রাজশাহী শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪, ১৫ই চৈত্র ১৪৩০


শহীদ নূর হোসেনকে ‘ইয়াবাখোর’ বললেন রাঙ্গা


প্রকাশিত:
১১ নভেম্বর ২০১৯ ০৯:২৬

আপডেট:
২৯ মার্চ ২০২৪ ০১:১০

নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থানের শহীদ নূর হোসেন

নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থানের শহীদ নূর হোসেনকে ‘ইয়াবাখোর’ বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা।

রবিবার (১০ নভেম্বর) বনানীতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান কার্যালয়ে এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, ‘হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ কাকে হত্যা করলেন। নূর হোসেনকে? নূর হোসেন কে? একটা অ্যাডিকটেড ছেলে। একটা ইয়াবাখোর, ফেন্সিডিলখোর।’

মহানগর উত্তর শাখার উদ্যোগে ‘গণতন্ত্র দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত দলীয় আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

রাঙ্গা বলেন, নূর হোসেনকে নিয়ে গণতান্ত্রিক দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নাচানাচি করে। বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় দেখবেন নূর হোসেন দিবস। সেই নূর হোসেন চত্বর এরশাদ করে দিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির গণতন্ত্রটা হলো এমন, যারা অতি ফেন্সিডিলখোর, ইয়াবাখোর, যারা ক্যাসিনোর ব্যবসা করে, তারাই হলো গণতন্ত্রের সোনার সন্তান।

এরশাদ গণতন্ত্রের ধারাক-বাহক ছিলেন দাবি করে রাঙ্গা বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন এরশাদ।

১০ নভেম্বর জাতীয় পার্টির আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন দলটির মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা

যদি বিশ্বজিৎ, আবরারকে হত্যা করা না হতো তাহলে আমরা বলতাম গণতন্ত্র আছে মন্তব্য করে রাঙ্গা বলেন, একজন সরকারি কলেজের অধ্যক্ষকে পুকুরে নিক্ষেপ করে দেওয়া হলো। গণতন্ত্রের সোনার ছেলেরা, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাকে পুকুরে ফেলে দিয়েছে।

নূর হোসেনকে হত্যার ঘটনায় এরশাদ সরকার দায়ী ছিল না দাবি করে জাপা মহাসচিবের তির্যক মন্তব্য, ‘নেশাখোর নূর হোসেনকে এমন গুলি করলো... এরশাদের সময় এমন গুলিও ছিল, যা বুকের সামনে দিয়ে ঢুকে আবার পেছন দিয়ে লাগে। এটা ঘুরে আসে!... সামনে দিয়ে গুলি করছে, সেটা ঘুরে এসে নূর হোসেনের পেছন দিকে লেগেছে! যদি বুকের মধ্যে লাগতো তাহলে বুঝতাম পুলিশ করেছে।

একজন নূর হোসেনের মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে এত হইচই হলেও বর্তমানে এমন কোনও দিন নাই বাংলাদেশে মানুষ মরছে না বলেও মন্তব্য করেন রাঙ্গা। তিনি অভিযোগ করেন, দেশে এখন হাজার হাজার খুন হচ্ছে। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে একজন মহিলাও আরেক মহিলাকে কোপাচ্ছে!

নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থানের আরেক শহীদ ডা. মিলনকে বিএনপি পেছন থেকে গুলি করে হত্যা করেছে বলেও দাবি করেন রাঙ্গা। তিনি বলেন, ‘‘তারা লাশ চেয়েছিল। তখন এরশাদ বলেছিলেন আমরা কী ঠেকা পড়েছে ক্ষমতায় থাকার! তখন তিনি বলেছিলেন, ঠিক আছে তোমরা ক্ষমতা নাও। কিন্তু, আমাকে জেলে নিতে পারবে না, এটা তোমরা লিখে দাও। কিন্তু বিচারপতি নামের ‘কলঙ্ক’ সাহাব উদ্দিন সেটা মানেননি।’’

 

 

আরপি/এমএইচ



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top