রাজশাহী বুধবার, ১লা মে ২০২৪, ১৯শে বৈশাখ ১৪৩১


যুক্তরাজ্যে লাশ বহনে ব্যাগ সংকট


প্রকাশিত:
১৪ এপ্রিল ২০২০ ১৫:৫০

আপডেট:
১ মে ২০২৪ ০৮:১৭

 

যুক্তরাজ্যে করোনাভাইরাসে মৃত ব্যক্তিদের দেহ বহনের ব্যাগ ফুরিয়ে এসেছে। এ কারণে সেখানে বিছানার চাদর ব্যবহার করতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অনেক স্বাস্থ্যকর্মী। মর্গে সরঞ্জাম সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানও এমন তথ্য দিয়েছে। এদিকে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে ইউরোপের মধ্যে যুক্তরাজ্যের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন সরকারের জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা স্যার জেরেমি।


ওয়েস্ট লন্ডনের ওয়েস্ট মিডলসেক্স ইউনিভার্সিটি হসপিটালের নার্স স্যালি গুডরাইট সম্প্রতি এক ফেসবুক পোস্টে লেখেন, লাশের সারি বড় হচ্ছে আর আমরা বডিব্যাগ সংকটে পড়েছি। যেহেতু মরদেহগুলোতে ভাইরাসের সংক্রমণ থেকেই যায়, সেহেতু সেগুলো ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রীর (পিপিই) মতো করে বানানো বডি ব্যাগে নেয়া দরকার।


ওয়াটফোর্ড জেনারেল হসপিটালের আরেক কর্মী বলেন, (সৎকারসহ অন্যান্য প্রক্রিয়ার জন্য) মরদেহ মুড়িয়ে নিতে বিছানার চাদর ব্যবহার করা হচ্ছে। এ বিষয়ে শ্রমিক সংগঠন জিএমবি ইউনিয়নের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বিছানার চাদরে মুড়িয়ে মরদেহ বহনের জন্য বাধ্য করা হচ্ছে স্বাস্থ্যকর্মীদের।


অবশ্য পাবলিক হেলথ ইংল্যান্ড এ বিষয়ে বলছে, বডিব্যাগ ‘বাস্তবিক কারণে’ ব্যবহার করা হয়। কোভিড-১৯ রোগী মারা গেলে যেহেতু তার শরীরে কোনো জীবাণু বেঁচে থাকতে পারে না, সেহেতু সেই মরদেহ বহনে বডিব্যাগ বহনের কোনো কারণ নেই।


বডিব্যাগ সংকটের কথা উঠে এসেছে ব্রিটেনের জাতীয় স্বাস্থ্য সংস্থাকে (এনএইচএস) সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বারবার মেডিকেলের বক্তব্যেও। তারা সংবাদমাধ্যমকে বলেছে, জিপার্ড বডিব্যাগ উৎপাদনে তাদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে, তবে পাতলা পলিথিনে হলেও বেশি বেশি বডিব্যাগ বানানোর জন্য সংশ্লিষ্ট কারখানায় তাগিদ দেয়া হয়েছে।


কাঁচামালের সরবরাহ না থাকায় বডিব্যাগ উৎপাদনে অক্ষমতার কথা জানিয়েছে এনএইচএসকে সরবরাহকারী আরেক প্রতিষ্ঠানও। যুক্তরাজ্যের জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা স্যার জেরেমি বলেছেন, করোনাভাইরাসে ইউরোপের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ না হলেও অন্যতম ক্ষতিগ্রস্ত দেশ হতে পারে যুক্তরাজ্য।


যুক্তরাজ্যের হাসপাতালগুলোয় এখন পর্যন্ত ১০ হাজার ৬০০ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। হাসপাতালের বাইরে যারা মারা গেছেন, তাদের হিসাব এই পরিসংখ্যানে অন্তর্ভুক্ত হয়নি। আর যুক্তরাজ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮৫ হাজারের বেশি মানুষ।


জেরেমি বলেন, করোনায় হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা যুক্তরাজ্যের চেয়ে জার্মানিতে কম। এর অন্যতম কারণ জার্মানিতে করোনার ব্যাপক পরীক্ষা। নিঃসন্দেহে এখান থেকে শেখার আছে। বাংলাদেশ সময় সোমবার রাত ১০টা পর্যন্ত ওয়ার্ল্ডওমিটারসের তথ্য অনুযায়ী- যুক্তরাজ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮৮৬২১ জন এবং মারা গেছেন ১১ হাজার ৩২৯ জন।

 

আরপি/ এআর



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top