রাজশাহী রবিবার, ২৮শে এপ্রিল ২০২৪, ১৬ই বৈশাখ ১৪৩১


গুজব প্রতিরোধে পুলিশ সদস্যদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে: ডিএমপি কমিশনার


প্রকাশিত:
১৬ অক্টোবর ২০২৩ ১৮:৫৪

আপডেট:
২৮ এপ্রিল ২০২৪ ১৫:২৬

ফাইল ছবি

ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, গুজব প্রতিরোধে পুলিশের সব সদস্যকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে। যাতে করে কেউ গুজব সৃষ্টি করে জনগণকে বিভ্রান্ত করতে না পারে। জনগণের সামনে সত্য উন্মোচন করে সঠিক তথ্য তুলে ধরতে হবে। সমাজের বিশৃঙ্খলাকারী যেই হোক না কেন, তাকে আইনের আওতায় এনে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।

সোমবার (১৬ অক্টোবর) ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বলেই দেশে এতো উন্নয়ন: প্রধানমন্ত্রী

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ডিএমপি বাংলাদেশ পুলিশের মুখচ্ছবি। পেশাদারত্ব, নিষ্ঠা, দক্ষতা, আন্তরিকতা, সততা ও ত্যাগের মাধ্যমে ডিএমপি আজকের এ অবস্থানে পৌঁছেছে। আগামী দিনেও যেকোনো কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত ডিএমপি।

তিনি বলেন, পুলিশ সদস্যদের দিন-রাত সবসময়ই কাজ করতে হয়। যেকোনো সময় যেকোনো প্রয়োজনে যেকোনো জায়গায় যেতে হয় পুলিশকে। এজন্য আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। আমরা সুশৃঙ্খল বাহিনীর সদস্য। আমাদের কাজে-কর্মে শৃঙ্খলার পরিচয় দিতে হবে। সঠিক বিধি অনুসরণ করে আমাদের পোশাক-পরিচ্ছদ পরিধান করতে হবে।

হাবিবুর রহমান বলেন, সারাদেশের মতো রাজধানীতেও ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো রাখা প্রয়োজন। বর্তমানে নিত্যনতুন প্রযুক্তির কারণে অপরাধের ধরন অনেক পাল্টে গেছে। এজন্য অপরাধ নিয়ন্ত্রণের জন্য ও মূল অপরাধীকে খুঁজে পেতে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে।

তিনি বলেন, যানজট নগরবাসীর জন্য একটির অন্যতম বড় সমস্যা। প্রত্যেক্ষ ও পরোক্ষভাবে আমরা অনেকেই এর জন্য দায়ী। যানজট কমাতে আমাদের সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। ঢাকার যানজটপূর্ণ এলাকাগুলোকে চিহ্নিত করে সমস্যার সমাধান করতে হবে। এরই মধ্যে ট্রাফিক বিভাগকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

থানা, ফাঁড়ি ও পুলিশের অবকাঠামোগুলোকে সবসময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। যাতে করে নগরবাসী এসে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। বিট পুলিশিং ও কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রম আরও জোরদার করতে হবে।

ঢাকার পুলিশপ্রধান বলেন, মামলা তদন্ত ও মনিটরিংয়ের ক্ষেত্রে আরও বেশি আন্তরিক হতে হবে। যাতে করে স্বল্পতম সময়ের মধ্যে মামলা তদন্ত শেষ করা যায়। কোনো অপরাধী যেন তদন্ত সংশ্লিষ্ট কোনো কারণে খালাস না পায় তা নিশ্চিত করতে হবে।

সঠিকভাবে বাজার মনিটরিং করতে হবে উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, এ ক্ষেত্রে অতিউৎসাহী হয়ে কোনো কাজ করা যাবে না। কর্তৃপক্ষ যেভাবে নির্দেশনা দেবে সেই অনুযায়ী সঠিকভাবে কাজ করতে হবে। 

আরও পড়ুন: ৩০ অক্টোবর থেকে এসএসসির ফরম পূরণ শুরু

গ্রেফতারি পরোয়ানা সঠিকভাবে তামিল করতে হবে। ওয়ারেন্টভুক্ত কোনো ব্যক্তি যাতে সমাজের মূল স্রোতের সঙ্গে মিশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি করতে না পারে তা নিশ্চিত করতে হবে। চুরির মামলা, ছিনতাই মামলা, চোরাই গাড়ি উদ্ধার ও মাদকদ্রব্য উদ্ধারে আরও গুরুত্ব দিতে হবে।

ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (হেডকোয়ার্টার্স), অতিরিক্ত দায়িত্বে যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) সাইফুল্লাহ আল মামুনের সঞ্চালনায় মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) এ কে এম হাফিজ আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) ড. খ. মহিদ উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস্, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) মহা. আশরাফুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার, উপ-পুলিশ কমিশনার ও বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

 

 

আরপি/এসআর-১০



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top