রাজশাহী শনিবার, ২৭শে এপ্রিল ২০২৪, ১৪ই বৈশাখ ১৪৩১


বিশ্বজুড়ে ভয়াবহ ১০ স্টেডিয়াম-দুর্ঘটনা


প্রকাশিত:
৩ অক্টোবর ২০২২ ০৪:৫৭

আপডেট:
২৭ এপ্রিল ২০২৪ ০১:৫২

সংগৃহিত

ইন্দোনেশিয়া, অক্টোবর ২০২২: ইন্দোনেশিয়ার পূর্ব জাভার মালাং শহরে কানজুরুহান ফুটবল স্টেডিয়ামে পুলিশের সঙ্গে সমর্থকদের সংঘর্ষের পর পদদলিত হয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭৪ জনে। শনিবার রাতে ম্যাচ শেষে সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ার পর পদদলিত হয়ে প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটে। আরেমা এফসি প্রতিদ্বন্দ্বী পারসেবায়া সুরাবায়ার কাছে হেরে যাওয়ার পর পরাজিত দলের সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়।

ক্যামেরুন, জানুয়ারি ২০২২: মধ্য আফ্রিকার দেশ ক্যামেরুনের ইয়াওন্দে ওলেম্বে স্টেডিয়ামে আফ্রিকা কাপের শেষ-১৬ পর্বে পূর্ব আফ্রিকার দেশ কমোরোসের সঙ্গে স্বাগতিক ক্যামেরুনের ম্যাচে অন্তত আট দর্শক নিহত এবং ৩৮ জন আহত হন।

মিসর, ফেব্রুয়ারি ২০১২: মিসরের পোর্ট সাইদ শহরে আল-মাসরি ও আল-আহলি ক্লাবের ম্যাচ শেষে ভক্তদের মধ্যকার সংঘর্ষে কমপক্ষে ৭৩ জন নিহত হন এবং সহস্রাধিক আহত হন। এর ফলে মিসরের লীগের খেলা দুবছরের জন্য স্থগিত করা হয়।

আইভোরি কোস্ট, মার্চ ২০০৯: আবিদজানের ফেলিক্স হফ্যেট-বোগনি স্টেডিয়ামে মালাওয়ির বিপক্ষে বিশ্বকাপ ফুটবল কোয়ালিফাইং ম্যাচের আগে এক সংঘর্ষে অন্তত ১৯ জন নিহত হয়।

ঘানা, মে ২০০১: আফ্রিকার ফুটবল ইতিহাসের সবচেয়ে জঘন্য ঘটনা ঘটে ঘানার মূল ফুটবল স্টেডিয়ামে। আক্রায় সেবার দর্শকদের ওপর টিয়ারগ্যাস ছোড়ে পুলিশ। ওই ঘটনায় ১২৬ জনের মতো মারা যান।

দক্ষিণ আফ্রিকা, জানুয়ারি ১৯৯১: দক্ষিণ আফ্রিকার খনি শহর ওর্কনি’র অপেনহেইমার স্টেডিয়ামে কাইজার চীফস ও অরল্যান্ডো পাইরেটসের মধ্যকার একটি খেলায় দর্শকদের গন্ডগোলে ৪২ জনের প্রাণহানি হয়। পাইরেটসের একজন ভক্ত কাইজার চীফের ভক্তদের মাঝে গিয়ে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত শুরু করেন।

নেপাল, মার্চ ১৯৮৮: নেপালের কাঠমান্ডুতে জাতীয় ফুটবল স্টেডিয়ামে বন্ধ থাকা বহির্গমন পথে পদদলিত হয়ে ৯০ জনের বেশি দর্শক নিহত হন।

বেলজিয়াম, মে ১৯৮৫: ইউরোপীয় কাপে জুভেন্তাস ও লিভারপুলের মধ্যকার ফাইনালের ম্যাচের আগে ভক্তদের মধ্যকার সংঘর্ষে ৩৯ জন নিহত ও ছয় শতাধিক আহত হন।

ব্রিটেন, মে ১৯৮৫: ব্র্যাডফোর্ডে ভ্যালি প্যারেড স্টেডিয়ামে থার্ড ডিভিশনের একটি ম্যাচের দর্শকসারিতে আগুন ধরে যায়। ঘটনায় ৫৬ জন নিহত এবং দুই শতাধিক আহত হন।

রাশিয়া, অক্টোবর ১৯৮২: সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন সরকার অনেক দিন এ ঘটনার বিস্তারিত গোপন রেখেছিল। মস্কোর লুঝনিকি স্টেডিয়ামে উয়েফা কাপের একটি খেলায় স্পার্টাক মস্কো ও ডাচ দল এইচএফসি হারলেমের ম্যাচের পর এ ঘটনা ঘটে। সোভিয়েত সরকার যখন এ সম্পর্কে তথ্য দেয়, তারা ৬৬ জন নিহতের কথা জানায়। তবে একটি বহির্গমন ফটকেই ৩৪০ জনের মতো দর্শক নিহতের কথা জানা গেছে।

সূত্র: জাকার্তা পোস্ট

আরপি/ এসএইচ

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top