রাজশাহী বুধবার, ২৪শে এপ্রিল ২০২৪, ১২ই বৈশাখ ১৪৩১


কুকুর দেখলেই ভালোবাসায় ছুটে যান জয়া


প্রকাশিত:
২৪ জুন ২০২১ ১৬:৪৬

আপডেট:
২৫ জুন ২০২১ ২২:১২

কুকুর দেখলেই ভালোবাসায় ছুটে যান জয়া।

জয়া আহসানদের পরিবারে কতজন সদস্য? দুই বোন, এক ভাই আর মা। ভুল উত্তর। সঠিক উত্তর হবে তিন বোন, এক ভাই আর মা। এই তৃতীয় বোন আর কেউ নয়, জয়ার পোষা কুকুর, ক্লিও। বেশ কয়েক বছর ধরে সে আছে জয়াদের সঙ্গে। আর সে–ই নাকি জয়ার মায়ের সবচেয়ে লক্ষ্মী বাচ্চা, জয়ার ছোট বোন, বড় আদরের ছোট বোন। জয়ার দিন শুরু হচ্ছে ক্লিওকে নিয়ে। বিকেল কাটছে ক্লিওকে সঙ্গী করে। আবার জয়ার সঙ্গে নিয়ম করে বিশ্বের ক্ল্যাসিক সিনেমাগুলোও দেখতে বসে যাচ্ছে ক্লিও। সিনেমার কী বোঝে সে, কে জানে! তবে মন দিয়ে তাকিয়ে থাকে স্ক্রিনের দিকে।

একবার জয়া আহসানের একটা সাক্ষাৎকার নিতে গেলাম তাঁর ছোট বোন কান্তা করিমের গুলশানের বাড়িতে। দরজা খুলে দিলেন কান্তা করিম। দরজা খুলতেই ফাঁক গলে বেরিয়ে এল একটা কৌতূহলী মুখ। সে আর কেউ নয়, গোল্ডেন রিট্রিভার কুকুর ক্লিওপেট্রা ওরফে ক্লিও। আমি তো ভয়ে উল্টে প্রায় পড়ে যাচ্ছিলাম। অবস্থা বেগতিক দেখে কান্তা করিম তড়িঘড়ি আশ্বস্ত করে বললেন, ‘ভয় পাবেন না, ভয় পাবেন না, ও খুবই লক্ষ্মী বাচ্চা।’ সেই লক্ষ্মী বাচ্চা ক্লিওকে নিয়ে হাঁটতে বের হলেন একজন সহকারী। ফিরে আসার কিছুক্ষণের ভেতরেই ভাব হয়ে গেল তার সঙ্গে।

জয়াদের পোষা প্রাণী ক্লিও যে আসলেই ‘লক্ষ্মী বাচ্চা’, তার প্রমাণ পাওয়া গেল। খাবার টেবিলে নানা কিছু সাজানো। কিন্তু সে কিছুই নিয়ে খাচ্ছে না। জয়া একটা বিস্কুট তুলে দিল। সেটাই লুফে নিয়ে খেল। তা দেখে আমিও সাহস পেলাম। ক্লিওকে বিস্কুট খাওয়ানো শুরু করলাম।

জয়া বলেন, তাঁদের চার ভাই বোনের ভেতর নাকি ক্লিওই সবচেয়ে বেশি লক্ষ্মী, কথা শোনে। আর এই সার্টিফিকেট দিয়েছেন আর কেউ নন, খোদ জয়ার মা। করোনার কারণে দীর্ঘ সময় দেশে আছেন জয়া। কিন্তু পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে বাংলাদেশ-ভারত দুই দেশ মিলিয়েই তাঁর কাজ করতে হয়। কিন্তু যখনই কাজের জন্য ভারতে যান, জয়ার মনটা পড়ে থাকে তাঁর ঢাকার বাসায়। কারণ, জয়ার ‘ছোট বোন, বড় আদরের ছোট বোন’ ক্লিওপেট্রা যে তাঁর অপেক্ষায় থাকে এখানে। ব্যস্ততায় যে জয়ার ইন্টারভিউ দেওয়ারই ফুরসত মেলে না, ছুটি পেলে তিনি তাঁর সমস্ত দিন কাটান ক্লিওর সঙ্গে।

কেবল ক্লিওই নয়, শুরু থেকেই মানুষের সবচেয়ে বিশ্বস্ত সঙ্গী কুকুরের জন্য হৃদয়ে বিশেষ জায়গা রয়েছে জয়ার। কুকুর দেখলেই ভালোবাসায় ছুটে যান জয়া। কুকুরগুলোও যেন বোঝে, কোথায় গেলে মুফতে মিলবে আদর। তাই অকারণে ঘুরঘুর করে জয়ার আশপাশে।

লকডাউনে জয়া নিজেই রিকশায় করে খাবার নিয়ে পথের কুকুরকে খাইয়েছেন মাংস–ভাত। সম্প্রতি আরেকটা কুকুর নিয়েছেন তিনি। নাম দিয়েছেন নিমকি।

আরপি/এআর


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top