রাজশাহী বৃহঃস্পতিবার, ১৮ই এপ্রিল ২০২৪, ৬ই বৈশাখ ১৪৩১


কাঠকুড়ানি থেকে অলিম্পিকে পদক!


প্রকাশিত:
২৪ জুলাই ২০২১ ২০:২০

আপডেট:
১৮ এপ্রিল ২০২৪ ২১:১২

মীরাবাই চানু। ছবি: সংগৃহীত

মেয়েরাও পারে। শত বাধা প্রতিবন্ধকতা কিছুই করতে পারে না, যদি লক্ষ্য থাকে অটুট। সেই লক্ষ্যে সফল এশিয়া মহাদেশের এক নারী। মীরাবাই চানু ভারতীয় অ্যাথলেট। ২০২১ সালে ভারোত্তোলনে রুপা জিতেছেন। মণিপুরের প্রত্যন্ত গ্রামের সাইখোম মীরাবাই চানুর হাত ধরে টোকিও অলিম্পিকে পদকের খাতা খুললো ভারত। খবর আনন্দবাজার।

ভারতের মণিপুরের ইম্ফলের নংবক কাকচিং গ্রামে ১৯৯৪ সালের ৮ আগস্ট জন্মগ্রহণ করেন চানু। জন্ম থেকেই তার শারীরিক শক্তি অন্য পাঁচটা মেয়ের তুলনায় অনেক বেশি। সেটা আঁচ করতে পেরেছিলেন তার বাবা-মা। পারিবারিকভাবেই বনে কাঠ কাটতে যেত জানুর পরিবার। ভারি কাঠের বোঝা যখন তার দাদা তুলতে পারতেন না তখন চানু অনায়াসেই কাঁধে করে সেই বোঝা বাড়িতে বয়ে নিয়ে আসতো।

বাবা-মায়ের ইচ্ছাতেই ভারত্তোলনে ভর্তি হন চানু। প্রথমে তার পাঠ শুরু হয় মণিপুরের স্পোর্টস অথরিটি অব ইন্ডিয়ায় (সাই), এরপর পাতিয়ালায়। সবখানেই চানুর জয়যাত্রা চলতেই থাকে। ২০১৬ অলিম্পিকে ইভেন্ট শেষ না করার কান্না থাকলেও ২০২১ অলিম্পিকে গিয়ে মিলল সাফল্য। কাঠ কুড়ানি মেয়েটির হাত ধরেই ভারতীয় শিবিরে এলো প্রথম পদক।

তবে এই পদক পেতে অনেক কাঠ-খড় পোড়াতে হয়েছে চানুকে। ২০১৬ সালের রিও অলিম্পিকেও দ্বিতীয় দিনে নেমেছিলেন এই ভারতীয়। তবে ইভেন্টের শেষে চানুর নামের পাশে লেখা ছিল ‘ডিএনএফ’, অর্থাৎ ‘ডিড নট ফিনিশ’। বাংলায় যার অর্থ, সেই ইভেন্ট শেষ করতেই পারেননি। সেদিন চানুর চোখের পানি কাঁদিয়েছে অনেককে।

পাঁচ বছর পর আবারো অলিম্পিকের দ্বিতীয় দিনে নামলেন সেই চানু। তবে এবার আর কোনো কান্না নয়, হাসলেন বিজয়ের হাসি। ভারত্তোলনে রুপা গলায় ঝোলালেন চানু। ভারতীয় গণমাধ্যম এবং ক্রীড়াঙ্গনে জানুকে নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করা হয়েছে। ভারত জুড়ে চলছে কাঠকুড়ানি এই মেয়ের প্রশংসা।

 

আরপি/আআ



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top