বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা হলে বিসিএস নিয়ে নেব : পিএসসি চেয়ারম্যান
করোনাভাইরাসের কারণে স্থবির হয়ে গেছে সবকিছু। দীর্ঘ সাত মাসের বেশি সময় ধরে বন্ধ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বন্ধ হয়ে গেছে চাকরির পরীক্ষাও। বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) সব নিয়োগ পরীক্ষাও অনিশ্চয়তায় পড়েছে। ৪০তম ও ৪১তম বিসিএসের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। এখন ৪২ ও ৪৩তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। ফলে চারটি বিসিএসসহ পিএসসির অধীন নিয়োগ পরীক্ষা কবে হবে, তা নিয়ে উদ্বেগে রয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা।
পিএসসি সূত্র জানিয়েছে, এসব পরীক্ষা নেয়ার জন্য করোনা পরিস্থিতির ওপর অনেক কিছু নির্ভর করছে। এখন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পরীক্ষার দিকে নজর রাখছে পিএসসি কর্তৃপক্ষ। এ পরীক্ষা হলে পিএসসিও বিসিএসসহ গুরুত্বপূর্ণ সব পরীক্ষা নেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এছাড়া শিগগিরই করোনার ভ্যাকসিন চলে আসবে বলে তারা মনে করছেন। এ পরীক্ষা শুরু হলে নিয়োগ পরীক্ষার জট দূর হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এ বিষয়ে পিএসসির চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘শিগগিরই হয়তো করোনার ভ্যাকসিন চলে আসবে। শীতটা কমলে করোনার প্রকোপও কমবে। তখন আমরা সব বিসিএসের কার্যক্রম দ্রুত শেষ করার চেষ্টা করব। ৪০তম বিসিএসের খাতা দেখা শেষ পর্যায়ে। এখন তৃতীয় পরীক্ষকের লিখিত পরীক্ষার খাতা দেখা বাকি আছে। প্রয়োজন না হলে আমরা তৃতীয় পরীক্ষক পর্যন্ত যাব না এবার।’
তিনি বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতির মধ্যে খাতাপত্র আনা-নেওয়ার সমস্যার কারণে ফল প্রকাশে দেরি হচ্ছে। করোনার কারণে ৪১তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষাও আটকে আছে। আমরা অপেক্ষা করছি, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভর্তি পরীক্ষার জন্য। তারা যদি পরীক্ষা নেয়, আমরাও পরীক্ষা নিয়ে নেব।’
জানা গেছে, ৪০তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফলাফল চলতি মাসেই প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছে পিএসসি সূত্র। সে অনুযায়ী, সব ধরনের প্রস্তুতিও শুরু হয়েছে। এছাড়া ফলাফল প্রকাশ করা হলে ভাইভা কবে থেকে শুরু হবে, সে বিষয়ে আগামী সপ্তাহে সিদ্ধান্ত হতে পারে বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে চলতি ডিসেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে জরুরি সভায় বসবে পিএসসি। সভায় ৪০তম বিসিএসের ফলাফল ঘোষণার বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে। এরপর উত্তীর্ণদের তালিকা প্রকাশ করে মৌখিক পরীক্ষা কবে অনুষ্ঠিত হবে, সে বিষয়েও সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
জানা গেছে, ৪০তম বিসিএসে ফলাফলের জন্য দীর্ঘদিন অপেক্ষা করছেন চাকরিপ্রার্থীরী। গত বছরের মে মাসে ৪০তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এর প্রার্থী ছিলেন চার লাখ ১২ হাজার ৫৩২ জনের বেশি। প্রিলিমিনারিতে উত্তীর্ণ হন ২০ হাজার ২৭৭ জন। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে ৪০তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
এই বিসিএসের মাধ্যমে এক হাজার ৯০৩ জন ক্যাডার নিয়োগ দেওয়া হবে। তবে এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। এরইমধ্যে ৪২তম ও ৪৩তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে পিএসসি। এছাড়া ৪১তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি এখনও অনুষ্ঠিত হয়নি। ৪২তম বিসিএসের মাধ্যমে শুধু দুই হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হবে।
আরপি/টিএস-০৫
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: