জাফরুল্লাহ চৌধুরীর প্রথম জানাজা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে

সদ্য প্রয়াত গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর প্রথম জানাজা রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত হবে।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) বেলা আড়াইটায় তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
বুধবার রাজধানীর ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের চেয়ারম্যান আলতাফুন নেছা মায়া।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেওয়া হবে। বেলা একটা পর্যন্ত মরদেহ সব শ্রেণিপেশার মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রাখা হবে। এরপর জানাজার জন্য মরদেহ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নেওয়া হবে।
আগামী শুক্রবার মরদেহ নেওয়া হবে সাভারের গণস্বাস্থ্যর ক্যাম্পাসে। সেখানে শ্রদ্ধা জানানোর পর বাদ জুমা দ্বিতীয় জানাজা হবে।
জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে দাফন করা হবে না দেহদান করা হবে সে বিষয়টি সম্পর্কে পরিষ্কার হতে আরও সময় লাগবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী গতরাতে রাজধানীর গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন, গুণগ্রাহী ও শুভানুধ্যায়ী রেখে গেছেন।
১৯৪১ সালের ২৭ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলার কোয়েপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তার বাবা হুমায়ন মোর্শেদ চৌধুরী ছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা আর মা হাছিনা বেগম চৌধুরী ছিলেন গৃহিনী। মা-বাবার ১০ সন্তানের মধ্যে জাফরুল্লাহ চৌধুরী ছিলেন সবার বড়।
১৯৭১ সালে জাফরুল্লাহ চৌধুরী যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফিরে ভারতের আগরতলায় গেরিলা প্রশিক্ষণ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। তিনি বাংলাদেশ ফিল্ড হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করে তা পরিচালনা করেন। মুক্তিযুদ্ধের পর সেই হাসপাতালের নামেই একটি প্রতিষ্ঠান গড়তে চেয়েছিলেন। পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে আলোচনা করে নাম ঠিক করেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। হাসপাতালের পাশাপাশি ওষুধ উৎপাদনকারী কোম্পানিও গড়েছেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী। ১৯৮২ সালে দেশে প্রথমবারের মতো ঔষধ নীতি প্রণয়নেও তার ভূমিকা ছিল।
আরপি/এসআর-০৫
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: