রাজশাহী রবিবার, ৮ই ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪শে অগ্রহায়ণ ১৪৩১


আয়া সোফিয়ায় কুরআন শিক্ষার আসর


প্রকাশিত:
২৭ জুলাই ২০২০ ২১:২৪

আপডেট:
৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৩:০৬

ছবি: সংগৃহীত

দীর্ঘ ৮৬ বছর পর গত ২৪ জুলাই তুরস্কের ঐতিহাসিক আয়া সোফিয়ায় আনুষ্ঠানিকভাবে জুমআ আদায়ের মাধ্যমে পুনরায় নামাজ শুরু হয়। এবার আয়া সোফিয়ায় চালু হচ্ছে মাদ্রাসা ও কুরআন শিক্ষা। সেখানে শেখানো হবে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কুরআনুল কারিম। ডেইলি সাবাহ আরবির খবরে এমনটাই জানানো হয়েছে।

৯১৬ ধরে গির্জা হিসেবে ব্যবহৃত হয় তুরস্কের ঐতিহাসিক আয়া সোফিয়া। অতপর ৪৮৩ বছর মসজিদ হিসেবে ব্যবহার হয় এ ঐতিহাসিক স্থাপনা। অবশেষ গত ৮৬ বছর ধরে মসজিদের পরিবর্তে এটি জাদুঘর হিসেবে ব্যবহার করা হয়। গত ১০ জুলাই আদালতের এক রায়ের মাধ্যমে এটিকে পুনরায় মসজিদে রূপান্তরের ঐতিহাসিক রায় দেয় আদালত।

আদালতের রায়ের আলোকে গত ২৪ জুলাই পবিত্র জুমআ আদায়ের মাধ্যমে নামাজ পড়া শুরু হয়। দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপে এরদোয়ান এ দিন কুরআন তেলাওয়াত করেন। মসজিদের ইমাম তরবারি হাতে ‍নিয়ে খুতবা দেন।

তরবারি হাতে ইমামের খুতবা প্রসঙ্গে দেশটির ধর্মীয় নেতা বলেন, জুমার নামাজের সময় তরবারি হাতে নিয়ে খুতবা দেয়া আমাদের ঐতিহ্য। এটি আমাদের বিজয়ের নিশানা।

আয়া সোফিয়ায় শুক্রবার জুমার নামাজ পড়ানোর পর তুরস্কের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের প্রধান আলি ইরবাস সাংবাদিকদের বলেন, তুরস্কে প্রায় পাঁচ শত বছর তরবারি হাতে খুতবা দেয়া হয়েছে। ইনশাআল্লাহ, আমরা এখন থেকে আমাদের এ ঐতিহ্য আবার ধারণ করব।

ধর্মীয় নেতা বলেন, আমি আশা করি, অনেক লোক এ মসজিদে নামাজ পড়বেন। তারা তাদের ধর্ম এখান থেকে শিখবেন। আমরা আয়া সোফিয়ায় মাদরাসাও পুনরায় চালু করব। যেভাবে আয়া সোফিয়ার প্রতিটি কোনে কোনে এক সময় কুরআন শেখানো হত, এখনও আবার আয়া সোফিয়ায় কুরআন শেখানো হবে।

উল্লেখ্য, ঐতিহাসিক আয়া সোফিয়া তুরস্কের ও বিদেশি পর্যটকদের জন্য অন্যতম পছন্দর জায়গা। ১৯৮৫ সনে আয়া সোফিয়াকে ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ লিস্টে যুক্ত করা হয়।

তুরস্কে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান এবং অন্যান্য তুর্কী নেতারা দীর্ঘ দিন ধরে আয়া সোফিয়াকে জাদুঘর থেকে পুনরায় মসজিদে প্রত্যাবর্তনের জন্য চেষ্টা চালিয়ে আসছিলেন।

অবশেষে গত ১০ জুলাই তুরস্কের একটি কোর্ট ১৯৩৪ সনে আয়া সোফিয়াকে জাদুঘরে পরিণত করার সিদ্ধান্তকে অবৈধ ঘোষণা করেন। যা আয়া সোফিয়াকে মসজিদে পরিণত করা পথকে সহজ করে দেয়। প্রত্মতাত্ত্বিক ঐতিহ্য হিসাবে স্থাপনাটি আগের মত পর্যটকদের জন্য বিনামূল্যে উন্মুক্ত থাকবে।

 

আরপি/আআ-০৮



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top