাহ চৌধুরী


প্রকাশিত:
১৮ আগস্ট ২০২১ ২১:৪৭

আপডেট:
২৯ এপ্রিল ২০২৪ ১৫:২৫

ছবি: সংগৃহীত

আফগানিস্তানে মার্কিনপন্থী সরকার হটিয়ে দেশটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়া তালেবানকে দ্রুত সমর্থন দেওয়া ও সাহায্য করা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

বুধবার রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় নাগরিক সমাজের উদ্যোগে ‘করোনাকালে স্বাস্থ্যবিধি মেনে জনগণের চলাচল সচেতন করা ও মাস্ক বিতরণ’ কার্যক্রম শুরুর আগে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, ‌‘বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে যে কোনো মুক্তির আন্দোলনকে সমর্থন দিতেন। এটা মনে রাখতে হবে যে, তালেবানও মুক্তিযোদ্ধা। বিদেশি শক্তির হাত থেকে দেশকে রক্ষা করেছে। তারা যাতে কট্টরবাদী, ইসলামের নামে ধর্মান্ধতা না করে তার জন্য দ্রুতই তাদের সমর্থন ও সাহায্য করা প্রয়োজন।’

দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, ‘সবাইকে মাস্ক পরতে হবে। মাস্ক আমাকে রক্ষা করে, অন্যকেও রক্ষা করে। কাপড়ের মাস্ক হওয়া বাঞ্ছনীয়। নয়ত পরিবেশ নষ্ট করে।’

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘রাশিয়ার ভ্যাকসিনের দরদাম হওয়ার পরও কেনে কিনছে না, তার জবাবদিহিতা নেই। সরকার একের পর এক ভুল করছে; গণতান্ত্রিক সরকার না হলে যা হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেন। আর ধানাইপানাই কইরেন না। আন্দোলনকে ভয় পাচ্ছেন কেন। যখন আন্দোলন হবে, তো হবেই। কিন্তু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে দেশের সর্বনাশ ডেকে আনবেন না।’

এ সময় জনগণকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে জনজীবন সচল রাখার আহ্বান জানান গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। সরকারের কাছে তিনি তিন দফা দাবি উত্থাপন করেন। এর মধ্যে- শ্রমিক ও শিক্ষার্থীদের অবিলম্বে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে; দ্রুততম সময়ে টিকা সংগ্রহ ও দেশের ১৩ কোটি মানুষের টিকা দেওয়ার রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে, টিকা ক্রয়ে দামের স্বচ্ছতা থাকতে হবে, অবিলম্বে দেশে টিকা উৎপাদনের উদ্যোগ নিতে হবে; সবার জন্য স্বাস্থ্য সেবা সুরক্ষা ও প্রয়োজনে স্বাস্থ্য তহবিল ঘোষণা করতে হবে, স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে; সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কলকারখানা খুলে দিতে হবে; বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষকদের মানবেতর জীবন যাপনের অবসান ঘটাতে হবে; লকডাউন ও বিভিন্ন কারণে আড়াই কোটি নিন্ম আয়ের পরিবার অর্থাৎ ১০ কোটি মানুষ জীবিকা বিপর্যয়ের মধ্যে আছেন, আর্থিক সংকটে আছেন। কাজেই আড়াই কোটি নিম্ন আয়ের পরিবারের নিত্য প্রয়োজনিয় পণ্যের ব্যবস্থা করতে হবে; সারাদেশে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম, ওষুধের দাম, বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার যে ব্যয় তা নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে।

এ ছাড়াও তিনি বলেন, সরকার লকডাউন দেয়, কিন্তু বাস্তবে লকডাউন হয় না। ফলে একদিকে অর্থীনির ক্ষতি হয় অন্যদিকে করোনা বেড়ে চলে। আমাদের কথা হচ্ছে সকলকে আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে উদ্বুদ্ধ করবো।

 

 

আরপি/এসআর-১৩



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top