রাজশাহী সোমবার, ২৮শে এপ্রিল ২০২৫, ১৬ই বৈশাখ ১৪৩২

২ আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

চারঘাটের বৃদ্ধ মানসুরকে গলা কেটে হত্যার রহস্য উদঘাটন


প্রকাশিত:
১৯ ডিসেম্বর ২০২০ ০৩:৪৮

আপডেট:
১৯ ডিসেম্বর ২০২০ ০৩:৫২

হত্যাকাণ্ডে দুই আসামি

রাজশাহীর চারঘাট থানাধীন শলুয়া ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের বৃদ্ধ মানসুর রহমানকে (৭০) গলা কেটে হত্যা করা হয়। গত ১৩ ডিসেম্বর রাত আনুমানিক ৯টায় তিনি নিজ বাড়িতে খুন হন। ওই রাতে পুলিশ তার গলাকাটা মৃতদেহ উদ্ধার করে। চাঞ্চল্যকর সেই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে রাজশাহী জেলা পুলিশ।
সেই সময় সন্দেহভাজন ২ জনকে গ্রেফতার করেছিল চারঘাট থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- একই গ্রামের মোফাজ্জেল হোসেন মোফার ছেলে রোমান হোসেন সেতু (২১) ও মোজাম্মেল হকের ছেলে ইবনে আকাওয়াদ শাওন (২৭)।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে। মূলত অর্থের লোভেই হত্যাকান্ডের ঘটনাটি ঘটিয়েছে। তারা দু’জনেই স্থানীয়ভাবে বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত বলে তদন্তে উঠে এসেছে।

জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মৃত মানসুর রহমান তার নিজ বাড়িতে একাই থাকতেন। আসামী সেতু ও শাওন এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে তার বাড়িতে চুরির পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনার অংশ হিসাবে শাওনের সহায়তায় আসামী সেতু সীমানা প্রাচীর টপকিয়ে বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করে। শাওন বাড়ির বাইরে অবস্থান করে। মৃত মানসুর দরজা খুলে বাথরুমের দিকে গেলে সুযোগ বুঝে সেতু বৃদ্ধের ঘরে ঢুকে পড়ে। এসময় বিছানা, টেবিলের ড্রয়ার ইত্যাদি ওলট-পালট করে টাকাসহ মূল্যবান সামগ্রী খুঁজতে থাকে আসামি সেতু।
বিষয়টি মৃত মানসুর রহমান টের পান এবং রুমে কে আছে বলে চিৎকার দেন। এতে বিচলিত হয়ে সেতু মানসুরকে জাপটে ধরে এবং ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে তার হাতে থাকা এনট্রি কার্টার দিয়ে গলায় আঘাত করে। এতে মানসুর মারাত্মক জখমের শিকার হন। তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় রেখে সীমানা প্রাচীর টপকিয়ে পালিয়ে যায় আসামি সেতু।

রাজশাহী জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইফতে খায়ের আলম জানান, হত্যাকান্ডের পরই বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দ্রুত তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশ দেন পুলিশ সুপার এ.বি.এম মাসুদ হোসেন (বিপিএম-বার)। এরই প্রেক্ষিতে চারঘাট সার্কেলের সিনিয়র এএসপি নূরে আলমের নেতৃত্বে চারঘাট মডেল থানা পুলিশ তদন্ত কার্যক্রম শুরু করে। দুই আসামির জবানবন্দি প্রদানের মাধ্যমে মামলার রহস্য উদঘাটিত হয়। বর্তমানে আসামি সেতু ও শাওন জেল হাজতে আটক রয়েছে বলে জানান জেলা পুলিশের এই কর্মকর্তা।

 

 

আরপি/এসকে



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top