অবরুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনা নামাচ্ছে ইতালি-মালয়েশিয়া

করোনাভাইরাস মহামারিতে গত কয়েকদিনে মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে ইতালি। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬২৭ জন। একদিনে এত মৃত্যু করোনার উৎস চীনেও দেখা যায়নি। দিনকে দিন ইতালির সংকট আরও ভয়াবহ হয়ে উঠছে। এ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এবার সেনাবাহিনীর সাহায্য নিচ্ছে দেশটির সরকার।
শুক্রবার ইতালির লোম্বার্ডি অঞ্চলের প্রেসিডেন্ট আত্তিলিও ফন্টানা জানিয়েছেন, দেশটির উত্তরাঞ্চলে অবরুদ্ধ পরিস্থিতি (লকডাউন) বজায় রাখতে রাস্তায় সেনাসদস্য মোতায়েন করা হবে।
ইতালিতে করোনায় সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত লোম্বার্ডি অঞ্চল। গত কয়েকদিনে রীতিমতো রোগের বিস্ফোরণ ঘটেছে সেখানে। এ অঞ্চলে ভাইরাস পরিস্থিতি মোকবিলায় সাহায্য করছেন চীনের রোগ বিশেষজ্ঞরাও। তারা জানিয়েছেন, করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে এ অঞ্চলে আরোপিত নিষেধাজ্ঞার প্রয়োগ যথেষ্ট নয়। এসবের প্রেক্ষিতে শুক্রবার সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেয় আঞ্চলিক সরকার।
আত্তোলিও ফন্টানা এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘সেনা মোতায়েনের অনুরোধ গ্রহণ করা হয়েছে। লোম্বার্ডিজুড়ে ১১৪ জন সেনাসদস্য মোতায়েন থাকবেনৃ এই সংখ্যা খুবই কম, তবে বিষয়টি ইতিবাচক।’
এদিকে, করোনা সংকটে মানুষজনের বাইরে বের হওয়া আটকাতে সেনা মোতায়েনের ঘোষণা দিয়েছে মালয়েশিয়াও। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসমাইল সাবরি ইয়াকোব জানিয়েছেন, আগামী রোববার থেকেই মালয়েশিয়ার রাস্তায় সেনা সদস্যরা টহল দেবেন।
তিনি বলেন, আমরা আত্মবিশ্বাসী যে সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় গতিবিধি নিয়ন্ত্রণাদেশ আরও ভালোভাবে প্রয়োগ হবে। আশা করি, জনগণ সরকারের নির্দেশনা মেনে চলবে।
ইতালিতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৫ হাজার ৯৮৬ জন। এ নিয়ে সেখানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৭ হাজার ২১ জন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন প্রায় ৫ হাজার ১২৯ জন। দেশটিতে এ পর্যন্ত অন্তত ৪ হাজার ৩২ জন করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
মালয়েশিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত বেড়েছে ১৩০ জন, মারা গেছেন একজন। এ নিয়ে দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩০ জন, মোট মৃত্যু তিনজনের।
গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের উহানে প্রথমবারের মতো শনাক্ত হয় নভেল করোনাভাইরাস। এরই মধ্যে বিশ্বের অন্তত ১৮৪টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস। এতে আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৭০ হাজারেরও বেশি মানুষ, প্রাণ গেছে অন্তত ১১ হাজার ২৭২ জনের। এছাড়া চিকিৎার মাধ্যমে সুস্থ হয়েছেন ৯০ হাজার ৬০৩ জন।
আরপি/ডিজে
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: