রাজশাহী শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল ২০২৪, ৭ই বৈশাখ ১৪৩১


এক আঙুলের ছাপ মিললেই দেওয়া যাবে ভোট


প্রকাশিত:
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৫:৫৯

আপডেট:
১৯ এপ্রিল ২০২৪ ০৯:৩৮

সংগৃহিত

আঙুলের ছাপ না মেলায় অনেকে ভোট দিতে সমস্যায় পড়েন। তাই এমন সমস্যার সমাধানে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই সবার দুই হাতের ১০ আঙুলের ছাপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। যদি ভোটের সময় এক আঙুলেরও ছাপ মিলে যায় তাহলে তিনি ভোট দিতে পারবেন।

মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন ভবনের নিজ দফতরে সাংবাদিকদের একথা জানান নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। তিনি বলেন, ১০ আঙুলের ছাপ নেওয়া হলে ভোট দেওয়ার সময় আঙুলের ছাপ না মেলার সমস্যা অনেকাংশে কেটে যাবে।

ইসি আলমগীর বলেন, ১০ আঙুলের ছাপ নিলে যদি একটা আঙুলও মিলে যায়, তবুও তিনি ভোট দিতে পারবেন। এখন চার আঙুলের ছাপ থাকায় অনেকেরই মেলে না। তখন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা তার আঙুলের ছাপ দিয়ে সংশ্লিষ্টকে ভোট দেওয়ার সুযোগ করে দেন। এ নিয়ে নানা সমালোচনা হচ্ছে, যে কারচুপির সুযোগ থেকে যায়। ওভাররাইট করা যায়। তাই ১০ আঙুলের ছাপ নেওয়া হবে। একইসঙ্গে প্রিজাইডিং কর্মকর্তার ওই ক্ষমতার বিষয়টি আরও স্পষ্টিকরণ করা হবে।

ইভিএমে ভোটের সুবিধার কথা তুলে ধরে ইসি আলমগীর বলেন, বিষয়টি হলো যে ইলেট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট দিলে প্রথম কন্ডিশন হলো যার ভোট তিনিই দেবেন। এটা নিশ্চিত করা হয়। ভোটার উপস্থিত না হলে অন্য কারও ভোট দেওয়ার সুযোগ নেই। এটাই হলো ইভিএমের বিশেষত্ব। যন্ত্রই বলে দেয় কেউ ভোটার কিনা, অর্থাৎ ফিঙ্গার প্রিন্ট যখন দেবে ইভিএমে সঙ্গে সঙ্গে নাম ছবি ভেসে ওঠবে। আর ওই কেন্দ্রের না হলে সেটাও বলে দেবে যে আপনি এই কেন্দ্রের ভোটার নন।

ফিঙ্গার প্রিন্টের মাধ্যমে এক সঙ্গে দুই কাজ হয় এমনটা জানিয়ে এই কমিশনার বলেন, ফিঙ্গার প্রিন্টের মাধ্যমে ভোটারের পরিচয় শনাক্তকরণ এবং ব্যালট ইউনিটে ব্যালট ওপেন হয়ে যায়। তখন ভেতরে গেলেই ভোট দিতে পারবেন। কিন্তু কারও আঙুলের ছাপ যদি না মেলে, তার কারণ হলো বয়স বেশি হলে, ভারি কাজ করলে বা হাত না থাকলে। এখন কেউ ভোট দিতে না পারলে সাংবিধানিক অধিকার ক্ষুণ্ন হয়।

এমন অবস্থায় প্রিজাইডিং কর্মকর্তার কাজের কথা জানিয়ে ইসি আলমগীর বলেন, এমন সমস্যা হলে প্রিজাইডিং অফিসার কী করেন, ভেটারের নাম, পরিচয়, এনআইডি নম্বর মিলিয়ে দেখেন। এরপর পরিচয় শনাক্ত হলে এনআইডি নম্বর ব্যালট ইউনিটে দেওয়া হয়। এই তিনটা যদি মিলে যায় তবেই প্রিজাইডিং অফিস ভোটারের পরিবর্তে নিজের আঙুলের ছাপ দেন। তখন ব্যালট ইউনিট সচল হয়। তিনি ভোট দিতে পারেন না। তিনি কেবল সচল করে দেন। সেটার রেকর্ডও আবার ইভিএমের মধ্যে থেকে যায়, যে কাকে এবং কয়জনকে তিনি এই সুযোগটা করে দিয়েছেন।

আরপি/ এসএইচ



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top