রাজশাহী রবিবার, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ই আশ্বিন ১৪৩১


আজ বিজয়ের দিন


প্রকাশিত:
১৬ ডিসেম্বর ২০২০ ১৮:৪৭

আপডেট:
১৬ ডিসেম্বর ২০২০ ১৮:৪৯

 

৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে অর্জিত বাংলাদেশের ৪৯তম বিজয় দিবস আজ। বাঙালি জাতির হাজার বছরের শৌর্যবীর্য এবং বীরত্বের এক অবিস্মরণীয় দিন। পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে বাঙালি মুক্তি লাভ করেছিল মহান বিজয়ের এই দিনে। বাঙালি জাতির জন্য এক স্মৃতিবিজড়িত দিন ১৬ ডিসেম্বর। এদিন স্মরণ করা হবে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের, যাদের আত্মত্যাগে জন্ম নিয়েছিল বাংলাদেশ নামক ভূখণ্ডের। দেশকে স্বাধীন করার জন্য বাঙালি জাতিকে পাড়ি দিতে হয়েছে এক দীর্ঘ পথ। পশ্চিম পাকিস্তানিদের চরম নিপীড়ন, শোষণ আর নির্যাতনের বিরুদ্ধে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে, যার যা কিছু আছে, তা নিয়েই সংগ্রামের পথ দেখান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। দরাজ কণ্ঠে হুঙ্কার দিয়ে বলেছিলেন—‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’


বিজয় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য ও চেতনা বাস্তবায়নে আরও বেশি অবদান রাখার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। তিনি বলেন, ‘‘গোটা জাতি এ বছর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ‘মুজিববর্ষ’ যথাযথ মর্যাদায় উদযাপন করছে। ২০২১ সালে উদযাপিত হবে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী। দলমত নির্বিশেষে সবার অংশগ্রহণে অনুষ্ঠান দুটির উদযাপন বাঙালির ইতিহাসে নতুন মাত্রা যোগ করবে।’

তিনি বলেন, ‘‘লাখো শহীদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার সুফল জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোকে পরমতসহিষ্ণুতা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য ও চেতনা বাস্তবায়নে নিজ নিজ অবস্থান থেকে আরও বেশি অবদান রাখি, দেশ ও জাতিকে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যাই, গড়ে তুলি বঙ্গবন্ধুর বিপ্লবের ‘সোনার বাংলা’। মহান বিজয় দিবসে এই আমার প্রত্যাশা।’’

মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গণতন্ত্র ও সরকারবিরোধী ষড়যন্ত্র প্রতিহত করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ এবং ইউনেস্কো যৌথভাবে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করছে। আগামী বছর আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করবো। আসুন, মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সাম্প্রদায়িক সব অপশক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশ, গণতন্ত্র ও সরকারবিরোধী যে কোনও ষড়যন্ত্র প্রতিহত করি।’

যথাযোগ্য মর্যাদায় ‘মহান বিজয় দিবস-২০২০’ উদযাপনের লক্ষ্যে জাতীয় পর্যায়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। দিনব্যাপী চলবে নানা আয়োজন।

১৬ ডিসেম্বর, দিনটি সাধারণ ছুটি। সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে। ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন শহরের প্রধান সড়ক ও সড়কদ্বীপ জাতীয় পতাকা ও অন্যান্য পতাকায় সজ্জিত করা হয়েছে।

 

 

আরপি/এসকে



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top