রাজশাহী সোমবার, ২১শে এপ্রিল ২০২৫, ৯ই বৈশাখ ১৪৩২


ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর শারীরিক অবস্থার অবনতি


প্রকাশিত:
১ জুলাই ২০২০ ১৬:০৩

আপডেট:
২১ এপ্রিল ২০২৫ ১০:৩৫

ছবি: সংগৃহীত

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর শারীরিক অবস্থা আবারও অবনতি হয়েছে। তিনি সেকেন্ডারি নিউমোনিয়ায় ভুগছেন। তার শরীর খুবই দুর্বল হয়ে পড়েছে।

মঙ্গলবার বিকালে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের জিআর কোভিড-১৯ র‌্যাপিড ডট ব্লট কিট প্রকল্পের সমন্বয়কারী ডা. মুহিব উল্লাহ খোন্দকারের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী কোভিড-১৯ পরবর্তী সেকেন্ডারি নিউমোনিয়ায় ভুগছেন। সপ্তাহে ৩ বার ডায়ালাইসিস নির্ভর কিডনি রোগী হিসেবে দীর্ঘ একমাস রোগ ভোগের কারণে শরীর খুবই দুর্বল। স্বরযন্ত্রে প্রদাহের কারণে বর্তমানে কথা বলা নিষেধ। আল্লাহর রহমত, এ দেশের হাজারও মানুষের দোয়া এবং সীমাহীন মানসিক দৃঢ়তায় তিনি রোগের সঙ্গে লড়ে যাচ্ছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে গতকাল (সোমবার) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ দেখে গিয়েছেন। তিনি প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়েছেন এবং তার (ডা. জাফরুল্লাহ) অবস্থার অগ্রগতি সম্পর্কে নিয়মিতভাবে জানাতে বলেছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, জিআর কোভিড-১৯ র‌্যাপিড অ্যান্টিবডি কিট নিবন্ধন না পাওয়া জাফরুল্লাহ চৌধুরী খুবই বিষণ্ণ। তবে ওষুধ প্রশাসন ও বিএসএমএমইউ কিটের উন্নয়নে সহায়তা করবে জানতে পেরে তিনি ধন্যবাদ জানিয়েছেন। গণস্বাস্থ্য আরএনএ বায়েটেক লিমিটেড কিটের আরও উন্নত সংস্করণ তৈরি করেছে। তিনি আশাবাদ প্রকাশ করেছেন, শিগগিরই কিটটি নিবন্ধন পাবে এবং বিএসএমএমইউ দ্রুত অ্যান্টিজেন কিটের পরীক্ষার কাজও শুরু করবে।’

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল করোনা রোগীদের জন্য শিগগিরই ১৫ শয্যার একটি আইসিইউ শয্যা চালু করতে যাচ্ছে। অসুস্থতার মধ্যেও তিনি (ডা. জাফরুল্লাহ) অর্থ জোগাড় করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন এবং সার্বিক কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ করছেন। জাফরুল্লাহ সবার দোয়া চেয়েছেন এবং তার স্বপ্ন বাস্তবায়নে দেশের অবস্থাপন্নদের সহায়তা চেয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত ২৫ মে ডা. জাফরুল্লাহ করোনায় আক্রান্ত হন। এরপর নিজের প্রতিষ্ঠিত গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল ভর্তি হয়ে গত ১৩ মে তিনি করোনামুক্ত হন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার ফুসফুসে নিউমোনিয়ার সংক্রমণ দেখা দেয়। এ জন্য তাকে কৃত্রিম অক্সিজেন ও অ্যান্টিবায়োটিক দেয়া হয়েছিল। এরপর ধীরে ধীরে তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হতে থাকে। কৃত্রিম অক্সিজেন ছাড়াই শ্বাস নিতে পারতেন। ফুসফুসের সংক্রমণও উন্নতির দিকে যাচ্ছিল। কিন্তু মঙ্গলবার জানা গেল তার শারীরিক অবস্থা আবার অবনতি হয়েছে।

 

আরপি/ এআর-০৬



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top