শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ছোট শিক্ষার্থীরা বেছে নিচ্ছে আয়ের পথ
মিরাজুল ইসলাম চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র। সকাল হলেই ভ্যান নিয়ে বেরিয়ে পড়ে উপার্জনের আশায়। দিনশেষে যা উপার্জন করে তার কিছুটা নিজের কাছে রেখে বাকিটা মায়ের হাতে দেয়। তবে প্রায় ১৫ মাস আগেও রোজ সকালে বই-খাতা নিয়ে স্কুলে যেত সে। যে বয়সে তার পড়াশোনা, খেলাধুলায় মেতে থাকার কথা ঠিক সেই বয়সে বড়দের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আয় করছে ছোট্ট এই চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র।
পাবনার চাটমোহর উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের ভাদ্রা গ্রামের কসাই আনোয়ার হোসেনের ছেলে মিরাজুল। করোনা মহামারির প্রভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় পালটে গেলে মিরাজুলের পরিচয়। দুই ভাই ও দুই বোনের মধ্যে সবার ছোট মিরাজুল। অসচ্ছল পরিবারে বেড়ে ওঠা মিরাজুলের বাবা একটি কসাইয়ের দোকানে কাজ করতেন। পাশাপাশি চালাতেন ভ্যান। করোনা মহামারিতে তাকে ছাঁটাই করা হয়। পরে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি।
সংসারে অভাব জেঁকে বসায় মিরাজুলের বড় ভাই মিনারুল রাজমিস্ত্রির কাজ বেছে নেয় আর মিরাজুল বাবার ভ্যান চালানো শুরু করে। গড়ে প্রতিদিন ৩০০-৪০০ টাকা উপার্জন করে ছোট্ট এই শিশুটি।
প্রায় ১৫ মাস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় মিরাজুল ভুলে গেছে তার বইয়ের সব পড়া, এমন কি ভুলে গেছে তার প্রতিষ্ঠান প্রধানের নাম।
শুধু মিরাজুলই নয়, করোনা মহামারির প্রভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় পাবনার চাটমোহর পৌর শহর থেকে শুরু করে উপজেলার সর্বত্র ছোট ছোট শিক্ষার্থীরা বেছে নিয়েছে আয়ের পথ। কেউ ভাটার শ্রমিক, কেউ দিনমজুরি আবার কেউ বা ভ্যান চালিয়ে উপার্জন করে সংসারের হাল ধরেছে।
আরপি/ এসআই
বিষয়: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পাবনা চাটমোহর
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: