রাজশাহী শুক্রবার, ৬ই ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩শে অগ্রহায়ণ ১৪৩১


‘দেশের ৯৮ ভাগ মানুষ সুপেয় পানির আওতায়’


প্রকাশিত:
২৫ মার্চ ২০২৩ ১৮:৫৭

আপডেট:
৬ ডিসেম্বর ২০২৪ ১১:৩৪

ফাইল ছবি

বাংলাদেশে প্রায় ৯৮ শতাংশ মানুষকে সুপেয় পানির আওতায় আনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন।

তিনি জানিয়েছেন, ৯৮ শতাংশ মানুষকে নিরাপদ পানির সুবিধা প্রদানের পাশাপাশি ৮০ শতাংশের বেশি মানুষকে উন্নত স্যানিটেশন সুবিধা এবং প্রায় ৭৫ শতাংশ মানুষকে হাইজিন সুবিধার আওতায় আনা হয়েছে।

স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৪ মার্চ) জাতিসংঘ সদর দফতরে হাঙ্গেরি ও ফিলিপাইন কর্তৃক যৌথভাবে আয়োজিত ‘ওয়াটার, স্যানিটেশন অ্যান্ড হাইজিন ইন হেলথকেয়ার ফ্যাসিলিটিজ: লেসন লার্ন্ড অ্যান্ড দ্য ওয়ে ফরওয়ার্ড’ শীর্ষক একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে এসব কথা বলেন তিনি।

স্যানিটেশনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতির কথা তুলে ধরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, স্যানিটেশনের ক্ষেত্রেও বাংলাদেশের অসামান্য অগ্রগতি অনেক উন্নয়নশীল দেশে অনুসরণ করা হচ্ছে।

নিরাপদ পানি দেওয়ার ক্ষেত্রে সরকারের নেওয়া পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে আবদুল মোমেন বলেন, ২০২১ সালে বিশ্বব্যাপী ৭৮ শতাংশ স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে পানি পরিষেবা এবং ৫১ শতাংশে স্বাস্থ্যবিধি পরিষেবা বিদ্যমান ছিল। একই বছরে ৭৮০ মিলিয়ন লোকের কোনো স্যানিটেশন পরিষেবা ছিল না। এ প্রেক্ষিতে বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রসমূহে সকলের জন্য নিরাপদ পানি, স্যানিটেশন এবং স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করার জন্য আমাদের আগের চেয়ে আরও বেশি জোরালো পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।’

এ সময় জাতীয় পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন কৌশলপত্র-২০২১-এর কথাও উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

সমাপনী বক্তব্যে বাংলাদেশের সফল অভিজ্ঞতার আলোকে বিশ্বব্যাপী পানি, স্যানিটেশন এবং স্বাস্থ্যবিধি পরিষেবার অগ্রগতির অভাব দূরীকরণে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে কিছু সুনির্দিষ্ট সুপারিশ উপস্থাপন করেন আবদুল মোমেন।

অনুষ্ঠানে হাঙ্গেরির পররাষ্ট্র ও বাণিজ্যমন্ত্রী পিটার সিজার্তো, ফিলিপাইন প্রজাতন্ত্রের পরিবেশ ও প্রাকৃতিক সম্পদ বিভাগের সচিব মারিয়া অ্যান্তোনিয়া ইউলো-লয়জাগা এবং জর্জিয়ার আঞ্চলিক উন্নয়ন ও অবকাঠামো মন্ত্রী ইরাকলি কারসেলাদজেও বক্তব্য দেন। এ অনুষ্ঠানে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কূটনীতিক, জাতিসংঘ ও এর বিভিন্ন সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, পানি খাতে কর্মরত আন্তর্জাতিক এনজিও এবং বেসরকারি অংশীজনরা উপস্থিত ছিলেন।

 

 

আরপি/এসআর-০২



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top