রাজশাহী মঙ্গলবার, ২৯শে এপ্রিল ২০২৫, ১৬ই বৈশাখ ১৪৩২

বাঘায় ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণের অভিযোগে যুবকের বিরুদ্ধে মামলা


প্রকাশিত:
২৬ নভেম্বর ২০২০ ০২:০৯

আপডেট:
২৯ এপ্রিল ২০২৫ ০৩:৪২

ফাইল ছবি

রাজশাহীর বাঘায় শাকিব হাসান (২৪) নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ ও সেই ভিডিও ধারণের অভিযোগে বাঘা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর)) অভিযুক্ত শাকিব হাসানের বিরুদ্ধে একটি পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন।

অভিযুক্ত শাকিব হাসান, মনিগ্রাম ইউনিয়নের তুলশিপুর গ্রামের আমিরুল ইসলামের ছেলে ও মনিগ্রাম বাজারের গ্রামীণ কৃষি উন্নয়ন কর্মসূচির পরিচালক বলে জানা গেছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, চারঘাট উপজেলার বাসিন্দা ও বাংলাদেশ পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের তৃতীয় বর্ষের (১৯) ওই ছাত্রীর সঙ্গে উপজেলার চকনারায়ণপুর গ্রামের ভ্যাগল সরকারের ছেলে রাব্বী হাসানের পরিচয় হয়। এই পরিচয়ের সূত্র ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
প্রায় দেড় বছর সম্পর্ক রাখার পর, রাব্বি হাসান চাতুরতার আশ্রয় নিয়ে তার বন্ধু শাকিব হাসানের (২৪) সঙ্গে ওই ছাত্রীকে পরিচয় করে দেন। এরপর রাব্বী তার মোবাইল নম্বর বদলে ফেললে শাকিব হাসানের সঙ্গে কলেজ ছাত্রীর যোগাযোগ হয়। তারা প্রায় মোবাইলে কথা বলতে থাকেন। এর একপর্যায়ে এক মাস আগে ওই ছাত্রীকে এক বন্ধুর বাসায় ডেকে নেয় শাকিব। সেখানে নিজেই বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণ করে এবং সেই ভিডিও ধারণ করেন। এসময় ফেসবুক-ইন্টারনেটে সেই ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয় এবং ঘটনাটি কাউকে না জানানোর জন্য ওই ছাত্রীকে বলা হয়।

পরে ২২ নভেম্বর একই কায়দায়, ভিডিওটি ফেসবুক-ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি ও বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শাকিব আবারও ধর্ষণ করেন ওই ছাত্রীকে। সেদিন বিকালে ওই ছাত্রী জানতে পারে শাকিব বিবাহিত। শাকিবের প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে মঙ্গলবার তার বাসায় যান ওই ছাত্রী । সেখানে স্থানীয় লোকজন জড়ো করেন। স্থানীয় লোকজন জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করে পুলিশকে ঘটনাটি অবগত করে। এর কিছুক্ষণ পর বাঘা থানা পুলিশ ওই ছাত্রীকে সেখান থেকে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নিয়ে যায় এবং ধর্ষণ মামলা লিপিবদ্ধ করা হয়।

স্থানীয়রা জানান, রাব্বী ও শাকিব দুই ঘনিষ্ঠ বন্ধু। এর মধ্যে রাব্বির নামে বিভিন্ন অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে।

বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, ছাত্রীর শারীরিক পরীক্ষার জন্য মঙ্গলবার রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে পাঠানো হয়েছে। আসামিকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

 

 

আরপি/এসকে



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top