দেশকে অস্থিতিশীল করার রহস্যজনক মিশনে ববি হাজ্জাজ

দেশকে অস্থিতিশীল করার রহস্যজনক মিশন বাস্তবায়নে মরিয়া হয়ে উঠেছেন স্বঘোষিত ধনকুবের মুসা বিন শমসেরের পুত্র ববি হাজ্জাজ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কুৎসা রটানো এবং প্রতিবেশী দেশের প্রতি বিদ্বেষ ছড়ানোই এখন তার মূল কর্ম।
জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে ববি হাজ্জাজের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগও পর্যবেক্ষক মহলের নজর এড়াচ্ছে না। দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে প্রেরণাদায়ী ‘জয় বাংলা’ স্লোগানকেও বিতর্কিত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি। অশ্লীল মন্তব্যে বিব্রত করছেন প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীদের।
অর্থমন্ত্রী ও বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী রয়েছেন এঁদের মধ্যে। বাদ নেই আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ও নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদও। সদ্যঘোষিত বাজেটকে বিতর্কিত করার জন্যও নানারকম আপত্তিকর মন্তব্য করছেন ফেসবুকে। প্রয়াত আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুতে দলমত নির্বিশেষে সবাই যখন শোকাহত, তাঁর প্রতি সবাই যখন শ্রদ্ধাবনত, তখন ববি হাজ্জাজ এই প্রয়াত নেতার বিরুদ্ধে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিকা সিরাজাম মুনিরার ব্যঙ্গাত্মক স্ট্যাটাসের পক্ষ নিয়েছেন।
প্রশ্ন উঠেছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি এসব অপকর্ম করতে পারেন কিনা। তার ফেসবুক পেজ বন্ধ করাসহ তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ারও দাবি উঠেছে। ববি হাজ্জাজ এক সময়ে নিজেকে পরিচয় দিতেন এরশাদের বিশেষ উপদেষ্টা হিসেবে। যদিও জাতীয় পার্টির গঠনতন্ত্রে এ ধরনের কোনো পদই নেই। এরপর ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে হঠাৎ করে হয়ে উঠেন এরশাদের স্বঘোষিত মুখপাত্র। মুক্তিযুদ্ধে তার পিতা তথাকথিত প্রিন্স মুসা বিন শমসেরের ভূমিকা ছিল বিতর্কিত।
নিজ জেলা ফরিদপুরের মানুষ তাকে রাজাকার নুলা মুসা হিসেবে জানে। দেশকে অস্থিতিশীল করতে এই বিতর্কিত ব্যক্তির পুুত্র অভিযান শুরু করে ২০১৪ সালের নির্বাচনের সময় থেকে। সে সময় নির্বাচন বর্জন করে একযোগে বিএনপি-জামায়াত জোট মাঠে নামে। শুরু হয় নানা ধরনের সন্ত্রাসী তৎপরতা। জীবন যায় কয়েকশ নিরপরাধ মানুষের।
তখন বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে কণ্ঠ মেলান ববি হাজ্জাজ। লন্ডনে গিয়ে একের পর এক বিবৃতি দিতে থাকেন সরকারের বিরুদ্ধে। লন্ডনে বসে গণমাধ্যমে অভিযোগ করেন, তাকে জোর করে দেশ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানেও ফেসবুকে নানা ধরনের উসকানিমূলক স্ট্যাটাস দিয়েই চলেছেন তিনি।
সংশ্লিষ্টরা জানান, বাবা মুসা বিন শমসেরের সঙ্গে এরশাদের ঘনিষ্ঠতার সূত্র ধরেই সাবেক রাষ্ট্রপতি জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা মরহুম হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হন ববি হাজ্জাজ, এটা ২০০৯ সালের ঘটনা। একাত্তরে ফরিদপুর শহরে পাকিস্তানি মেজর আকরাম কোরাইশীর সহযোগী মুসা ফরিদপুর থেকে পালিয়ে যান দেশ স্বাধীন হওয়ার পর। জিয়াউর রহমানের সামরিক শাসনের প্রথম দিকে সৌদি আরবে জনশক্তি রপ্তানি করে বেশ ফুলে ফেঁপে উঠেন মুসা।
এরশাদ সেনা শাসন জারি করলে ভয়ে দেশ ছাড়েন তিনি। বছর তিনেক পর লন্ডনে এরশাদের সঙ্গে সমঝোতা হয় মুসার। এরপর দেশে ফিরে এরশাদের ঘনিষ্ঠজনে পরিণত হন। এরশাদ পতনের পরও মুসার সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা থেকেই যায়। সে সূত্র ধরেই মুসার পুত্র ববি হাজ্জাজ এরশাদের কাছের মানুষ হয়ে ওঠেন। এক সময় এরশাদের নিকটজন হিসেবে পরিচিত জাতীয় পার্টির একজন জ্যেষ্ঠ নেতা জানান, সুইস ব্যাংকে সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদের কিছু অর্থ জমা ছিল।
ববি হাজ্জাজ এরশাদের কাছে গল্প ফাঁদেন, তার পিতা মুসা বিন শমসেরেরও সুইস ব্যাংকে টাকা রয়েছে। এরশাদ চাইলে ববি সে অর্থ উদ্ধার করে দিতে পারবেন। ববির এ গল্পে মজে যান এরশাদ। জাতীয় পার্টিতে বিশেষ উপদেষ্টার পদ না থাকলেও এরশাদ ববি হাজ্জাজকে বিশেষ উপদেষ্টা হিসেবে ঘোষণা দেন। এ সময়ে এইচ এম এরশাদকে পটিয়ে ববি হাজ্জাজ জাতীয় পার্টির জন্য একটি গবেষণা সেল তৈরি করেন। নাম দেওয়া হয় ‘রিসার্চ অ্যান্ড স্ট্যাটেজিক উইং’।
গুলশান-২ এর ১১৩ নম্বর সড়কে অফিস নেন। জাতীয় পার্টির একাধিক সূত্র জানিয়েছে, ওই অফিসের ১৫ জন কর্মীকে পরিচালনা বাবদ ববি হাজ্জাজ এরশাদের কাছ থেকে ১২ লাখ টাকা নিতেন এবং কম্পিউটার ও অফিস সাজানো বাবদ এককালীন নিয়েছিলেন ৫০ লাখ টাকা।
জাতীয় পার্টির একজন কেন্দ্রীয় নেতা জানান, পরবর্তীতে ওই গবেষণা সেলের কম্পিউটারগুলো অফিসে নিয়ে আমরা পরীক্ষা করে দেখেছি। কোনো কম্পিউটারেই গবেষণামূলক কিছু পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া ওই গবেষণা সেলে যেসব কর্মী নিয়োগ করেছিলেন তাদের দিয়ে আসলে কী করাতেন তা নিয়েও প্রশ্ন আছে।
২০১৪ সালের নির্বাচন ঘনিয়ে আসলে বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিতে রাজি হয়নি। ওই সময়ে জাতীয় পার্টির একাংশ নির্বাচনে যেতে চাইলেও আরেক অংশ নির্বাচনে না যাওয়ার পক্ষে অবস্থান নেয়। রাজনীতির এ টালমাটাল অবস্থায় ববি হাজ্জাজ নিজেকে এরশাদের মুখপাত্র দাবি করে নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার বিবৃতি দিতে থাকেন। এক পর্যায়ে তিনি দেশ ছেড়ে সপরিবারে লন্ডন চলে যান এবং লন্ডনে বসে শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার চালাতে থাকেন।
২০১৩ সালের ১৯ ডিসেম্বর লন্ডনে বসে ববি হাজ্জাজ বাংলাদেশের এসএ টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘এরশাদ নির্বাচনে যেতে রাজি হননি বলে তাকে জোর করে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
একই সঙ্গে তিনি বলেন, আমিও স্বেচ্ছায় দেশ ছাড়িনি।’ ওই সময়ে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে চাউর ছিল মূলত তারেক জিয়ার সঙ্গে এরশাদের সমঝোতা করে দেওয়ার জন্যই তিনি লন্ডনে গিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে জাতীয় পার্টি নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করে এবং ওই সময় থেকে ববি হাজ্জাজের সঙ্গে জাতীয় পার্টি ও এরশাদের সম্পর্কের অবনতি ঘটে। সরকারি দলের এক নেতার সঙ্গে আত্মীয়তার সুবাদে সরকারের রোষানলে পড়েও সহজে দেশে ফেরেন ববি হাজ্জাজ। দেশে ফিরে তিনি একটি রাজনৈতিক দল গঠনের উদ্যোগ নেন।
দলের নাম দেন ‘জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম) এবং নিজেকে দলের চেয়ারম্যান ঘোষণা করেন। পার্টির প্রধান স্লোগান নির্ধারণ করেন ‘জয় বাংলাদেশ’। ২০১৫ সালে ববি হাজ্জাজ ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হওয়ার জন্য আবেদন করেন। জাপা তাকে মনোনয়ন না দিয়ে মনোনয়ন দেন বাহাউদ্দিন বাবুলকে।
ববি হাজ্জাজ স্বতন্ত্র নির্বাচন করার জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে পরে প্রত্যাহার করে নেন এবং জাতীয় পার্টির সঙ্গে চূড়ান্তভাবে সম্পর্ক ছেদ করেন। ২০১৭ সালে ববি হাজ্জাজ নিজ দলের নিবন্ধনের জন্য নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেন। কিন্তু নিবন্ধনের শর্ত পূরণ না করায় নির্বাচন কমিশন (ইসি) তাঁর আবেদন নামঞ্জুর করলে তিনি উচ্চ আদালতে যান। আদালত তার পক্ষে রায় দেওয়ায় ২০১৯ সালের ২৯ জুন ইসি এনডিএমকে নিবন্ধন দেয়। এর মধ্যে ২০১৯ সালের নির্বাচন চলে আসে।
নির্বাচনে অংশ নিতে ববি হাজ্জাজ একটি রাজনৈতিক জোট গঠন করেন। ২০১৮ সালের ২৩ নভেম্বর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একাত্তরের পরাজিত শক্তি মুসলিম লীগের সঙ্গে নির্বাচনী ঐক্যের ঘোষণা দেন। এ সময় জামায়াত-শিবিরের সঙ্গেও তার ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ অনেকের নজর কাড়ে। ববি হাজ্জাজের ফেসবুক ঘেঁটে দেখা যায় বিভিন্ন সময়ে তিনি ঢালাও ও অশ্লীলভাবে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ ও মন্ত্রীদের সমালোচনা করেছেন, উসকানিমূলক কথা লিখেছেন।
সদ্য প্রয়াত আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোহাম্মদ নাসিমের বিরুদ্ধে শিক্ষিকা সিরাজাম মুনিরার ব্যঙ্গাত্মক বক্তব্যের পক্ষ নিয়ে তার ফেসবুক পেজে লিখেছেন- ‘তার এই নেতিবাচক কথা লিখবার জন্য পুলিশ প্রশাসন আদালতের কাছে তাঁর রিমান্ড আবেদন জানিয়েছে- এটা আরও বেশি দুঃখজনক এবং সুস্থ গণতন্ত্রের জন্য ক্ষতিকর।’ দীর্ঘ লেখায় ববি হাজ্জাজ সংবিধানের অনুচ্ছেদ উল্লেখ করে সিরাজাম মুনিরার লেখার স্বাধীনতা চেয়েছেন।
এ ছাড়া গত ১ এপ্রিল ববি হাজ্জাজ তার ফেসবুকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ও নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদের ছবি দিয়ে লিখেছেন ‘কেন অজ্ঞ লোকেরা আত্মবিশ্বাসের সাথে কথা বলতে পারে।’ ২৫ মার্চ তিনি নিজের ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন ‘ভোট চোর এখন তোমাদের সঠিক কিছু করার সময়।’
সংসদে বাজেট পেশের পর গত ১৩ জুন ববি হাজ্জাজ অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামালকে ব্যঙ্গ করে লিখেছেন, ‘আমাদের মাননীয় অর্থমন্ত্রীর জীবনী সম্বন্ধে আমার তেমন ধারণা নেই। আমি আসলেই জানি না উনি কি সৎ না অসৎ উপায়ে উনার ব্যবসা শুরু করেছিলেন।’
গত ১০ জুন জ্বালানি ও বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর উদ্দেশ্যে তিনি লিখেছেন ‘এখন তো চাপ দিয়ে ভর্তা বানিয়ে ফেলবেন মনে হচ্ছে।’ একই লেখায় তিনি প্রতিমন্ত্রীকে বলেছেন, ‘১৭ কোটি জনগণ তো আপনার মতো রিহ্যাবের সভাপতি ছিল না।’
ববি হাজ্জাজ ১২ জুন বাজেট নিয়ে তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে সরকারি দলকে আক্রমণ করে লিখেছেন, ‘সরকারি দলের অনুসারী অনেক বড় বড় রাঘব বোয়াল আছেন যারা এতে লাভবান হতে পারেন।’ নিজের পিতার কালো টাকার বিরুদ্ধে দুদকের তদন্ত চলমান থাকলেও তিনি প্রস্তাবিত বাজেটে আবাসন খাত ও পুঁজিবাজারে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের প্রস্তাব প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘এটা যেন কাচের ঘরে বসে অন্যকে ঢিল মারার শামিল।’
ববি হাজ্জাজ পরোক্ষভাবে শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে ৯ জুন তার ফেসবুকে লিখেছেন, ‘সরকারি দলের উচ্চ পর্যায়ের নেতাদের যোগসাজশ ছাড়া এই দেশে এত বড় আকারে দুর্নীতি সম্ভব নয়, আর এরা তো সরাসরি সংসদেই পা দিয়ে রেখেছে। নৌকার মাঝিরাই নৌকা ডুবাচ্ছে।’
এছাড়াও ওই স্ট্যাটাসে ববি হাজ্জাজ জাতীয় সংসদের সব সদস্যকে দুর্নীতিবাজ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। ২৪ মার্চ ববি হাজ্জাজ ফেসবুকে খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের ছবি দিয়ে নছিহত করেছেন, করোনা নিয়ে ভুল তথ্য না ছড়ানোর জন্য।
গত বছর ১ সেপ্টেম্বর ববি হাজ্জাজ ফেসবুকে সরকারের মন্ত্রীদের কার্টুন ছবিসহ লিখেছেন- ‘আমাদের গুণবতী সরকারের পুকুরচুরি।’ আরও লিখেছেন, ‘এলোমেলো করে দে মা লুটেপুটে খাই।’ এতে প্রশ্ন উঠেছে ফেসবুকে একটি অ্যাকাউন্ট খুলে এমন নির্লজ্জভাবে সরকারের বিরুদ্ধে, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে, রাষ্ট্রের সম্মানিত নাগরিকদের বিরুদ্ধে অপমানজনক স্ট্যাটাস দেওয়া কী করে সম্ভব?
এ প্রশ্নে ববি হাজ্জাজের কাছে স্পষ্ট কোনো জবাব পাওয়া যায়নি। গতকাল তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন, আমি দেশ বা সরকারবিরোধী কোনো স্ট্যাটাস দেইনি। রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই শিক্ষিকার বিষয়ে বলেছি, তার বিরুদ্ধে পুলিশি অ্যাকশন না করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষই ব্যবস্থা নিতে পারতেন। অর্থমন্ত্রীর সততা নিয়ে নিজের মন্তব্য বিষয়ে বলেন, ‘হ্যাঁ, এক জায়গায় লিখেছি।’ এ বিষয়ে এই সংক্ষিপ্ত জবাব দিয়ে প্রসঙ্গটি এড়ানোর চেষ্টা করেন তিনি।
সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন
আরপি/এমএএইচ-০৪
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: