রাজশাহী শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ই আশ্বিন ১৪৩১


বাংলাদেশের জলসীমায় বিদেশিরা মাছ ধরলে ৫ কোটি টাকা জরিমানা


প্রকাশিত:
৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৬:১৩

আপডেট:
৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৬:৫১

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের জলসীমায় এসে বিদেশিরা নৌযান নিয়ে অবৈধভাবে মাছ ধরলে ৫ কোটি টাকা জরিমানা বা ৩ বছরের কারাদণ্ড বা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। এমন শাস্তির বিধান রেখে ‘সামুদ্রিক মৎস্য আইন, ২০১৯’ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।


১৯৮৩ সালের দ্য মেরিন ফিসারিজ অর্ডিন্যান্স বাংলায় অনুবাদ করে নতুন আইনটি করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এত দিন এক বছর পর পর মাছধরা নৌযানগুলোকে লাইসেন্স নিতে হত, এখন দুই বছর পর পর লাইসেন্স নিতে হবে।’

বাণিজ্যিক ট্রলার কীভাবে আমদানি করা হবে। নিরাপত্তার বিষয় কি হবে- খসড়া আইনে সেই বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে বলে জানান খন্দকার আনোয়ার।

‘মাছধরা নৌকাগুলো ক্রাইম করলে কী সাজা দেয়া হবে। আমাদের সীমানায় বাইরে লোকজন এসে মাছ ধরলে কী হবে আইনে তার ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে।’

অপরাধের শাস্তি দিতে এ আইনটি মোবাইল কোর্ট আইনের সিডিউলে অন্তর্ভুক্ত করা হবে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা গেলে তাৎক্ষণিক সাজা দেয়া যায়। তাৎক্ষণিক সাজা দেয়া গেলে ইমপ্যাক্টটা ভালো হবে।’


‘বিদেশি মাছ ধরা জাহাজ অপরাধ করলে তিন বছরের জেল বা সর্বোচ্চ ৫ কোটি টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড দেয়া হবে। আগে এ অপরাধের সাজা ছিল এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড এবং তিন বছরের জেল।’

এই আইনে মোট ১২টি অধ্যায় ও ৬৩টি ধারা রয়েছে বলে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণায় থেকে জানা গেছে। খসড়া আইনানুযায়ী, অ-নিয়ন্ত্রিত মৎস্য আহরণ নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকার আদেশ বা নির্দেশ দিতে পারবে। ব্লু-ইকোনমি প্রসারে সরকার মেরিকালচার এলাকা ঘোষণা করতে পারবে।

আরপি/ এএস


বিষয়: মৎস আইন


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top