রাজশাহী সোমবার, ২৩শে সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ই আশ্বিন ১৪৩১


ঢাকামুখী মানুষের ঢল


প্রকাশিত:
৩১ জুলাই ২০২১ ২০:০৮

আপডেট:
২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০১:২১

রবিবার (১ আগষ্ট) থেকে খুলে দেয়া হচ্ছে শিল্প কলকারখানা। ফলে কর্মস্থলে ফিরতে মানুষের ঢল নেমেছে সড়কে। শনিবার (৩১ জুলাই) সকাল থেকে ঢাকামুখী মানুষের ভিড় ছিল। রাজধানীতে প্রবেশের সবগুলো পথে যানবাহন এবং পায়ে হেঁটে ঢাকায় প্রবেশ করা মানুষের চাপ সবচেয়ে বেশি রয়েছে। আগামীকাল রবিবার থেকে শিল্প-কারখানা খোলার খবরে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ শিমুলিয়া ও পাটুরিয়া ফেরিঘাট হয়ে ঢাকায় ফিরছেন।

কঠোর বিধিনিষেধের কারণে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় পথের চরম ভোগান্তি নিয়ে ঢাকায় প্রবেশের পথগুলোতে এসেও মানুষের সস্তি মিলছে না। গাবতলীর আমিনবাজার ব্রিজ পার হয়ে আজ সকাল থেকেই হাজার হাজার মানুষকে ঢাকায় প্রবেশ করতে দেখা যায়। যানবাহনের চাপও আগের চেয়ে কয়েকগুণ বেড়েছে। চেকপোষ্টে পুলিশ যানবাহনের গতিরোধ করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও পায়ে হেঁটে ঢাকায় ফেরা মানুষকে জিজ্ঞাসাবাদ করা সম্ভব হচ্ছে না।

পুলিশ সদস্যরা জানান, গার্মেন্টসসহ সব কারখানা খুলে দেওয়ার কারণে আজ সকাল থেকে সড়কে মানুষ এবং যানবাহনের চাপ বেড়েছে।

গার্মেন্টস কর্মী দেলোয়ার হোসেন জানান, রবিবার থেকে গার্মেন্টস খুলবে। কাজে যোগ দেওয়ার জন্য থেকে ফোন করেছে। কালকে কাজে যোগ দিতে হবে, তাই আজ দ্বিগুণ ভাড়া দিয়ে ভেঙে ভেঙে গাবতলী পর্যন্ত এসেছি। নাজমা বেগম নামে অপর এক গার্মেন্টস কর্মী জানান, তিনি তেজগাঁও এলাকার একটি গার্মেন্টস এ কাজ করেন। ফোনে জানানো হয়েছে আগামীকাল থেকে কাজ শুরু হবে। তাই তিনি ফরিদপুরের মধুখালী থেকে ভেঙে ভেঙে গাবতলী এসেছেন।

রাজধানীর আব্দুল্লাহপুরের প্রবেশপথ দিয়ে আজ সকাল থেকে প্রচুর মানুষ ঢাকায় ফিরছে। টঙ্গী ব্রিজ পার হয়ে এবং আশুলিয়ার দিক থেকে একযোগে এসে আব্দুল্লাহপুর মোড়ে মানুষের ঢল নেমেছে। মানুষের সঙ্গে মোটরসাইকেল ও ভাড়া করা ব্যক্তিগত গাড়িতে লোকজন ঢাকায় ফিরছে। চেক করতে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তারা নানা ধরনের অজুহাত দেখাচ্ছে। পুলিশের সঙ্গে তর্কাতর্কি হচ্ছে। আব্দুল্লাহপুর থেকে অনেকে ঢাকা ফেরার যানবাহন না পেয়ে পায়ে হেঁটেই নিজ নিজ গন্তব্যে যাত্রা শুরু করেন।

রাজধানীর সাইনবোর্ড যাত্রাবাড়ী এলাকায় অবস্থাও একই রকম। এখানেও সকাল থেকে মানুষের ঢল নেমেছে। সুলতানা রহমান জানান, গার্মেন্টস খেলার খবর পেয়েই তিনি কুমিল্লা থেকে সকালে রওয়ানা দিয়ে ঢাকায় পৌঁছেছেন।

পুরান ঢাকার বাবুবাজার ব্রিজ এলাকায় শিমুলিয়া ঘাট হয়ে ঢাকায় ফেরা মানুষের ভিড়। শিমুলিয়া ঘাট থেকে কয়েক গুণ বেশি ভাড়া দিয়ে ছোট ছোট পরিবহনের মাধ্যমে গ্রামের রাস্তা দিয়ে কেরানীগঞ্জে চলে আসছে। এরপর তারা পায়ে হেঁটে বাবুবাজার ব্রিজ পার হয়ে ঢাকায় প্রবেশ করছে।

এদিকে, প্রধান দুই ফেরিঘাট শিমুলিয়া এবং পাটুরিয়াতে ঢাকামুখী মানুষের চাপ সকাল থেকে কয়েকগুণ বেড়েছে বলে জানা গেছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উভয় ফেরিঘাট এলাকায় যাত্রীর ভিড় বাড়ছে। প্রতিটি ফেরিতেই মানুষের উপচে পড়া ভিড়। সামাজিক দূরত্ব না মেনে গাদাগাদি করে হাজার হাজার যাত্রী মাদারীপুরের বাংলাবাজার এবং রাজবাড়ী দৌলতদিয়া ফেরিঘাট থেকে নদী পার হয়ে পাটুরিয়া এবং শিমুলিয়ায় আসছে।

এ সময় গাদাগাদি করে এতটাই ভিড় যে ফেরি খোলার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীরা হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন। ঘাট পার হয়ে অতিরিক্ত ভাড়ায় মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকার, রিকশা, ভ্যান, পিকআপে ঢাকার প্রবেশপথে চলে আসছেন। পাটুরিয়া ফেরিঘাট থেকে প্রাইভেটকারে গাবতলী পর্যন্ত এক হাজার থেকে দেড় হাজার টাকা ভাড়া যাত্রীদের গুনতে হচ্ছে।

 

আরপি/আআ



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top