রাজশাহী বুধবার, ১৫ই মে ২০২৪, ২রা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


দোকান খুললে জঙ্গির, না খুললে পুলিশের ভয় কাশ্মীরিদের


প্রকাশিত:
৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ২২:১৫

আপডেট:
১৫ মে ২০২৪ ২০:২৯

কাশ্মীরে রীতিমতো উভয় সংকটে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন সময় সকাল ৬টা থেকে ৮টা এবং সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত রাস্তার ধারে পসরা নিয়ে দোকানিদের বসতে বাধা দিয়েছে পুলিশ।

কিন্তু এখন সকাল এবং সন্ধ্যার বদলে দুপুরে দোকানপাট খোলার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। তাদের ধারণা, দুপুরে দোকানপাট খোলা থাকলে বোঝানো যাবে যে উপত্যকায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক। সকালে দোকান খোলায় শ্রীনগরের বাটামালু এলাকা থেকে চারজন দোকানিকে ধরে নিয়ে গেছে পুলিশ। আবার সন্ধ্যায় দোকান খোলায় কামারওয়ারি এলাকা থেকে দু’জনকে আটক করা হয়েছে।

শ্রীনগরের সিভিল লাইন্স এবং উপত্যকার অন্য কয়েকটি অংশে গত কয়েকদিন ধরে সকালে পসরা নিয়ে বসেছিলেন দোকানিরা। তাদের একাংশের দাবি, দোকান লক্ষ্য করে পেট্রল বোমা ছোড়া হয়েছে। হুমকিও দিচ্ছে অজ্ঞাত দুষ্কৃতিরা। তবে এখনও এসব ঘটনা নিয়ে পুলিশের তরফ থেকে কিছু জানানো হয়নি।

গত সপ্তাহে শ্রীনগরের পারিমপোরা এলাকায় এক ব্যবসায়ীকে গুলি করে খুন করে সন্দেহভাজন জঙ্গিরা। পুলিশের কথা মেনে ওই ব্যবসায়ী দুপুরে দোকান খুলেছিলেন। পুলিশের দাবি, জঙ্গিরা তাকে দোকান বন্ধ করতে বলে। তিনি জবাবে বলেন, কাশ্মীর আজাদি পেলে তিনি ‘আজাদি ব্রিগেড’-এর নির্দেশ মেনে চলবেন। তার পরেই তাকে গুলি করা হয়।

কাশ্মীর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির এক কর্মকর্তা বলেন, দু’পক্ষের টানাপড়েনের মধ্যে পড়ে গিয়েছি আমরা। তিনি বলেন, গতকাল পুলিশ জোর করে অনেক দোকানিকে পসরা নিয়ে বসতে চাপ দিয়েছিল। কিন্তু ব্যবসায়ী খুনের পরে কেউ ঝুঁকি নিতে রাজি হয়নি।

পুলিশ এ বিষয়ে কিছু জানাচ্ছে না। তবে কাশ্মীরের ডিভিশনাল কমিশনারের দফতরের কর্মকর্তাদের দাবি, কোনো ব্যবসায়ীকে জোর করা হয়নি। নিষেধাজ্ঞা তোলা হয়েছে। প্রত্যেকের নিজের কাজকর্ম শুরু করা উচিত।

কাশ্মীরের আরও ৯২টি থানা এলাকা থেকে নিষেধাজ্ঞা তোলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সরকারি মুখপাত্র রোহিত কানসাল। গতকাল চালু হয়েছে ২৯টি টেলিফোন এক্সচেঞ্জ। তিনি জানিয়েছেন, উপত্যকায় চার হাজার স্কুল খুলে দেয়া হয়েছে। তবে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার একেবারেই নগণ্য।

আর পি/এম আই 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top