রাজশাহী শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪, ১৫ই চৈত্র ১৪৩০


‘উত্তরবঙ্গ এখন দেশের দ্বিতীয় চা অঞ্চল’


প্রকাশিত:
২৫ জানুয়ারী ২০২১ ১৭:১৩

আপডেট:
২৫ জানুয়ারী ২০২১ ১৯:৩১

ফাইল ছবি

উত্তরবঙ্গে করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে রেকর্ড পরিমাণ চা উৎপাদন হয়েছে। চট্টগ্রাম চা অঞ্চলকে ছাড়িয়ে উত্তরবঙ্গ এখন দেশের দ্বিতীয় চা অঞ্চল।

রোববার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে পঞ্চগড় আঞ্চলিক চা বোর্ড আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান চা বোর্ডের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও নর্দান বাংলাদেশ চা প্রকল্পের পরিচালক ড. মো. শামীম আল মামুন।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ২০২০ সালে পঞ্চগড়সহ উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলার সমতল ভূমিতে ১০টি চা বাগান ও সাত হাজারের বেশি ক্ষুদ্রায়তন চা চাষির বাগান থেকে এক কোটি ৩ লাখ বা ১০ দশমিক ৩০ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদন হয়েছে।


এ বছর চায়ের জাতীয় উৎপাদন হয়েছে ৮৬ দশমিক ৩৯ মিলিয়ন কেজি। এর মধ্যে উত্তরাঞ্চলের সমতলের চা বাগান থেকে ১১ দশমিক ৯২ শতাংশ জাতীয় উৎপাদনে যুক্ত হয়েছে। কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতেও এ বছর চা উৎপাদনে সবোর্চ্চ রেকর্ড করেছে উত্তরবঙ্গ। ফলে উত্তরবঙ্গ এখন সিলেটের পরই চা উৎপাদনে দ্বিতীয়।

ড. মো. শামীম আল মামুন বলেন, উত্তরবঙ্গের পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, লালমনিরহাট, দিনাজপুর ও নীলফামারী জেলার ১০টি নিবন্ধিত ও ১৭টি অনিবন্ধিত চা বাগান, ৭ হাজার ৩১০টি ক্ষুদ্রায়তন চা বাগানে (নিবন্ধিত ১ হাজার ৫১০টি) মোট ১০ হাজার ১৭০ দশমিক ৫৭ একর জমিতে চা চাষ করা হয়। এসব চা বাগান থেকে ২০২০ সালে ৫ কোটি ১২ লাখ ৮৩ হাজার ৩৮৬ কেজি চা পাতা উত্তোলন করা হয়, যা থেকে পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁওয়ের ১৮টি চলমান চা কারখানায় ১ কোটি ৩ লাখ কেজি চা উৎপন্ন করা হয়। বিগত বছরের তুলনায় ২০২০ সালে ১ হাজার ৪৮৯ দশমিক ৮৯ একর চা আবাদি জমি বৃদ্ধি পায় এবং ৭ দশমিক ১১ লাখ কেজি বেশি চা উৎপন্ন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন- উন্নয়ন কর্মকর্তা কৃষিবিদ আমির হোসেন, ঠাকুরগাঁও ও দিনাজপুরের খামার তত্ত্বাবধায়ক ছায়েদুল হক, চা বাগান ও কারখানারা মালিক জাহেদুল ইসলাম, চা বাগান মালিক মতিআর রহমান বক্তব্য দেন।

এ সময় বাংলাদেশ স্মল টি গার্ডেন ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আমিরুল ইসলাম খোকন, আনিসুজ্জামান নতুন চা পাতার ন্যায্যমূল্য, সেচ সুবিধা ও সার সরবরাহ নিশ্চিত করার দাবি জানান।

 

 

আরপি / আইএইচ-০১



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top