রাজশাহী রবিবার, ১৯শে মে ২০২৪, ৬ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


‘জনগণকে ২ হাজার ৮৭৪টি সেবা দেয় নির্বাহী বিভাগ’


প্রকাশিত:
২৪ জানুয়ারী ২০২০ ১১:২১

আপডেট:
২৪ জানুয়ারী ২০২০ ১২:৫০

বেলুন উড়িয়ে দুই দিনব্যাপি ‘ইনোভেশন শোকেসিং ২০২০’ এর উদ্বোধন করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সচিব পিএএ এনএম জিয়াউল আলম।

জনপ্রশাসনের নির্বাহী বিভাগ জনগণকে ২ হাজার ৮৭৪টি সেবা প্রদান করে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সচিব পিএএ এনএম জিয়াউল আলম।

বৃহস্পতিবার রাজশাহী কলেজ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত দুই দিনব্যাপি ‘ইনোভেশন শোকেসিং ২০২০’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রাজশাহী জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয় ও বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় এর আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে সিনিয়র সচিব বলেন, ২০১০ সালে নির্বাহীদের মধ্যে ইনোভেশনের চর্চা শুরু হয়েছে। এরপরই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যলয়ে একটি ইউনিট গঠন করা হয়েছে। যা গভার্নেন্স ইনোভেশন ইউনিট (জিআইইউ)। প্রত্যেক সরকারি অফিসে উদ্ভাবন চর্চার একটা আবহ তৈরি করতে কেবিনেট থেকে একটি সার্কুলার জারি করা হয়। এই আবহ তৈরি করার জন্যে প্রত্যেক সরকারি অফিসে একটি টিম থাকবে। এই ইনোভেশন টিম তাদের সরকারি অফিস থেকে সেবাগুলো ইনোভেশনের মাধ্যমে সহজ, টাইম, কস্ট, ভিজিট কমাতে পারলে, তার একটা চর্চা তৈরি করতে হবে। এরপর থেকে আমাদের ইনোভেশন মেলা বা ইনোভেশন শোকেসিং শুরু হয়েছে। এক্ষেত্রে আমাদের ঈর্ষনীয় একটা উন্নতি ঘটেছে, যা আমদের কাছে গর্বের। আর এটি সম্ভব হয়েছে নেতৃত্ব ও রাজনৈতিক অঙ্গীকারের জন্যে।

তিনি আরও বলেন, এখন আমরা যুদ্ধ করছি চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের ঘন্টা বাজছে। পঞ্চমের ঘন্টাও বাজা শুরু করেছে। আমরা ১ম, ২য়, ৩য় শিল্প বিপ্লবে অংশগ্রহণ করতে পারিনি। ৪র্থ বিপ্লবে আমরা অংশীদার হতে পেরেছি। আপনারা জেনে খুশি হবেন, আমাদের টেকনোলজি, হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার দেশের প্রয়োজন মেটাচ্ছে। এখন আমরা যদি বলি আমরা কোন সফটওয়্যার আমদানি করবো না। এটা আমরা পারবো। কারণ আমাদের আইটি সেক্টরে যে পরিমাণ ইঞ্জিনিয়ার তৈরি হচ্ছে, তারা কিন্তু দেশের প্রয়োজন মেটাতে যথেষ্ট। তারপরও কিন্তু প্রতিবছর তাদের সংখ্যা বাড়ছে। এজন্য আমরা সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার রপ্তানি শুরু করেছি।

আইটি সিনিয়র সচিব আরো বলেন, আমরা অনেক দ্রূ এগিয়ে এসেছি। বর্তমানে বলা হয়ে থাকে ডিজিটাল বাংলাদেশ অন্যান্য দেশের জন্য রোল মডেল। এটি সম্ভব হয়েছে আরো একটি কারণে, আর সেটা হলো ডিজিটাল বাংলাদেশের রুপকার জনাব সজীব ওয়াজেদ। তার যে মেধা, ডিজিটালাইজেশনের প্রতি তার যে অবাধ জ্ঞান এবং ইচ্ছা, সে কারণে আমরা কিন্তু এতদূর এগিয়ে আসতে পেরেছি। আমাদের আরেক অভিভাবক আছেন, যিনি রাজশাহীর সন্তান এবং রাজশাহী কলেজের ছাত্র জনাব জুনায়েদ আহমেদ পলক।

জিয়াউল আলম বলেন, আমাদের অবস্থান ওয়ার্ল্ড র‌্যাংকিংয়ে সামনের দিকে এগিয়ে আসছে। আমাদের অগ্রযাত্রায় তিনটি শক্তিকে কাজে লাগাচ্ছি। আইটি সেক্টরের যে ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট এ সময় কিন্তু এক্ষেত্রে ব্যাপক কাজ হয়েছে। আপনারা জেনে খুশি হবেন আমাদের ব্রডব্যান্ড কানেকটিভিটি ইউনিয়ন পর্যন্ত চলে গেছে। এখন আমাদের মোবাইল গ্রাহকের সংখ্যাও অনেক বেশি। যারা আইটি জগতের অনেক সুবিধা নিচ্ছেন। এখন আমরা স্কিল ডেভলপমেন্টের কাজ করছি। অনেক প্রশিক্ষণ হচ্ছে। শিক্ষার্থীদেরও প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া যারা উদ্ভাবক থেকে উদোক্তা হতে চায়, তাদের জন্যেও ট্রেনিং সেন্টার করা হয়েছে।

প্রধান অতিথি আরও বলেন, রাজশাহীতেও ট্রেনিং সেন্টার আছে। সেখানে তরুণ উদোক্তারা তাদের উদ্ভাবনের চর্চাটা করছে। এছাড়া ফিল্যান্সাররা নিরবে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রেখে আসছে। এবং তাদের যে আয় এটা আমাদের গর্ব করার মতো বিষয়। আমরা ফিল্যান্সিংয়ের দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে আছি।

রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার হুমায়ুন কবীর খোন্দকারের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব মজিবর রহমান, রাজশাহী জেলা প্রশাসক হামিদুল হক।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন ও আইসিটি) এএনএম মঈনুল ইসলাম, রাজশাহী কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর হবিবুর রহমান প্রমুখ।

ইনোভেশন শোকেসিং অনুষ্ঠানে রাজশাহী বিভাগের আটটি জেলার সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ২৩টি ও বেসরকারি একটিসহ মোট ২৪টি স্টল রয়েছে। যেখানে সরকারি সেবা সহজীকরণের বিভিন্ন উদ্ভাবন নিয়ে হাজির হয়েছে ২৩টি সরকারি প্রতিষ্ঠান। আজ শুক্রবার এর সমাপনী অনুষ্ঠিত হবে।

আরপি/ এএন

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top