রাজশাহী মঙ্গলবার, ২৬শে আগস্ট ২০২৫, ১২ই ভাদ্র ১৪৩২

রাজশাহীতে সংবাদ সম্মেলনে তরুণ-যুবকরা

বরেন্দ্র অঞ্চলের জলবায়ু-সংকট মোকাবেলায় কার্যকরী পদক্ষেপ নিন


প্রকাশিত:
২১ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১০:২৮

আপডেট:
২৬ আগস্ট ২০২৫ ১৭:৪১

বরেন্দ্র অঞ্চলের জলবায়ু-সংকট মোকাবেলায় সংবাদ সম্মেলনে তরুণ-যুবকরা

জলবায়ু পরির্বর্তনের নেতিবাচক প্রভাবে কারনে বরেন্দ্র অঞ্চলে নানামূখী সংকট দেখা দিয়েছে। তীব্র তাপদহ, খরা এবং পানি সংকটের কারনে ভবিষ্যতে এই এলাকায় সামজিক সহিংসতাসহ প্রাণবৈচিত্র্য এবং মানুষের জীবন-জীবিকা এবং খাদ্য নিরাপত্তার সংকট ভয়াবহ হবার সম্ভাবনা আছে বলে মনে করছেন বরেন্দ্র অঞ্চলের তরুণ-যুবকরা।

বিশ্ব জলবায়ু কর্ম-সপ্তাহ উদযাপন ২০২২ উপলক্ষ্যে বিশ্বের অন্যান্য দেশ এবং অঞ্চলের সাথে সংহতি প্রকাশ করে বরেন্দ্র অঞ্চলের যুবকরা সপ্তাহ ব্যাপী কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিক এবং বরেন্দ্র অঞ্চল যুব সংগঠন ফোরামের যৌথ উদ্যোগে সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচি পালিত হবে। আজ মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে ১১টায় রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সম্মেলনে বেশকিছু দাবি ও পরামর্শ উপস্থাপনের মধ্যে দিয়ে সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচির পরিকল্পনা ঘোষণা করা হয়। রাজশাহী তথা বরেন্দ্র অঞ্চলের তরুণ ও যুব সংগঠকের পাশাপাশি লেখক, গবেষক. উন্নয়নকর্মীসহ নানা শ্রেণী পেশার মানুষ সম্মেলনে উপস্থিত থেকে বরেন্দ্র অঞ্চলের জলবায়ু-সংকট মোকাবলোয় কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে নীতি নির্ধারণীদের প্রতি আহবান জানান।

সংবাদ সম্মেলনে বরেন্দ্র অঞ্চলে বিশ্ব জলবায়ু কর্ম-সপ্তাহ উদযাপন ২০২২’র লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য এবং ধারণাপত্র পাঠ করেন বরেন্দ্র অঞ্চল যুব সংগঠন ফোরামের আহবায়ক রুবেল হোসনে মিন্টু। বরেন্দ্র অঞ্চলের জলবায়ু পরিবর্তনে নেতিবাচক প্রভাবের কারনে বিভিন্ন দিকগুলো নিয়ে কথা বলেন লেখক ও গবেষক পাভেল পার্থ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন এবং সপ্তাহ ব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচীর বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন বারসিকের আঞ্চলিক সমন্বয়কারি গবেষক মো. শহিদুল ইসলাম। সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বারসিকের সমন্বয়কারি জাহাঙ্গীর আলম, আদিবাসী সংগঠক সূভাষ চন্দ্র হেমব্রম, ইয়ুথ এ্যাকশন ফর সোস্যাল চেঞ্জ ইয়্যাসের সভাপতি তরুণ সংগঠক মো. শামীউল আলীম শাওন, নারী সংগঠক তহুরা খাতুন লিলি প্রমূখ।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য আমরা মোটেও দায়ী নই। জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য আমাদের যে লস এবং ড্যামেজ হয়েছে তার ক্ষতিপূরণ পাওয়া আমাদের ন্যায়সংগত অধিকার। জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে বিশ্ব নেতৃবৃন্দ সমঝোতার নামে বছরের পর বছর দেন দরবার করে কাটিয়ে দিয়েছেন। এখনও পর্যন্ত তারা কালক্ষেপন করছেন কিন্তু তারা কোন আসু সমাধানে পৌঁছাতে পারেন নি। এর ফলে সারা বিশে^র যুব সমাজ জলবায়ু সংকট নিরসণে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জন্য বিশে^র ধনী দেশগুলোর কাছে জোর দাবী করছেন। সম্প্রতি ধনী দেশের কিশোরী প্রতিনিধি গ্রেটা থানবার্গ সম্প্রতি বিশ^ নেতৃবৃন্দের দায়িত্বহীনতার জন্য সারা বিশ^ব্যপী যুবদের নিয়ে আন্দোলন গড়ে তুলেছেন। তিনি বলেছেন, তোমরা বড়রা আমাদের কাছে মিথ্যা গল্প বলছ, এখনই তোমাদের বিলাসী জীবন বাদ দিয়ে কার্বন নির্গমন বন্ধ কর। কারণ একটাই পৃথিবী এটা না বাঁচালে ৭০০ কোটি মানুষ ও অন্যান্য প্রাণী এই পৃথিবী থেকে বিলিন হয়ে যাবে। বাংলাদেশের বরেন্দ্র অঞ্চলের তরুণ-যুবদের পাশাপাশি স্থানীয় জনগোষ্ঠী তার বক্তব্যের সঙ্গে ঐক্যমত প্রকাশ করেছেন এবং আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে স্থানীয় ভাবে আন্দোলন করছেন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top