অবাধ্য মেয়ের মাথা ন্যাড়া করে কারাগারে মা
নবম শ্রেণি পড়ুয়া এক কিশোরী বিয়েতে রাজি না হওয়ায় শিকল দিয়ে বেঁধে রেখে মাথা ন্যাড়া করে দিয়েছেন মা। এ ঘটনায় ওই কিশোরী বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছে।
শনিবার (০৪ জানুয়ারি) বিকেলে বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার খোট্টাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। রাতে কিশোরীর মা ও ফুফুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। রোববার (০৫ জানুয়ারি) সকালে আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ের আয়োজন করলে ফুফাতো বোনের বাড়িতে আত্মগোপন করে কিশোরী। ৩১ ডিসেম্বর কিশোরীকে জোর করে ফুফাতো বোনের বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে নিয়ে আসেন মা। শনিবার বিকেলে বিয়েতে রাজি না হওয়ায় শয়নকক্ষের খাটের সঙ্গে শিকল দিয়ে বেঁধে মেয়েকে ন্যাড়া করে দেয়া হয়।
প্রতিবেশীরা জানায়, কিশোরীর বাবা টেম্পোচালক। মা-বাবার অবাধ্য ছিল কিশোরী। পরিবারের সম্মানহানি করে আসছিল সে। কখনো জান্নাতি, কখনো লতা নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন স্থানে অসামাজিক কার্যকলাপ করে বেড়াত। তাই পরিবারের মান-সম্মান রক্ষায় তাকে বিয়ে দিতে উদ্যোগ নেয় পরিবার। কিন্তু কথা না শোনায় তাকে ন্যাড়া করে দেয়া হয়। যাতে লোকলজ্জায় বাড়ির বাইরে বের হতে না পারে। মেয়ের ভবিষ্যত ভালো করতে গিয়ে মা ও ফুফুকে জেলে যেতে হলো।
তবে নির্যাতনের শিকার কিশোরীর ভাষ্য, আমি পড়ালেখা করতে চাই। কিন্তুু আমার পরিবার সেটি চায় না। এ কারণে আমাকে জোর করে বিয়ে দেয়ার পরিকল্পনা করেছিল তারা। বিয়েতে রাজি না হওয়ায় আমাকে ন্যাড়া করে দেয়া হয়।
খোট্টাপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল ফারুক বলেন, কিশোরীর মাথা ন্যাড়া করে দেয়া অন্যায় হয়েছে। তবে ওই কিশোরীর স্বভাব-চরিত্র ভালো নয় বলে জেনেছি। বিভিন্ন জায়গায় যাতায়াত করত কিশোরী।
এ বিষয়ে শাজাহানপুর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) রামজীবন ভৌমিক বলেন, এ ঘটনায় পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। এর মধ্যে কিশোরীর মা ও ফুফুকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
এএম/এমএস
বিষয়: ন্যাড়া মাথা মেয়ে মা কারাগার
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: