রাজশাহী বৃহঃস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল ২০২৪, ১২ই বৈশাখ ১৪৩১


গাইবান্ধার ভোটে অনিয়ম পেয়েছে ইসি


প্রকাশিত:
১৭ নভেম্বর ২০২২ ০৩:৫৭

আপডেট:
২৫ এপ্রিল ২০২৪ ০১:২৬

প্রতীকী ছবি

গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনে অনিয়মের প্রমাণ পাওয়ার কথা জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আনিছুর রহমান।

বুধবার (১৬ নভেম্বর) নির্বাচন কমিশন ভবনে নিজ দফতরে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য দেন তিনি।

ভোটে অনিয়মের প্রমাণের বিষয়টি জানিয়ে ইসি আনিছুর রহমান অনিয়মে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করার কথা জানান।

এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, অপরাধের মাত্রা দেখে আগামী সপ্তাহে গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচনে অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা ও বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হবে।

জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকারের দায়িত্ব পালন করা ফজলে রাব্বী মিয়ার মৃত্যুতে শূন্য হওয়া গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচন হয়েছিল গত ১২ অক্টোবর, যেটি ছিল বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে প্রথম সংসদীয় নির্বাচন। উপনির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম হওয়ায় মাঝপথে আসনটির পুরো ভোট বন্ধ দেয় নির্বাচন কমিশন, যা ছিল দেশের ইতিহাসে নজিরবিহীন।

নির্বাচন কমিশনের এমন সিদ্ধান্তের পক্ষে-বিপক্ষে নানা মত আসে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে। এমন সিদ্ধান্তের কারণে কেউ কেউ ইসিকে সাধুবাদ জানালেও আবার অনেকে নাখোশ হয়েছেন।

তবে নির্বাচন কমিশন জানায়, ভোটের জন্য সুষ্ঠু পরিবেশ ছিল না বলে বন্ধ হয়েছিল ভোটগ্রহণ। আরপিওর ক্ষমতাবলে ইসি ভোট বন্ধ করেছে। এরপর ইসি এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ভোটগ্রহণে ব্যাপক অনিয়ম ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার জন্য গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনের সব কেন্দ্রে বন্ধ করা হয় ভোটগ্রহণ। এছাড়া প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্যও বলা হয়।

ভোটের দিন প্রথমে বন্ধ হওয়া ৫১টি কেন্দ্রের সার্বিক বিষয় প্রথমে তদন্ত করলেও পরবর্তীতে বাকি ৯৪ কেন্দ্রের বিষয়ে আবারও তদন্তের নির্দেশ দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

গত ৫ নভেম্বর তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার সময় সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্তের প্রতিবেদন জমা দিতে বলেন সিইসি। এরপর প্রতিবেদন অনুযায়ী চূড়ান্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান সিইসি।

ইসি সূত্রে জানা গেছে, কেবল ভোট বন্ধ হওয়া ৫১টি কেন্দ্র নয়, গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনের বাকি ভোটকেন্দ্রের প্রায় সবগুলোতেই একই চিত্র ছিল। এসব কেন্দ্রে অনাকাঙ্ক্ষিত জনগণের প্রবেশ, ভোটারদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে ভোটদানে বাধ্যকরণ বা প্রভাবিতকরণ, মোবাইল ক্যামেরা দিয়ে গোপনকক্ষের ছবি ধারণসহ নানা অনিয়মের তথ্য পেয়েছে।

ইসির গঠিত তদন্ত কমিটি বাকি ৯৪টি কেন্দ্রের মধ্যে ৮৭টির সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে এসব অনিয়ম পেয়েছে বলে তাদের তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে। ইতিমধ্যে ইসিতে প্রতিবেদন ইসিতে জমাও দেয়া হয়েছে।

 

 

আরপি/এসআর-০৯



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top