রাজশাহী শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল ২০২৪, ১৪ই বৈশাখ ১৪৩১


সকালের বক্তব্য বিকালে পাল্টালেন সিইসি


প্রকাশিত:
১৮ জুলাই ২০২২ ০৪:৫১

আপডেট:
১৮ জুলাই ২০২২ ০৭:১৩

তলোয়ার ও রাইফেল নিয়ে সকালে দেওয়া বক্তব্য বিকালে পাল্টালেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের শুরুর দিনে দুটি দলের সঙ্গে দুই ধরনের বক্তব্য দেন তিনি।

রবিবার (১৭ জুলাই) সকালে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক দল-এনডিএমের সঙ্গে সংলাপের সময় তলোয়ারের বিপরীতে প্রতিপক্ষকে রাইফেল নিয়ে দাঁড়ানোর পরামর্শ দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। কিন্তু বিকাল আড়াইটায় তৃতীয় দফায় বাংলাদেশ কংগ্রেসের সঙ্গে সংলাপে তিনি তলোয়ার ও রাইফেল নিয়ে যুদ্ধ না করার পরামর্শ দেন।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত সংলাপে প্রথম দিনে ৪টি দলকে আমন্ত্রণ জানালেও তিনটি দল এতে অংশ নিয়েছে।


বিকালে বাংলাদেশ কংগ্রেসের সঙ্গে সংলাপে সিইসি বলেন, ‘নির্বাচন এক ধরনের যুদ্ধ। অনেকেই বলছেন আসেন, যুদ্ধের মাঠে আসেন। সেখানে আসলে অস্ত্র নিয়ে যুদ্ধ করলে হবে না। আপনাদের আসলে জনসমর্থন  নিয়ে যুদ্ধ করতে হবে। আপনারা তলোয়ার-রাইফেল নিয়ে যুদ্ধ করবেন না। আপনাদের জনসমর্থন যেগুলো আছে, তারা আসবে।  আপনারা ব্যালট নিয়ে যুদ্ধ করবেন। সেই যুদ্ধটা আপনাদের করতে হবে।’

এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু হওয়া প্রথম সংলাপে প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলগুলোকে রাইফেল অথবা তলোয়ার নিয়ে দাঁড়ানোর পরামর্শ দিয়ে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘ভোটের মাঠের সহিংসতা নির্বাচন কমিশন বন্ধ করতে পারবে না। আপনাদের (রাজনৈতিক দলকে) দায়িত্ব নিতে হবে। আপনারা মাঠে যাবেন। মাঠে খেলবেন, আমরা রেফারি। সব দল সহযোগিতা না করলে আমরা সেখানে ব্যর্থ হয়ে যাবো। আপনাদের সমন্বিত প্রয়াস থাকবে, কেউ যদি তলোয়ার নিয়ে দাঁড়ায়, আপনাকে রাইফেল বা আরেকটি তলোয়ার নিয়ে দাঁড়াতে হবে। আপনি যদি দৌড় দেন, তাহলে আমি কী করবো? কাজেই আমরা সাহায্য করবো। পুলিশের ওপর, সরকারের ওপর আমাদের কমান্ড থাকবে।’

অবশ্য সিইসির এমন বক্তব্যের পর এন‌ডিএমের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ বলেন, ‘আইনে আমাদের শট গান নিয়ে দাঁড়ানো পারমিট করে না।’

তবে তৃতীয় দফার সংলাপে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজেদের মধ্যে দূরত্ব কমানোর পরামর্শ দিয়ে সিইসি  বলেন, ‘শক্তির ভাষায় কথা না বলে টেবিলে বসে যুক্তির ভাষায় কথা বলুন। গঠনমূলক আলোচনা করুন। সংকট থেকে যেতে পারে। অনাস্থা দূর হতে পারে, বা কমে আসতে পারে।’

অনুকূল পরিবেশ এবং সমতল ভিত্তির ওপর নির্বাচন পরিচালনার আশা ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ‘সবার দায়িত্বশীল আচরণ এবং একান্ত সহযোগিতা প্র‍য়োজন।’



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top