রাজশাহী শুক্রবার, ১৭ই মে ২০২৪, ৩রা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


মৌলভীবাজারে মৎস্য খামারের ঝোপে মেছোবাঘের ৫ বাচ্চা


প্রকাশিত:
১২ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৮:১৯

আপডেট:
১৩ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৭:১০

ছবি: সংগৃহীত

মৌলভীবাজারের বড়লেখায় দৈনিক আমাদের সময়ের উপজেলা প্রতিনিধি ইকবাল হোসেন স্বপনের বসতবাড়ি সংলগ্ন ফিশারির ঝোপে মিলল মেছোবাঘের ৫টি বাচ্চা।


ধারণা করা হচ্ছে মঙ্গলবার রাতেই মা মেছোবাঘ সেখানে বাচ্চাগুলো প্রসব করেছে। মেছোবাঘের বাচ্চা দেখতে দুপুর থেকেই উৎসুক জনতা ভিড় জমান ওই মৎস্য খামারের পাড়ে।

মাত্র দু’দিন আগে উপজেলার দাসের বাজার ইউপির উত্তর লঘাটি গ্রামে হাঁস খেতে গিয়ে ধরা পড়েছিল একটি মেছোবাঘ। পরে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ বিভাগ মেছোবাঘটি উদ্ধার করে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে অবমুক্ত করে।

জানা গেছে, উপজেলার সদর ইউপির রাঙাউটি গ্রামে সাংবাদিক ইকবাল হোসেন স্বপনের বসতবাড়ির পশ্চিম দিকে তার ব্যক্তিগত একটি মৎস্য খামার রয়েছে। ওই মৎস্য খামারের পাড়ে ব্যাপক ঝোপ-ঝাড় রয়েছে।

বুধবার দুপুরে সাংবাদিক ইকবাল হোসেন স্বপনের রাখাল গরু নিয়ে মৎস্য খামারের পশ্চিম পাড়ের দিকে রওনা হলে গরুগুলো হঠাৎ দাঁড়িয়ে যায় এবং পেছনে ফিরে আসে ও অস্বাভাবিক আচরণ করে। এ সময় সাংবাদিক ইকবাল হোসেন স্বপন ঘটনার কারণ খুঁজতে ঝোপ-ঝাড়ের দিকে অগ্রসর হন। হঠাৎ ঝোপ থেকে মেছোবাঘটি লাফিয়ে উঠলে তিনি ভয় পান। পরে ওই স্থানে গিয়ে ৫টি মেছোবাঘের ছানা দেখতে পান তিনি।

সাংবাদিক ইকবাল হোসেন স্বপন জানান, তাকে দেখেই বাচ্চা ফেলে বাঘটি পার্শ্ববর্তী ষাটমা ছড়ার পাড়ের জঙ্গলে চলে যায়। বাচ্চাগুলোর এখনও চোখ ফুটেনি। তাই বনবিভাগে খবর দিলেও বাচ্চাগুলো নিতে দেননি। যেখানে ছিল সেখানেই রেখে দিয়েছেন। রাতে মা মেছোবাঘ ঠিকই তার বাচ্চাগুলোকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাবে।

বড়লেখা বনবিভাগের সহযোগী রেঞ্জ কর্মকর্তা শেখর রঞ্জন দাস জানান, এ বাচ্চাগুলো উদ্ধার করে বনাঞ্চলে অবমুক্ত করলে মারা যাওয়ার আশংকাই বেশি। তাই যেখানে পাওয়া গেছে সেখানে রেখে দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

 

আরপি/ এএস



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top