সংক্রমণের মাত্রা বুঝে লাল-সবুজে এলাকা চিহ্নিত করছে ব্রিটেন
                                করোনাভাইরাসের সংক্রমণের মাত্রা কতটা, তা চিহ্নিত করে দেশকে পাঁচটি জ়োনে ভাগ করে দেশবাসীকে সতর্ক করার প্রক্রিয়া চালু করতে যাচ্ছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
এক থেকে পাঁচের মধ্যে প্রথম স্তর ‘সবুজ’ অর্থাৎ যেখানে সংক্রমণের মাত্রা সবচেয়ে কম। চূড়ান্ত স্তর ‘লাল’, যেখানে সংক্রমণ সর্বাধিক। এই জোন ভাগ অনুযায়ী যে যে জায়গায় প্রয়োজন, সেখানে বিধিনিষেধ বাড়াবে সরকার। খবর বিবিসির।
ব্রিটেনে করোনায় মৃত্যু হয়েছে সাড়ে ৩১ হাজারেরও বেশি। এই অবস্থায় লকডাউন সামান্য শিথিল করতে চেয়ে বিরোধীদের সমালোচনার মুখে পড়তে হচ্ছে সরকারকে।
বরিস-ঘনিষ্ঠ মন্ত্রীরা বলছেন, সরকারের ‘বাড়িতে থাকুন’ স্লোগান বদলে ‘সতর্ক থাকুন, সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করুন, প্রাণ বাঁচান’ হতে চলেছে।
তবে স্কটল্যান্ড, ওয়েলস ও নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের ক্ষেত্রে এ পরিবর্তন হচ্ছে না। পরে লকডাউন তুলতে সরকারের কী পরিকল্পনা, জাতির উদ্দেশে বক্তৃতায় তাই তুলে ধরেন জনসন।
তিনি বলেন, বাড়ি থেকে কাজ করা একেবারেই অসম্ভব হলে কর্মস্থলে যাওয়া চলবে। গাড়ি নিয়ে বেরোনো, পার্কে সূর্যস্নান বা শারীরচর্চাও করা যাবে। প্রধানমন্ত্রী টুইটারে লেখেন– সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে প্রত্যেককেই ভূমিকা নিতে হবে, সতর্ক থাকতে হবে এবং নিয়ম মানতে হবে।
জার্মানির সরকারি তথ্য বলছে, লকডাউন শিথিল করতে না করতেই দেশে সংক্রমণের মাত্রা বাড়ছে। সেখানে শুধু সব দোকানপাটই খুলে দেয়া হয়নি, আগামী সপ্তাহে শুরু হতে যাচ্ছে ফুটবল লিগও। তবে তার পরও লকডাউন পুরোপুরি তোলার দাবিতে বিক্ষোভ বাড়ছে।
দক্ষিণ কোরিয়াতেও সরকার বিধিনিষেধ শিথিল করা মাত্র গত এক মাসের মধ্যে সংক্রমণ সর্বাধিক হয়েছে। সরকার মনে করছে, এ বছরের শেষে ফের দ্বিতীয় দফায় সংক্রমণ মাথা চাড়া দিতে পারে। ফ্রান্সে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৮০ জনের। তুলনামূলকভাবে গত এক মাসের হিসাবে যা সবচেয়ে কম।
উত্তর-পূর্ব চীনে নতুন দফায় করোনা-সংক্রমণ শুরু হয়েছে। দেশটির জাতীয় স্বাস্থ্য পরিষদ জানিয়েছে, রোববার করে ১৪ জন সংক্রমিত হয়েছেন। ২৮ এপ্রিলের পর থেকে যা সর্বাধিক। আক্রান্তদের মধ্যে একজন উহানের। এক মাসেরও বেশি সময় পর উহান থেকে সংক্রমণের খবর মিলল।
বৃহস্পতিবারই সরকারিভাবে চীনের সব অঞ্চলকে ‘লো-রিস্ক’ বা ‘কম ঝুঁকির’ এলাকা বলে চিহ্নিত করা হয়েছিল। সংক্রমিতদের ১১ জনই জিলিন প্রদেশের শুলান শহরের বাসিন্দা হওয়ায় শহরটিকে ‘হাই রিস্ক’ বলে ঘোষণা করা হয়েছে।
সারাবিশ্বে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে ৪১ লাখ ছাড়িয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ৮৩ হাজারের বেশি মানুষের।
আরপি/ এআর

                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: