রাজশাহী শনিবার, ২৭শে এপ্রিল ২০২৪, ১৪ই বৈশাখ ১৪৩১


ফাইনালে হারায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টাইলে ইংল্যান্ডে সংঘর্ষ


প্রকাশিত:
১২ জুলাই ২০২১ ২১:৪৮

আপডেট:
২৭ এপ্রিল ২০২৪ ০৩:০৭

ইংল্যান্ডে সংঘর্ষ। ছবি: সংগৃহীত

ইউরো কাপের ফাইনালে ইতালির কাছে হেরেছে ইংল্যান্ড। তবে তা ভালভাবে নিতে পারেন নি ইংলিশ সমর্থকরা। হার মানতে না পেরে জড়িয়েছেন সংঘর্ষে। আগুন ও ভাঙচুর চালিয়েছেন তারা। কথা উঠেছে, তারা বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাকে অনুসরণ করেছেন? দেশের ওই জেলায় আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল সমর্থকদের সংঘর্ষের পর ইংল্যান্ডে এমনটা হওয়ায় এসব কথা উঠছে।

ফুটবলকে ঘরে ফেরানোর স্বপ্ন দেখছিল ইংল্যান্ড। সে স্বপ্ন গুঁড়িয়ে শিরোপা গেছে ইতালির রোমে। পেনাল্টি শুট আউটে ইংলিশদের হারিয়ে ৫৩ বছর পর ইউরোর স্বাদ পেল ইতালি। ঘরের মাঠে এমন হার মেনে নিতে পারছে না ইংলিশ সমর্থকরা। ক্রিকেট থেকে শুরু করে ফুটবল। যখনই দল হারে সেটি যেন মেনে নিতেই নারাজ ইংল্যান্ড সমর্থকরা। হারের পরপরই খেপে ওঠেন তারা। ইউরো ফাইনাল হেরেও দেখা গেল একই চিত্র। ইংল্যান্ডের ফুটবল ভক্তদের আবেগটা মনে হয় একটু বেশিই। সবকিছুতেই যেন তাদের বাড়াবাড়ি।

ইউরোর ফাইনালের আগে ওয়েম্বলিতে ভিড় করে হাজার হাজার ইংলিশ সমর্থক। ঘরের মাটিতে ইতালিকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হবে থ্রি লায়নরা। এমনটাই প্রত্যাশা ছিল তাদের। কিন্তু সবাইকে হতাশায় ডুবিয়ে ইতালির হাতে উঠেছে শিরোপা।

ইতিহাস রচনা করতে পারেনি দল। তা সহ্য হয়নি সমর্থকদের। ক্ষোভে ফেটে পড়ে লন্ডনের রাস্তায় তাণ্ডব চালায় হাজার হাজার ইংলিশ সমর্থক। তবে ইউরোর ফাইনাল শুরুর আগেই ঘটে এমন ঘটনা। এর আগে সেমিফাইনালে ডেনমার্কের বিপক্ষে ম্যাচেও ইংলিশ সমর্থকরা এক সমালোচনামূলক কাণ্ড করে বসে। ড্যানিশ গোলকিপার ক্যাসপার স্মাইকেলের মুখে লেজার বিম ফেলে মনসংযোগে বিঘ্ন ঘটাতে চেষ্টা করে তারা। এদিন ডেনমার্কের জাতীয় সংগীতকেও ব্যঙ্গ করে তারা। গ্যালারিতে ফোটানো হয় আতশবাজি। আর এ কারণে ইংল্যান্ডকে জরিমানাও করে উয়েফা।

দলের জারিমানা খাওয়ার কবরেও টনক নড়েনি ইংলিশ সমর্থকদের। ফাইনালেও ইতালির জাতীয় সংগীতকে ঘিরে তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি করে তারা। টিকিট না থাকলেও জোরপূর্বক স্টেডিয়ামে ঢোকার চেষ্টা করে ইংল্যান্ডের সমর্থকরা। বিয়ারের বোতল ছোড়াসহ, মদ্যপ অবস্থায় স্টেডিয়ামের বাইরে বাসে উঠে তাণ্ডব চালায় সমর্থকরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শেষ পর্যন্ত লণ্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশের মাঠে নামতে হয়।

 

আরপি/আআ



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top