রাজশাহী শনিবার, ২০শে এপ্রিল ২০২৪, ৭ই বৈশাখ ১৪৩১


ব্লাকমেইলের শিকার হয়ে আত্মহত্যা করেন অঙ্কুশের সহকারী


প্রকাশিত:
১৪ মার্চ ২০২১ ১৭:১৬

আপডেট:
২০ এপ্রিল ২০২৪ ০১:৩৯

ছবি: সংগৃহীত

অঙ্কুশ-ঐন্দ্রিলার ব্যক্তিগত সহকারীর মৃত্যুর ঘটনায় রাজস্থানের ভরতপুর থেকে আয়ুব খান (৩৬) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিনি ভরতপুরের কামান থানার আংগ্রাওয়ালির বাসিন্দা। গত বৃহস্পতিবার সকালে আয়ুবকে আটক করে পুলিশ। সেই দিনই তাকে আদালতে হাজির করে রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ।

গত ২ মার্চ স্থানীয় সময় রাতে কলকাতার কাঁকুড়গাছির বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরদিন ৩ মার্চ সকালে সেই খবর অনলাইনে ছড়িয়ে পড়তেই উত্তেজনা ছড়ায় টলিপাড়ায়। পরিবারের অভিযোগ ছিল, নিয়মিত টাকা চেয়ে হুমকি দেয়া হতো পিন্টুকে। গত দেড় মাসে তার অ্যাকাউন্ট থেকে ধাপে ধাপে মোট ৩০ হাজার ভারতীয় রুপি তুলে অজ্ঞাত ব্যক্তিকে পাঠানো হয়েছে। এ কারণেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন পিন্টু।

এদিকে আয়ুব খানকে গ্রেফতারের পর পুলিশ জানিয়েছে, হোয়াটসঅ্যাপে আসা অজ্ঞাতপরিচয় সুন্দরী নারীদের প্রোফাইল দেখে অনেকেই সাড়া দেন। এই ফাঁদে ফেলেই নিজেকে নারী দাবি করে বাপ্পার সঙ্গে চ্যাট করে জালিয়াত।

নারীর অশ্লীল ভিডিও পাঠিয়ে বাপ্পাকেও তার অশ্লীল ভিডিও পাঠাতে বলা হয়। সেই ভিডিওকে কেন্দ্র করেই শুরু হয় ব্ল্যাকমেইল। ভিডিওটি আপলোড করার ভয় দেখিয়ে অন্তত এক মাস ধরে বাপ্পাকে ব্ল্যাকমেইল করা হয়েছে। কখনও দুই, কখনও তিন হাজার টাকা চাওয়া হয়।

পরে দুই দফায় তিনি ৫ হাজার টাকা ও এক দফায় দশ হাজার টাকা ই-ওয়ালেটের মাধ্যমে জালিয়াতদের পাঠান বাপ্পা। এমনকি তিনি অঙ্কুশের কাছ থেকে টাকা চেয়েও জালিয়াতদের দেন বলে দাবি পরিবারের। সে টাকা পাঠানোর পরও বাপ্পার কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা চাওয়া হয়।

কিন্তু ওই টাকা দেয়ার ক্ষমতা তার ছিল না। তখন জালিয়াত চক্রের সদস্য হোয়াটসঅ্যাপে একজন পুলিশ কর্মকর্তার ভুয়া পরিচয়পত্র পাঠায়। তিনি হুমকি দেন টাকা না দিলে তাকে গ্রেফতার করানো হবে। পরিবারের দাবি, বাপ্পা এই চাপ নিতে পারেননি বলেই আত্মহত্যা করেন।

আরপি / এমবি-৪



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top