রাজশাহী রবিবার, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ই আশ্বিন ১৪৩১


এবার বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজ হবে না


প্রকাশিত:
৭ ডিসেম্বর ২০২০ ০২:৩৮

আপডেট:
২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৮:০১

গত বছরের বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজ

কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের কারণে এই বছর বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হবে না। মহান বিজয় দিবস উদযাপনে জাতীয় পর্যায়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিভিন্ন কর্মসূচি চূড়ান্ত করেছে সরকার। রবিবার (৬ ডিসেম্বর) মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে বিজয় দিবসের কর্মসূচি চূড়ান্ত করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী ১৬ ডিসেম্বর ঢাকায় ভোরে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে বিজয় দিবসের সূচনা হবে। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে। এরপর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর নেতৃত্বে উপস্থিত বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে এবং গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনাসমূহ আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হবে। ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন শহরের প্রধান সড়ক ও সড়কদ্বীপ জাতীয় পতাকা ও অন্যান্য পতাকায় সজ্জিত করা হবে।


বিজয় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বাণী দিবেন। দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে এদিন সংবাদপত্রগুলো বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করবে। এই উপলক্ষে ইলেকট্রনিক্স মিডিয়া মাসব্যাপী মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালা প্রচার করবে। বিজয় দিবস উপলক্ষে বিশেষ অনলাইনে আলোচনা সভার আয়োজন করা হবে। এই দিন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের স্বাধীনতা স্তম্ভ ও ভূগর্ভস্থ জাদুঘরে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও ঐতিহ্যভিত্তিক পোস্টার প্রদর্শনির করা হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্বল্পসংখ্যক দর্শনার্থীকে সেখানে প্রবেশের সুযোগ পাবে।


ডাকযোগে, ই-মেইলে, অনলাইনে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক রচনা প্রতিযোগিতা ও শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে। বিজয় দিবস উপলক্ষে ডাক বিভাগ স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করবে। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বিশেষ দোয়া ও উপাসনার আয়োজন করা হবে।

এছাড়া এতিমখানা, বৃদ্ধাশ্রম, হাসপাতাল, জেলখানা, শিশু বিকাশ কেন্দ্রসহ এমন প্রতিষ্ঠানে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হবে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে এবং বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসেও দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

 

 

আরপি/এসকে


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top