রাজশাহী বৃহঃস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল ২০২৪, ১২ই বৈশাখ ১৪৩১


নাহিদকে কোপানো সেই ইমন এখন কোথায়?


প্রকাশিত:
২৫ এপ্রিল ২০২২ ২২:৪৪

আপডেট:
২৫ এপ্রিল ২০২৪ ০০:৩৪

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর নিউমার্কেটের ব্যবসায়ীদের সাথে ঢাকা কলেজের ছাত্রদের সংঘর্ষের সময় নাহিদকে কোপানো ইমনকে খুঁজছে পুলিশ। ইমন ঢাকা কলেজের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী। প্রতিষ্ঠানটির ইন্টারন্যাশনাল হলের ১০১ নম্বর কক্ষে থাকতেন তিনি। তার বাসা খুলনার পাইকগাছায়।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ জানায়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, নিথর পড়ে থাকা একটি দেহের ওপর নির্মমভাবে কোপাচ্ছে এক যুবক। হেলমেট পরা যুবকের নাম ইমন। তিনি ঢাকা কলেজের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী। থাকতেন ঢাকা কলেজের ইন্টারন্যাশনাল হলের ১০১ নম্বর কক্ষে। 

তদন্তকারীদের তথ্যানুসারে, মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) বেলা ১১টা থেকে দুপুর পর্যন্ত নিহত নাহিদ ব্যবসায়ী-কর্মচারীদের পক্ষ হয়ে সংঘর্ষে জড়ান। একটি বড় ছাতা হাতে তাকে সংঘর্ষের একদম সামনে অন্তত দুই ঘণ্টা ধরে দেখা যায়। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার একপর্যায়ে ইটের আঘাতে আহত হয়ে সড়কে পড়েন নাহিদ। এরপর তার ওপর নির্মম হামলা চালায় হেলমেটধারী কিছু যুবক।

ইমনকে খুঁজতে এরই মধ্যে গতকাল (রোববার) বিকেলে ঢাকা কলেজের ইন্টারন্যাশনাল হলের ১০১ নম্বর কক্ষে যৌথভাবে অভিযান চালিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ ও র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

ডিবি-র‌্যাবের একাধিক সূত্র জানা যায়, অভিযানে কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তবে ইমনকে এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাকে খুঁজতে এখনো অভিযান চলমান।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, নিউমার্কেটে সংঘর্ষের ঘটনায় দুটি হত্যা মামলার তদন্ত করছে গোয়েন্দা পুলিশ। নিহত নাহিদ ও মুরসালিনকে কোপানো কয়েকজনকে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের গ্রেফতারে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

অন্যদিকে ঢাকা কলেজের প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ডিবি ও র‌্যাবের অভিযানে দুটি মোবাইলসহ একজন শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে। আটক শিক্ষার্থীর নাম জহির হাসান জুয়েল। তিনি ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের সর্বশেষ কমিটির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও হিসাববিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী।

গত ১৮ এপ্রিল রাত ১২টার দিকে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী ও কর্মচারীদের সংঘর্ষ হয়। প্রায় আড়াই ঘণ্টা চলে এ সংঘর্ষ। এরপর রাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলেও পরদিন ১৯ এপ্রিল সকাল ১০টার পর থেকে ফের দফায় দফায় শুরু হয় সংঘর্ষ, যা চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত।

 

 

আরপি/এসআর-০৮



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top