রাজশাহী বৃহঃস্পতিবার, ২রা মে ২০২৪, ২০শে বৈশাখ ১৪৩১


প্রস্তাবিত বাজেটে কার্যকর তামাক কর ও মূল্য বৃদ্ধির পদক্ষেপ উপেক্ষিত : এসিডি


প্রকাশিত:
১৩ জুন ২০২০ ০২:১৬

আপডেট:
১৩ জুন ২০২০ ০৬:১৮

ফাইল ছবি

২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে কার্যকর তামাক কর ও মূল্য বৃদ্ধির পদক্ষেপ চরমভাবে উপেক্ষিত হয়েছে। প্রস্তাবিত বাজেটে সুযোগ থাকার পর তামাকপণ্যের ব্যবহার নিরুৎসাহিত করার পরিবর্তে বরং তামাক কোম্পানিগুলোকেই লাভবান করার পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। ফলে সরকার অতিরিক্ত প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব হারানোর পাশাপাশি ৩ কোটি ৭৮ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক তামাক ব্যবহারকারী ও পরোক্ষ ধূমপানের শিকার ৪ কোটি ১০ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ নজিরবিহীন স্বাস্থ্যঝুঁকির মুখে পড়বে।

শুক্রবার (১২ জুন) বিকালে প্রস্তাাবিত বাজেট নিয়ে প্রতিক্রিয়ায় রাজশাহীর উন্নয়ন ও মানবাধিকার সংস্থা ‘এ্যাসোসিয়েশন ফর কম্যুনিটি ডেভেলপমেন্ট-এসিডি’ এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলেছে।

এসিডির প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দীর্ঘদিন থেকে এসিডিসহ দেশের তামাকবিরোধী সংগঠনগুলো কার্যকর তামাক করনীতি বাস্তবায়নের জন্য আন্দোলন করে আসছে। তারপরও এবারের বাজেট প্রস্তাবনায় সিগারেটের চারটি মূল্যস্তর বহাল রাখা হয়েছে। যা কম দামি সিগারেট বেছে নেওয়ার সুযোগ অব্যাহত থাকছে। এতে করে দেশের নতুন প্রজন্ম কম দামী সিগারেটের মাধ্যমে ধূমপান শুরু করতে উৎসাহিত হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সিগারেটের বাজারে চারটি মূল্য স্তরের মধ্যে প্রায় ৭২ শতাংশই নিম্নস্তরের সিগারেটের দখলে। এই স্তরে সম্পূরক শুল্ক ধার্য করা হয়েছে ৫৭ শতাংশ, যা গত বছর ছিল ৫৫ শতাংশ। প্রস্তাবিত বাজেট কার্যকর হলে এই স্তরের সিগারেটের প্রকৃত মূল্য হ্রাস পাবে এবং তার ব্যবহার বাড়বে। আর প্রকৃতপক্ষে তামাক কোম্পানিগুলোই লাভবান হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রস্তাবিত বাজেটে মধ্যম স্তরে সিগারেটের দাম বাড়ানো হয়নি। উচ্চ ও প্রিমিয়াম স্তরের দাম বাড়ালেও তিনটি মূল্যস্তরে বর্তমান ৬৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক বহাল রাখা হয়েছে। মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির তুলনায় দাম বৃদ্ধি কম হওয়ায় সিগারেটের প্রকৃত মূল্য হ্রাস পাবে। তামাকবিরোধীদের দাবি অনুযায়ী সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধি এবং সম্পূরক শুল্কের একটি অংশ সুনির্দিষ্ট কর আকারে আরোপ না করায় সরকার অতিরিক্ত রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হবে এবং তামাক কোম্পানিগুলোর আয় বৃদ্ধি পাবে। ফলে তারা মৃত্যুবিপণনে আরও উৎসাহিত হবে, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এ ছাড়া করোনাভাইরাস সংক্রমণের আর্থিক ও স্বাস্থ্য ক্ষতি মোকাবিলায় ৩ শতাংশ সারচার্জ আরোপ করার দাবি জানানো হয়েছিল। প্রস্তাবিত বাজেটে যার প্রতিফলন ঘটেনি।

এসিডি বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানায়, প্রস্তাবিত বাজেটে জর্দা ও গুলের যে মূল্য এবং সম্পূরক শুল্ক ধার্য করা হয়েছে, তা ধোঁয়াবিহীন তামাক ব্যবহার নিরুৎসাহিত করতে কোনো কাজে আসবে না। তামাক ও তামাকজাত পণ্য রপ্তানি উৎসাহিত করতে রপ্তানি শুল্ক অব্যাহতির সুযোগ প্রস্তাবিত বাজেটেও রাখা হয়েছে। এর ফলে তামাক চাষ বৃদ্ধি পাবে, দেশের খাদ্য নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়বে।

প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে প্রস্তাবিত বাজেট সংশোধন করে মূল বাজেটে কার্যকর তামাক কর নীতি বাস্তবানের জোর দাবি জানিয়েছে এসিডি।

 

আরপি/এমএইচ



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top