রাজশাহী শুক্রবার, ১৭ই মে ২০২৪, ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


টেস্ট ক্রিকেটে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি লিটনের


প্রকাশিত:
২৭ নভেম্বর ২০২১ ০৩:২৩

আপডেট:
২৭ নভেম্বর ২০২১ ০৩:৩৪

ছবি: সংগৃহীত

সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ফর্মটা কথা বলছে না পক্ষে। তবে লিটন দাস টেস্ট আঙিনায় সোনায় মোড়ানো একটা বছরই যেন কাটাচ্ছেন। তবে সেঞ্চুরিটা যেন ধরা দিচ্ছিল না কিছুতেই। সেই আক্ষেপটাই পাকিস্তানের বিপক্ষে ঘোচালেন আজ। তুলে নিলেন ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি। হয়তো সেঞ্চুরি পেতে পারতেন আরও সাড়ে তিন বছর আগে। কিন্তু সময়টা ছিলো তার বিপক্ষে। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের ইনিংসের ৭৮তম ওভারের তৃতীয় বলে দ্রুত এক রান নিয়ে নিজের সেঞ্চুরি পূরণ করেছেন ২৭ বছর বয়সী ব্যাটার।

এর আগে ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আউট হয়ে যান ৯৪ রানে। এমনকি গত জুলাইয়ে বাংলাদেশের সবশেষ টেস্টে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তার ইনিংস থামে ৯৫ রানে। দুইবারই ক্যাচ আউট হন ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে।

ক্যারিয়ারের ২৬তম টেস্টের ৪৩তম ইনিংসে তিন অঙ্কে পৌঁছতে তিনি খেলেছেন ১৯৯টি বল। যেখানে ছিল ১০ চার ও একটি ছয়ের মার। ব্যক্তিগত পঞ্চাশে পৌঁছতে তিনি খেলেছিলেন ৯৫ বল। সেখান থেকে পরের ৫০ করেছেন আরও ১০৪ বল খেলে। টেস্ট ক্রিকেটে তার নামের পাশে আগেই রয়েছে নয়টি হাফসেঞ্চুরি।

ক্রিজে তার সঙ্গী মুশফিকুর রহিমও ছুটছেন সেঞ্চুরির পথে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৮১.২ ওভার শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৪৭ রান।

এর আগে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শুক্রবার সফরকারী পাকিস্তানের বিপক্ষে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশের অধিনায়ক মুমিনুল হক।

প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করলেও বেশিক্ষণ থিতু হনে পারেননি সাইফ হাসান। পঞ্চম ওভারে শাহিন আফ্রিদির বাউন্সারে বল নিয়ন্ত্রণে না রাখতে পেরে উইকেট হারান এই ওপেনার। ব্যক্তিগত ১৪ রান করে সাঝঘরে ফেরেন তিনি। সাইফের বিদায়ের পর বেশিক্ষণ থিতু হতে পারেননি আরেক ওপেনার সাদমানও। হাসান আলির বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ব্যক্তিগত ১৪ রানে বিদায় নেন তিনি।

ব্যাট করতে নেমে ইনিংস বাড়াতে ব্যর্থ হন অধিনায়ক মুমিনুল হকও। সাজিদ খানের বলে ব্যক্তিগত ৬ রানে উইকেট হারান তিনি। তিনে ব্যাট করতে নামা নাজমুল হোসেন শান্তও টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ। ফাহিম আশরাফের বলে সাজিদ খানের হাতে ক্যাচ তুলে ব্যক্তিগত ১৪ রানে উইকেট হারান তিনি।

চার উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ যখন ব্যাটিং বিপর্যয়ে তখন মাঠে নেমে লিটনের সঙ্গে দলের হাল ধরেন মুশফিক। ব্যাট হাতে থিতু হয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দেন এই দুই ব্যাটার। এর মাঝে লিটন ক্যারিয়ারের ১০ম টেস্ট ফিফটি তুলে নেন ৯৫ বলে। আর মুশফিক ক্যারিয়ারের ২৪তম ফিফটি তুলে নেন ১০৮ বল খেলে, ৮ বাউন্ডারিতে।

ফিফটি ছোঁয়ার পর শাহিন আফ্রিদির বলে ব্যক্তিগত ৬৭ রানে একবার জীবন পান লিটন। এরপর ফের ব্যাট হাতে রানের ফোয়ারা ছোটান তিনি। মুশফিকের সঙ্গে তার জুটিতে আসে ১৫০-এর বেশি, যা চট্টগ্রামের মাটিতে পঞ্চম উইকেটে সর্বোচ্চ জুটি।

এদিকে দারুণ ইনিংস খেলার পথে মুশফিক বাংলাদেশের মাটিতে সর্বোচ্চ টেস্ট রানের মালিক বনে গেছেন। এতদিন ৩৭ ম্যাচের ৭০ ইনিংসে ২৬২০ রান নিয়ে তালিকার শীর্ষে ছিলেন তামিম ইকবাল। মুশফিক তাকে ছাড়িয়ে গেলেন ৪৪ ম্যাচের ৭৮তম ইনিংসে। ২৫৪৫ রান নিতে তালিকার তিনে আছেন সাকিব আল হাসান।

মুশফিকের রেকর্ডের পর লিটন নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার পথে হাঁটতে শুরু করেন। এর আগে তার সর্বোচ্চ টেস্ট স্কোর ছিল ৯৫ রান, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। আজ ক্যারিয়ারের ১০ম ফিফটিকে সেঞ্চুরিতে পরিণত করেন তিনি। খেলেন ১৯৯ বল। এর মাধ্যমে সেঞ্চুরিবিহীন সবচেয়ে বেশি ফিফটির মালিকদের তালিকা থেকে নিজেকে সরিয়ে আনেন তিনি।

 

আরপি/ এমএএইচ-০৬



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top