রাজশাহী বৃহঃস্পতিবার, ২৮শে মার্চ ২০২৪, ১৫ই চৈত্র ১৪৩০


সেন্সরে আটকে গেল ‘বর্ডার’


প্রকাশিত:
৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৫:০৩

আপডেট:
৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৫:০৪

ছবি: সংগৃহীত

ট্রেলারে বেশ চমক দেখিয়েছিল সৈকত নাসির নির্মিত ‘বর্ডার’ সিনেমাটি। নির্মাতার ইচ্ছা ছিল শিগগিরই ছবিটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি দেওয়ার। সেটি আর হচ্ছে না। সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র পায়নি এই চলচ্চিত্র। সংবাদমাধ্যমকে এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বোর্ডের উপপরিচালক মো. মমিনুল হক।

তিনি বলেন, ‘আমরা গত সপ্তাহে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দিয়েছি। সিনেমাটি হলে প্রদর্শনের অনুপোযুক্ত হিসেবে ঘোষণা দিয়েছি।’

সেন্সরে আটকে যাওয়ার বিষয়টি জানতে পেরেছেন সৈকত নাসির। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বোর্ডের চিঠিতে অনেকগুলো পয়েন্ট ছিল। আমরা নিজেদের মতো করে কিছু সংশোধন করে ছবিটি আগামী মাসে জমা দেব।’

ঠিক কী কারণে চলচ্চিত্রটিকে প্রদর্শনের সনদ দেওয়া হয়নি সে বিষয়ে মুখ খোলেননি নির্মাতা ও সেন্সর বোর্ড। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বোর্ড কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সিনেমাটিতে জনপ্রতিনিধিদের নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া সীমান্তবর্তী অঞ্চল হওয়া সত্তেও বিজিবির পরিবর্তে পুলিশকে আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে করতে দেখা গেছে। একারণেই সেন্সরে আটকে দেওয়া হয়েছে সিনেমাটি।

এ প্রসঙ্গেও কথা বলেছেন নির্মাতা। তিনি বলেন, ‘আমরা সীমান্তবর্তী এলাকার গল্প বললেও সীমান্তের গল্প বলিনি। সেখানকার একটি থানার গল্প বলেছি। সেখানে একটি বিশেষ ঘটনা নিয়ে পুলিশ কাজ করে। তাছাড়া গল্পে একটা পর্যায়ে পুলিশ সীমান্তে যায়, তখন অফিসার তার অধীনস্থকে জিজ্ঞেস করেন, এটা তো সীমান্ত এলাকায়, এখানে কিন্তু বিজিবির অনুমতি নিতে হবে। তা নেওয়া হয়েছে কি না? জবাবে তাকে জানানো হয় লিখিত ও মৌখিক দুই ধরণের অনুমতিই নেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ আমাদের ভালো করেই ধারণা আছে সীমান্ত এলাকায় কার কী দায়িত্ব।’

এসময় তিনি আরও বলেন, ‘মন্ত্রী, এমপির কোনো গল্প আমরা দেখাইনি। শুধু একজন পিএসের গল্প দেখিয়েছি। কিন্তু সে কীসের পিএস তা তো আমরা গল্পে বলিনি। কেউ যদি ধরে নেন সে মন্ত্রী, এমপির লোক- তা তো দুঃখজনক।’

সীমান্তবর্তী একটি গ্রামের নাম সুলতানপুর। ওই গ্রামে জলের ওপর পদ্ম ভাসে, জলের নিচে লাশ। সে জনপদের হাকিম-হুকুম সব বাবাজানের হাতে। তার কথায় এক ঘাটে জল খায় গ্রামের সকলে। এমনই এক গল্পে সৈকত নাসির নির্মাণ করেছেন ‘বর্ডার’ সিনেমা।

‘বর্ডার’ সিনেমায় ‘বাবাজান’ চরিত্রটিতে অভিনয় করেছেন আশীষ খন্দকার। তিনি ছাড়াও বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন সুমন ফারুক, সাঞ্জু জন, অধরা খান, রাশেদ মামুন অপু, মৌমিতা মৌ, শাহিন মৃধাসহ অনেকে। সিনেমাটি প্রযোজনা করেছে ম্যাক্সিমাম এন্টারটেইনমেন্ট। পরিবেশনার দায়িত্বে আছে জাজ মাল্টিমিডিয়া।

আরপি/ এসএডি-০৯



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top