‘কাজের অযোগ্য’ চীনের কিটের অর্ডার বাতিল করলো ভারত

কাজের অযোগ্য হিসেবে উল্লেখ করে চীনের দুটি সংস্থার তৈরি কিটের অর্ডার বাতিল করেছে ভারত। সোমবার দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, করোনাভাইরাস পরীক্ষায় চীনের সংস্থার কাছ থেকে যে পরীক্ষার কিট কেনার অর্ডার দেয়া হয়েছে, তা বাতিল করা হয়েছে। এবং এখনো পর্যন্ত টাকা দেয়া হয়নি, ফলে এক টাকাও অপচয় হবে না।
এনডিটিভির খবরে প্রকাশ, করোনাভাইরাস পরীক্ষায় গুয়াংঝাউ ওন্ডফো বায়োটেক এবং ঝুয়াই লিভজোন ডায়াগনস্টিকের তৈরি কিটকে ‘কাজের অযোগ্য’ বলে ঘোষণা করেছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ, এমনটাই জানানো হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। এই দুই চীনা সংস্থার তৈরি কিট ব্যবহার না করার জন্য রাজ্য ও হাসপাতালগুলোকে জানিয়েছে তারা।
এর আগে চলতি মাসে ৫ লাখ রাপিড কিট এবং অ্যান্টিবডি আরএনএ এক্স্ট্রাকশন কিট তৈরি করে ভারত সরকার। এবং সেগুলো দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তা বিলি করা হয়। সেই সময় আইসিএমআর সুপারিশ করে, হটস্পট এলাকাগুলোতে প্রত্যেক নাগরিকের পরীক্ষা করতে হবে।
সিদ্ধান্ত নেয়া হয় যে, যেহেতু নিয়মিত আরটি পিসিআর কিটে পরীক্ষা ধীর গতির হওয়ায় ফাস্ট ট্র্যাক কিট ব্যবহার করা হবে এবং তা পরীক্ষাগারগুলোতে করা হবে। তবে অনেক রাজ্যেই পর্যাপ্ত পরিমাণে পরীক্ষার ব্যবস্থা নেই।
রাজস্থান, পশ্চিমবঙ্গের মতো অনেক রাজ্য নতুন কিট নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছে। তাদের দাবি, কিটগুলোর নির্ভুলতার হার মাত্র ৫.৪ শতাংশ। সেই সাথে সরকারের কিট কেনারও সমালোচনা করে বিরোধী দলগুলো।
আইসিএমআর সূত্রে জানা গেছে, বার বার অনুরোধের প্রেক্ষিতে তারা রাপিড টেস্ট কিট ব্যবহারে রাজি হয়েছে। ব্যাপকভাবে চিন্তাভাবনা করে দেখা গেছে, সেগুলো আরো অবিশ্বস্ত। যদিও সস্তা এবং দ্রুত ফলদায়ী।
সোমবার চীনা র্যাপিড কিট নিয়ে একটি বিতর্ক তৈরি হয়। ডিস্ট্রিবিউটর এবং আমদানিকারকের মধ্যে আইনি জটিলতা দেখা দেয় দিল্লি হাইকোর্টে। বলা হয়, ভারত দ্বিগুণ টাকা দিয়েছে।
আমদানি সংস্থা ম্যাট্রিক্সের মাধ্যমে চীনা রাপিড কিট আনা হয় প্রতিটি ২৪৫ টাকা দরে। যদিও ডিস্ট্রিবিউটর রিয়েল মেটাবলিস এবং আর্ক ফার্মাসিউটিক্যাল সরকারকে সেগুলো প্রতিটি ৬০০ টাকা দরে বিক্রি করে।
আরপি/ এএন
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: