দু’দিন পর বাড়বে শীত, কমবে তাপমাত্রা
দেশের কয়েকটি স্থানে সামান্য বৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া এখন দিনে তাপমাত্রা বাড়বে, রাতে কমবে। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময় প্রায় এসেই গেছে। এখন গ্রামাঞ্চলে শীত অনুভূত হলেও ঢাকাসহ অন্যান্য বিভাগীয় শহরে তেমনটা হচ্ছে না। তবে দু-তিন দিন পর থেকে সারাদেশেই তাপমাত্রা কমবে। তখন অপেক্ষাকৃত বেশি মাত্রায় শীত অনুভূত হবে। সকালের দিকে সারাদেশের কোথাও কোথাও হালকা কুয়াশা পড়তে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর (বিএমডি)।
শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আবহাওয়াবিদ এম মো. ওমর ফারুক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানান।
তিনি জানান, দেশের কয়েকটি স্থানে সামান্য বৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া এখন দিনে তাপমাত্রা বাড়বে, রাতে কমবে। তবে আগামী দু-তিন দিন পর থেকে তাপমাত্রা আরও কমতে শুরু করবে। তবে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে দেশের কোথাও বৃষ্টিপাতের আভাস নেই।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে- অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। সকালের দিকে সারাদেশের কোথাও কোথাও হালকা কুয়াশা পড়তে পারে।
শৈত্যপ্রবাহ ব্যাপারে আবহাওয়াবিদ বলেন, আগামী কয়েকদিনে শৈত্যপ্রবাহ নামছে না। আবহাওয়া অধিদফতর অবশ্য ডিসেম্বরের শেষভাগে শৈত্যপ্রবাহের আভাস দিয়ে দিয়ে রেখেছে।
শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা (১-২) ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে ।
এদিকে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা প্রতিদিনই কমছে। শনিবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে তেঁতুলিয়ায়। এর আগে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রির নিচে নেমে গিয়েছিল। পরে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে তা ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে উঠে যায়। শুক্রবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল টেকনাফে ৩২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শনিবার ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুক্রবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ঢাকায় ২৭ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শনিবার ঢাকায় সূর্যোদয় ভোর ৬টা ৩১ মিনিটে, সূর্যাস্ত ৫টা ১৩ মিনিটে। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় রাতের তাপমাত্রা আরও কমে যেতে পারে। বর্ধিত পাঁচ দিনের আবহাওয়ার অবস্থার সামান্য পরিবর্তন হতে পারে পারে।
সিনপটিক অবস্থায় বলা হয়েছে, উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর থেকে আগত লঘুচাপের বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে।
আরপি/ এমএএইচ-০১
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: