রাজশাহী সোমবার, ২৮শে এপ্রিল ২০২৫, ১৬ই বৈশাখ ১৪৩২

রাজশাহীর বাঘা

স্বামীর সিগারেটের ছ্যাঁকায় ক্ষত নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি গৃহবধু


প্রকাশিত:
১৯ ডিসেম্বর ২০২০ ০৩:৩২

আপডেট:
১৯ ডিসেম্বর ২০২০ ০৩:৩৪

সিগারেটের ছ্যাকা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি স্ত্রী

পঁচিশ বছর বয়সে চার বিয়ে করেছেন রাজশাহীর বাঘা উপজেলার জুয়েল। অত্যাচারে তিন স্ত্রী চলে যাওয়ার পর সর্বশেষ বিয়ে করেছেন উপজেলার খাঁয়েরহাট গ্রামের নুরুল আমিনের মেয়ে সুবর্নাকে। জুয়েলও একই গ্রামের বাসিন্দা।

বছর খানেক আগে ১ লক্ষ টাকা দেনমোহর ধার্য করে সুবর্নাকে বিয়ে করেন জুয়েল। তিনিও রেহাই পাননি নির্যাতন থেকে। বৃহসপতিবার (১৭ ডিসেম্বর) রাতে সুবর্নার ডান পায়ের হাটুর নীচে ও উপরে সিগারেটের ছ্যাঁকা দেন স্বামী জুয়েল। সংবাদ পেয়ে মা নাজমা ও ভাই দুলাল রাত ৮টায় বাঘা হাসপাতালে ভর্তি করেন সুবর্ণাকে। জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শিরিন আকতার জানান, ডান পায়ের হাটুর নীচে ও উপরের অংশে বেশ কয়েকটি ক্ষতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।

শুক্রবার (১৮ডিসেম্বর) হাসপাতালের আন্তঃবিভাগের মহিলা ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায়, মেয়ের এ অবস্থা দেখে বিষন্ন মনে পাশে বসে মা নাজমা বেগম। সেখানে কথা হলে সুবর্না জানান, তাকে চেপে ধরে পায়ের হাটুর উপরে-নিচে  সিগারেটের আগুনের ছ্যাকা দেন তার স্বামী।

তিনি বলেন, শুধু এবারই নয় ,বিয়ের পর থেকে কারণে অকারণে নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে তাকে। অন্তসত্বা অবস্থায় নির্যাতনের শিকার হয়ে সন্তানও নষ্ট হয়ে গেছে। পেটে লাথি মারার কারণে রক্তক্ষরণে তার সন্তানটি নষ্ট হয়ে যায়। গরীব পরিবারের মেয়ে তাই নির্যাতন সহ্য করে সংসার করছি।

সুবর্নার মা নাজমা জানান, বিয়ের কয়েক মাস পর ধারে ত্রিশ হাজার টাকা নিয়েছিল জুয়েল। সেই টাকা চাওয়ার পর থেকেই মাঝে মধ্যে মেয়েকে নির্যাতন করে সে। এর আগে এসব কারণে জিডি করা হয়েছিল। এবারও অভিযোগ করেছেন সুবর্না। শুক্রবার (১৮ ডিসেম্বর) নিজেই বাদি হয়ে অভিযোগ করেন সুবর্না।

অভিযোগ অস্বীকার করে জুয়েল বলেন, বিয়ের পর থেকে সে আমার কথামতো চলাচল না করে, নিজের ইচ্ছামতো চলতে চায়। এনিয়ে সংসারে বাক-বিতন্ডা হয়। আমাকে ফাঁসানোর জন্য মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে।

 

 

আরপি/এসকে

 

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top